নিজস্ব প্রতিবেদক : নাহিদের বাবা নাদিম হাসান বলেন, আমার ছেলে তো ঢাকা কলেজেরও ছাত্র না। ও নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীও না তাইলে কেন আমার ছেলেটাকে পিটাইয়া মারলো ওরা পরিবার ও সংশ্লিষ্টরা জানায়, নিহত নাহিদ একটি কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি করতো। রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। সদ্য বিবাহিত নাহিদের স্ত্রীর নাম ডালিয়া মাত্র ৬ মাস আগে বিয়ে হয়েছে তাদের ঘটনার দিন নাহিদ তার কুরিয়ারের কাজেই নিউমার্কেট এলাকায় গিয়েছিলেন। পরে সেখানে হামলার শিকার হয়ে মাটিতে পড়ে ছিলেন। আমার ছেলেটার তো কোনো দোষ ছিল না কেন ওকে মেরে ফেললো। ছেলেটার বউকে কী জবাব দেব আমি। ওর মায়েরে কেমনে বাঁচায়া রাখবো।’ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গেটে এভাবেই কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে কথাগুলো বলছিলেন নিউমার্কেটের ঘটনায় মারা যাওয়া নাহিদের বাবা নাদিম হাসান
তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ার নাহিদকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। এরপর গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয় নাহিদের।
নিহত নাহিদের ছোট ভাই মো. নাজিম জানান, নাহিদের বাবা একটি ফ্যাক্টরিতে চাকরি করেন। তিন ভাই এক বোনের মধ্যে নাহিদ সবার বড়। বিয়ের পর সংসারের খরচ বেড়ে যাওয়ায় কুরিয়ার সার্ভিসে চাকরি নেয় নাহিদ।
নাজিম আরো জানান, নাহিদের মৃতু্র খবর শোনার পর তার মা ও স্ত্রী বার বার মূর্ছা যাচ্ছে। পুরো পরিবার চিৎকার করে কান্নাকাটি করছে। শত শত মানুষ জমা হয়েছে বাড়িতে। লাশ নিয়ে যাওয়ার জন্য এখানে এসেছেন তার ভাই ও বাবা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, রাত ৯ টা ৪০ মিনিটে নাহিদের মৃত্যু হয়। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।