প্রস্তাবিত গণমাধ্যমকর্মী আইন, ২০২২, দেশের সংবাদপত্রকে ‘হাতকড়া’ পরানোর পাঁয়তারা উল্লেখ করে এবং অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলক, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বিবৃতি প্রদান করেন।সমাজে সংবাদপত্রের অসীম প্রভাব অর্থাৎ জনমতকে সরকার তার নিজের পক্ষে রাখবার অস্ত্র হিসেবে ব্যবহারের প্রচেষ্টায় গণমাধ্যমকর্মী আইন প্রণয়ন করতে চাচ্ছে। গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থ রক্ষার নামে সরকার তাঁদেরকে এক ভয়ংকর বিপদে জড়িত করেছে, যা জনগণের অধিকার রক্ষার সংবাদ পরিবেশন থেকে সংবাদপত্রকে বিরত থাকতে বাধ্য করবে।এই প্রস্তাবিত আইনে ৫৪টি ধারার মধ্যে ৩৭টি ধারাই সাংবাদিকবান্ধব নয়, বরং আদালতের নামে আইনি জটিলতায় সরকার স্বীয় স্বার্থের উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমকে ব্যবহার করবে এবং তাতে অপরিহার্যভাবেই সংবাদপত্র নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা ও পরিধি আরো বাড়বে।
এ আইনে সংবাদপত্র বন্ধ ও অযাচিত হস্তক্ষেপ করার জন্য সরকারকে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে। যা, অতীতের নিবর্তনমূলক ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন (SPA)’ এর নবতর সংস্করণ। এর মাধ্যমে সংবাদপত্রের উপর সরকারি ক্ষমতার অবৈধ অনুশীলনের মাত্রা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাবে।
এ আইন পাস হলে মত প্রকাশ ও সংবাদপত্রের স্বাধীনতা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। এ আইন গণমাধ্যম ও গণমাধ্যমকর্মীদের স্বার্থের পরিপন্থী। তাই প্রস্তাবিত ‘গণমাধ্যমকর্মী আইন, ২০২২’ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি।