তুরস্কে করোনা সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে দুই বছরের জন্য এর প্রদর্শনী বন্ধ থাকে, দুই বছর পর পুনরায় পোশাক প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয় মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এ নিদর্শন শুধু পবিত্র রমজানে দেখানো হয়। শুক্রবার জুমার নামাজের আগে কিছু মানুষকে মসজিদের অভ্যন্তরে কাচে মোড়ানো বাক্সে পোশাকটি দেখার সুযোগ দেয়া হয় বাইরে আলাদা আলাদা সারিতে হাজারো নারী ও পুরুষ মসজিদের ভেতরে প্রবেশের জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।মানুষের এত ভিড় থাকার পরেও করোর মধ্যে কোনো অভিযোগ নেই। দর্শনার্থীরা ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র ব্যক্তিত্বের ব্যবহৃত পোশাকটি দেখার সুযোগ পেয়েই খুশি। অনেকেই পোশাকটি দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন। আবার কেউ কেউ নামাজ পড়েন। ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত পোশাকটির প্রদর্শনী চলবে। পোশাক দেখতে মসজিদে আসা লায়লা কাহরামান বলেন, রাসূল সা:-এর ব্যবহৃত পোশাক দেখতে পাওয়ার খুশিতে গত রাতে আমি ঘুমাতে পারিনি। আমি গত দুই বছর ধরে এটা দেখার অপেক্ষায় ছিলাম। লাইলা তার ৯ বছর বয়সী ছেলে ওমর ফারুককে নিয়ে মসজিদে এসেছিলেন রাসুল সা:-এর জামা দেখতে। সে বলে, আমি রাসূলকে সা: অনেক ভালোবাসি। আমি এখানে আসতে পেরে খুবই খুশি।
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে হিরকা-ই শেরিফ মসজিদে হজরত মুহাম্মদ (সা:) এর ব্যবহৃত পোশাক দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করেছেন। দুই বছর পর শুক্রবার (২২ এপ্রিল) এ পোশাক প্রদর্শনীর জন্য উন্মুক্ত করা হয়। তুরস্কের গণমাধ্যম ডেইলি সাবাই জানিয়েছে, হজরত উওয়াইস আল-কারনিকে রা: পোশাকটি মুহাম্মদ সা: উপহার হিসেবে পাঠিয়েছিলেন। তার বংশধররা এটি দীর্ঘ ১৪ শ’ বছর ধরে যত্ন সহকারে সংরক্ষণ করে আসছেন। রাসূল (সা:) এর পোশাক দেখতে ওই মসজিদে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন।