প্রতিনিধি পটুয়াখালী : পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় আবাসিক হোটেল এ আর খান থেকে পতিতা সহ চার জনকে আটক করেছে মহিপুর থানা পুলিশ। সোমবার রাত ৯টার দিকে মহিপুর থানার এসআই মান্নান’র নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়। হোটেলটির ভাড়াটিয়া মালিক জনৈক ফজলুর করিম ফারুক আবাসিকের আড়ালে দীর্ঘ দিন ধরে পতিতা ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিলেন। মহিপুর থানা পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, হোটেলটির ভাড়াটিয়া মালিক ফজলুল করিম ফারুক নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে আবাসিক হোটেলের আড়ালে পতিতা, মাদকসহ নানা অসামাজিক কাজ পরিচালনা করে আসছিলেন। আটককৃতরা হলেন এ আর খান হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২ নং ওয়ার্ডের কাউনিয়া এলাকার মৃত হাতেম আলীর পুত্র ফজলুল করিম ফারুক, পতিতা চাঁদনী (১৯), মুক্তা (২৫), পতিতা দালাল মাহমুদ ফরাজী। দুই পতিতার বাড়ি বরগুনা জেলার আমতলী ও পাথরঘাটা। পতিতার দালাল মাহমুদ ফরাজীর বাড়ী খুলনার দেউলিয়া ইউনিয়নে।
স্থানীয়রা জানান, কুয়াকাটা পৌর এলাকার ৩ নং ওয়ার্ডে অবস্থিত এই হোটেলটিতে প্রকাশ্যে পতিতা ও মাদক ব্যবসা করে আসলেও এর বিরুদ্ধে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করলে তাকেই মামলাসহ নানা রকমের পুলিশি হয়রানীর শিকার হতে হয়েছে। হোটেলের ভাড়াটিয়া মালিক কখনও নিজেকে সাংবাদিক, আবার কখনও বরিশালের প্রভাবশালী রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করে এমন অসামাজিক ব্যবসা করে আসছিলো। মহিপুর থানা পুলিশ ও পর্যটন পুলিশের কতিপয় অসাধু পুলিশের ছত্রছায়ায় এমন কর্মকান্ড পরিচালনা করতেন তিনি।
মহিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ খোন্দকার আবুল খায়ের বলেন, এদের চারজনের বিরুদ্ধে অসামাজিক কার্যকলাপে লিপ্ত থাকার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মঙ্গলবার সকালে কলাপাড়া জুডিসিয়াল আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।