Site icon Aparadh Bichitra

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে মার্কিন রাষ্ট্রদূতের বৈঠক বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধির আহবান

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, এমপি বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের বন্ধুরাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক ও অর্থনৈকিত সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের  তৈরী পোশাক রপ্তানির বড় বাজার। বাংলাদেশ তৈরী পোশাক খাতের টেকসই উন্নযনের জন্য শ্রম আইন সংশোধন করে বিশ^মানের করেছে। দেশের কারখানাগুলো নিরাপদ ও কর্মবান্ধব করা হয়েছে। বিল্ডিং ও ইলেকট্রিসিটি সেইফটি নিশ্চিত করা হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরী পোশাককর্মীরা এখন নিরাপদ পরিবেশে কাজ করছে। বাংলাদেশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিড গ্রীণ গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সনদপ্রাপ্ত ১৫৭টি ফ্যাক্টরি রয়েছে। বিশে^র  প্রথম ১০ টি গ্রীন ফ্যাক্টরির মধ্যে বাংলাদেশেই ৯ টি। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরী পোশাক রপ্তানি কারক দেশ। বাংলাদেশের  তৈরী পোশাক এর উৎপাদন খরচ বাড়লেও ক্রেতারা সে তুলনায় মূল্য বৃদ্ধি করেনি। বাংলাদেশের তৈরী পোশাকের ন্যায্যমূল্য (ফেয়ার প্রাইজ) নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ ¯’ানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোনে বিনিয়োগ করলে লাভবান হবেন। বাংলাদেশ সরকার বিনিয়োগকারীদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী আজ (২৮ এপ্রিল) ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে বাংলাদেশে নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস( চবঃবৎ উ. ঐধধং) এর সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন। এটি নবনিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত এর সাথে বাণিজ্যমন্ত্রীর প্রথম সাক্ষাৎ।

মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার ডি. হাস বলেন, বাংলাদেশ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বন্ধু ও গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্র। উভয় দেশের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশের উন্নয়নের অংশীদার। বাংলাদেশের উন্নয়ন এখন দৃশ্যমান। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েশন করে উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে। আগামী দিনগুলোতে বাংলাদেশের সাথে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি পাবে।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ বিভিন্ন দেশের সাথে বাণিজ্য সুবিধা সৃষ্টির জন্য পিটিএ বা এফটিএ-এর মতো বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করার প্রচেষ্টা চালা”েছ। এতে করে সাময়ীক ভাবে বাংলাদেশ শুল্ক হারালেও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশ লাভবান হবে। এ সময়  বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মো. হাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) নূর মো. মাহবুবুল হক, অতিরিক্ত সচিব(রপ্তানি-২) মো. আব্দুর রহিম খান উপ¯ি’ত ছিলেন।