স্টাফ রিপোর্টারঃ গত ২২/০৫/২০২২ ইং তারিখ উক্ত হত্যা মামলাটির ধায্য তারিখ ছিল ঘটনা সম্পর্কে জানা যায় যে সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধি, মোঃ জমির আলী ছেলে পবিত্র কুরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপন বিগত ২২/০৪/২০২১ইং তারিখ রাত্র আনুমানিক ১০:৩০ ঘটিকা সময় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শেখ মাইনুল হাসান, তাহার চাচা আব্দুল হালিম, এবং তাহার সুবা মোঃ আইয়ুব আলীদ্ব পথরোধ কোরিয়া ২ ও ৩ নং আসামির হুকুমে ১ নং আসামী শেখ মাইনুল হাসান তাহার হাতে থাকা ধারালো ছুরি দিয়ে পবিত্র কুরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপনের বাম চোখের উপরের গাই মারে তাৎক্ষণিক উনার ছোট ছেলেসহ এলাকার লোকজনের সহযোগিতায় হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আঘাতপ্রাপ্ত পবিত্র কুরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপনকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করুন তাৎক্ষণিক সাংবাদিক জমির আলীসহ তার লোকজন একটি এম্বুলেন্স দ্বারা রাত্রই সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আঘাতপ্রাপ্ত,পবিত্র কুরআন হাফেজ আহমদ আলী স্বপনকে ভর্তি করান সেখানকার ডাক্তারগণ তার চিকিৎসা চালিয়ে যান। পরের দিন অর্থাৎ ২৩/০৪/২০২১ ইং তারিখ সকাল ১০:২০ মিনিটে সে মারা যায়, সাংবাদিক মোহাম্মদ জমির আলী তাহার ছেলের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি হওয়ার পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ম কারণ ও সিলেট কোতোয়ালি থানা অফিসার গণের কার্য সমাপ্ত হওয়ার পর সাংবাদিক জমির আলী তাহার মৃত্যু ছেলের লাশ নিয়ে হবিগঞ্জ নিজ বাসায় এসে জানাজা শেষে তাহার মৃত্যু ছেলেকে কাফন দাফন সম্পন্ন করেন।
পরের দিন অর্থাৎ ২৪/০৪/২০২১ ইং তারিখ হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় উল্লেখিত তিনজন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে সাংবাদিক জমির আলী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। তৎকালীন হবিগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাসুক আলী হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য এস আই আঃ রহিমকে দায়িত্বভার অর্পণ করেন। এসআই আব্দুর রহিম সাহেব তদন্তভার গ্রহণ করার সাথে সাথে ২৪/০৪/২০২১ ইং তারিখ অলৌকিক ভাবে তিনজন সাক্ষীর জবানবন্দি ১৬১ ধারায় জবানবন্দি লিপিবদ্ধ করেন যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট, পরবর্তীতে হবিগঞ্জ জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মাহমুদুল্লাহ বাদী সাংবাদিক মোঃ জমির আলীক গোপনে রেখে উক্ত হত্যা মামলাটি জেলা গোয়েন্দা শাখায় হস্তান্তর করেন।
এবং এস আই সাব্বির আহমেদকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। পরবর্তীতে পুলিশ সুপারকে ম্যানেজ করে ডিবির ওসি মোঃ আল আমিন, নিজেই মামলাটির তদন্তভার গ্রহণ করেন, মোঃ জমির আলী তাহার ছেলের হত্যা মামলাটির সম্পর্কে পুলিশ সুপারের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন যে গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর আল আমিন কাছে মামলাটি তদন্ত দিন রয়েছে, মোঃ জমির আলী হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দ শাখার ইন্সপেক্টর আল আমিন যোগাযোগ করলে। তিনি তাকে বলেন যে মামলাটির তদন্ত সঠিকভাবে আগাচ্ছে, বিগত ১৫/০২/২০২২ ইং তারিখ ইন্সপেক্টর আল আমিন জমির আলীকে সংবাদ দিয়ে তার হবিগঞ্জ সদর থানাধীন বাইপাস রোডে বাঁড়াটিকে বাসার সামনে ইন্সপেক্টর আল আমীন বলেন যে তিনজন আসামীকে জড়িয়ে চার্জশিট বিজ্ঞ আদালতের দিতে হলে তাহাকে ৫ লক্ষ টাকা থাকে ঘুষ দিতে হবে।
তখন মোঃ জমির আলী ইন্সপেক্টর আল আমিনের অনৈতিক প্রস্তাবের রাজি না হওয়ায় তিনি আসামিদের সঙ্গে এসআই ধ্ররবেশের মাধ্যমে যোগাযোগ করে মোটা অংকের টাকা নিয়ে এজাহারনামীয় তিনজন আসামির মধ্যে দুইজনকে Not Sentp করিয়াছেন। শুধু তাই নয় ইন্সপেক্টর আল আমিন মামলাটির তদন্তকালীন সময়ে হত্যা মামলায় চাক্ষুষ সাক্ষীগণ আসামী তিনজনের নাম উল্লেখ করে স্বাক্ষী দিলেও তিনি কাগজে কলমে লিপিবদ্ধ না করে পরবর্তীতে উনার ইচ্ছা অনুযায়ী সাক্ষীগণের সাক্ষী লিপিবদ্ধ করেন। এবং মোঃ জমির আলী জানান ওনার ছেলের সুরতহাল রিপোর্টে ২টি আলামত রয়েছে কিন্তু তিনি চার্জশিটে সুরতহাল রিপোর্টের কথা বা আলামত উল্লেখ করেন নাই।
বিজ্ঞ আদালতে ও আলামত গুলি পাঠান নাই, মোঃ জমির আলী আরো জানান যে তাহার মৃত্যু ছেলে পবিত্র কোরআনের হাফেজ আহমদ আলী স্বপনের ময়না তদন্ত রিপোর্টে দুইটি আঘাত উল্লেখ রয়েছে কিন্তু তদন্তকারী কর্মকর্তা আল আমিন চার্জশিটে একটি আঘাতের কথা উল্লেখ করেছেন অন্য একটি আঘাতের কথা উল্লেখ করেননি, এবং ঘটনার সময় তাহার, মা ভাই বোন টস লাইট দ্বারা আসামীদেরকে চিহ্নিত করা হয়েছিল সেই টস লাইট তদন্তকারী কর্মকর্তা আল আমিন জব্দ করেন, কিন্তু আলামত হিসেবে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেন নাই।
হবিগঞ্জ জেলার সাবেক গোয়েন্দা শাখা ইন্সপেক্টর আল আমিনগংরা বাদীর নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা ঘুষ না পাওয়ায় আসামিদের সঙ্গে হাত মিলিয়ে গ্রাহকের টাকা ঘুষ গ্রহণ করে।
হত্যা মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত লোপাট, ঘুষ দাবি, সাক্ষীদের, সাক্ষী তাহার মনগড়া মতে তৈরি করা সহ অসংখ্য ত্রুটিপূর্ণ একটি চার্জশিট তৈরি করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করেছেন, যার দরুণ মোঃ জমির আলীকে ন্যায়বিচার হইতে বঞ্চিত করিয়ে আসামীদেরকে সুযোগ করে দিয়েছেন। হবিগঞ্জ জেলা গোয়েন্দা শাখার সাবেক ইন্সপেক্টর আলামিনগংরা।