রাজধানীতে ভুমিদস্যুদের বিরুদ্ধে ১১৩ জমি মালিকের স্মারকলিপি প্রদান

0
652

ফারহান আব্দুল্লাহ:রাজধানীর খিলগাও থানাধীন নন্দীপাড়া ভুমিদস্যু প্রতিরোধ পরিষদের উদ্যোগে এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলাম বাহিনীর ভুমিদস্যুতার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ভুমি সহকারী কমিশন ও ভুমিমন্ত্রী সহ একাধিক দপ্তরে স্মারকলিপি প্রদান করেছে ১১৩ জন জমির মালিক। গতকাল বৃস্পতিবার সকাল ১১টায় এসব জমির মালিকগণ তাদের জমি বা বসতভিটা জাল-জালিয়াতির মাষ্টারম্যান ভূমিদস্যু রফিকুল ইসলামের কবল রক্ষার্থে ঢাকার ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর এ স্মারকলিপি প্রদান করেন। 

ভুক্তভোগীরা জানান, রাজধানীর খিলগাঁও থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ৭৪ নং ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত নন্দীপাড়া এলাকার ১১৩ জন জমির মালিক নিজেদের ও বাপদাদার ওয়ারিশ সুত্রে প্রাপ্ত বসতভিটায় যুগ যুগ ধরে বসবাস করে আসছেন। কিন্তু স্থানীয় ভুমিদস্যু রফিকুল ইসলাম বাহিনী তাদের বসতভিটার জমিতে বিগত ১২ফেব্রুয়ারী-১৯৯৭, ৩সেপ্টেম্বর-১৯১৭ ও ১৫জানুয়ারী-১৯১৮ সালের অস্তিত্বহীন জাল ও ভুয়া দলিল সৃজন করে তাদের অজ্ঞাতসারে ৪র্থ সহকারী জজ আদালত, ঢাকায় ৫জুলাই-২০০৫ সালে মৃত ব্যক্তি সহ তাদেরকে বিবাদী করে দেওয়ানী মোকদ্দামা নং ২৪৮/২০০৫ দায়ের করেন। এই চক্রটি বিজ্ঞ আদালতে মিথ্যা, বানোয়াট ও ভূয়া তথ্য দিয়ে তাদের প্রতি আদালতের জারিকৃত সমন গোপন ও জালিয়াতি করে প্রতারণামূলক পরস্পর যোগসাজসে ও একতরফাভাবে মাত্র ৬ মাসের মধ্যে ৮জানুয়ারী-২০০৬ তারিখে রায় ও ১৭জানুয়ারী-২০০৬ তারিখে ৮. ৯৪ একর জমির উপর ডিক্রী লাভ করেন।পরবর্তীতে ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) কর্তৃক মিস কেস নং-৪২/২০০৬ দায়ের করে ২৮এপ্রিল-২০১১ সালে ৬.৩৯৩৩ একর ভূমির উপর রেকর্ড সংশোধনের আদেশ পান।এ বিষয়টি ১১৩ জন জমির মালিক অবগত হওয়ার পর উক্ত ভুমিদস্যু ও প্রতারক চক্রের রায়ের বিরুদ্ধে আদালতে গিয়ে কয়েকটি মামলা দায়ের করে ভুমিদস্যুদের দায়েরকৃত মামলা নং-২৪৮/২০০৫ এর রায়কে বাতিল ও রদ করে ৫টি রায় ও ডিক্রী লাভ করেন। কিন্তু অপর মামলা গুলো এখনো আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সঠিক কাগজপত্র উপস্থাপন করতে না পারায় ভুমিদস্যু রফিকুল বাহিনী আদালতে হেরে যাওয়ার শংঙ্কায় ডেমরা রাজস্ব সার্কেলের এক অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় নানা ধরনের ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছেন।

ভুমিদস্যুরা মামলার রায় ও ডিক্রীর তথ্য গোপন করে পূনরায় ডেমরা রাজস্ব সার্কেল বরাবর রেকর্ড সংশোধনের আবেদন করেন। এই প্রেক্ষিতে ডেমরা রাজস্ব সার্কেল অফিস হতে ১১৩ জন জমির মালিককে বিবাদী করে নোটিশ জারি করা হলে রহস্যজনকভাবে কেউ সেই নোটিশ হাতে পায়নি।এদিকে জমির মালিকরা উক্ত নোটিশের বিষয়ে জানতে পেরে ডেমরা রাজস্ব সার্কেল অফিসে নোটিশের জবাব দেয়ার জন্য সময় চাইলে অফিসের কর্মকর্তারা তাদের সাথে রহস্যজনক আচরন করেন। আর একারনেই জমির মালিকরা স্মারকলিপি দায়ের করেন।

নন্দীপাড়া ভুমিদস্যু প্রতিরোধ পরিষদের সভাপতি ডিএম এমদাদুল হক বাবু বলেন, ভুমিদস্যু রফিকুল ইসলাম গং ১৯১৭ সালের ভুয়া জাল দলিল মাধ্যমে আমাদের শত শত মানুষের জমি বসতভিটা দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছে। আদালতের রায়েও পাঁচবার হেরে গেছে। তাঁর পরেও আমাদের জমি দখলের পাঁয়তারা চালাচ্ছে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

eighteen − fourteen =