কিশোরগঞ্জে ওড়না গলায় ফাঁস দিয়ে এক কিশোরীর আত্মহত্যা

0
879

অপরাধ বিচিত্রাঃ নীলফামারী জেলার কিশোরগঞ্জ কলকুটিপাড়া গ্রামের আবুল কালাম আজাদ এর মেয়ে কারিমা আক্তার কানিজ (১৩) লাল খয়েরী রংগের ওড়না প্রিন্টের গলায় ফাঁস দিয়ে নিজেই আত্মহত্যা করে গত ১৮/১১/২০১৯ ইং তারিখে আনুমানিক সকাল ১০.০০ ঘটিকার সময়। কারিমা আক্তার কানিজ কিশোরগঞ্জ বহুমূখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী সে কিশোরগঞ্জ বহুমূখী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় হইতে জে.এস.সি পরীক্ষায় অংগ্রহণ করেন। কারিমা আক্তার কানিজ ২০১৮ ইং সালে পরীক্ষায় ফেল করে। ওই সময় আত্মহত্যার বিষয়ে আবুল কালাম আজাদ কিশোরগঞ্জ থানায় আবেদন ক্রমে অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করেন। একই গ্রামের আব্দুল জলিল এর ছেলে আরাফাত হোসেন কাওছার (১৭) নামের এক কিশোর অতি অসহায় গরিব খেটে খাওয়া দিন-মজুর এবং সে একজন কলেজ ছাত্র সে গত ২০১৯ ইং সালে এস.এস.সি পরীক্ষায় পাস করেন। ঐ গ্রামের মোকছেদার ও আজিজার রহমান এর ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে আড়দে দিন-মজুর হিসাবে সেখানে আরাফাত হোসেন কাওছার কাজ করে এবং বাড়ির বাজার খরচসহ অন্যান্য কাজ কর্ম করতঃ। কারিমা আক্তার কানিজ আবারও সে নিজেই গত ২০১৯ ইং সালে জে.এস.সি পরীক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করে।

পরবর্তীতে জে.এস.সি পরীক্ষায় রানিং অবস্থায় গত ১৫/১১/২০১৯ ইং তারিখে আরাফাত হোসেন কাওছার কে ডাক দিয়ে কারিমা বলে ভাইয়া আমি জে.এস.সি পরীক্ষায় এবার পাশ করতে না পারলে আমার বাড়িতে থাকা হবে না। সে গত ২০১৮ ইং সালে ফেল করাতে আমার বাবা ও মা আমাকে মারধর করেন এবং বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি শারীরিক নির্যাতন করেন।

এক পর্যায় কারিমা আক্তার কানিজ ও আরাফাত হোসেন কাওছার এর বাড়ির সামনে আলোচনা করতে দেখতে পাই একই গ্রামের পাশের বাড়ির মোঃ বেনজীর আহম্মেদ, মোঃ জিয়ারুল হত জিয়া, মোছাঃ  মিষ্টি বেগম, মোছাঃ রিমি বেগম, মোছাঃ লাইজিু বেগম এরা সকলেই গুজব ছড়াতে থাকে পুর গ্রামে এদের দু জনের সম্পর্ক আছে।

এমতাবাস্থায় গত ১৬/১১/২০১৯ ইং তারিখে আনুমানিক ০৩.০০ ঘটিকার সময় আরাফাত হোসেন কাওছার কলেজ হতে বাড়িতে ভাত খাওয়ার জন্য আসে দাদীর বাড়ি আসার পথে এক পর্যায় কানিজের সৎ মামা আখতারুল ইসলাম আরাফাত হোসেন কাওছার এর হাত ধরে আবুল কালাম আজাদ এর বাড়ির উঠানে নিয়ে আসে।

এসময় কারিমা আক্তার কানিজের বাবা ও তার শ্যালক মোকছেদার রহমান, আফিজার রহমান ও আখতারুল ইসলাম আরাফাত হোসেন কাওছারকে সকলে এক জোট হয়ে মাথায় ও কানে এলোপাথারি ভাবে কিল ঘুষি ও লাঠি দিয়ে মারধর করে গুরতর ফ্যাক্সার জখম করে।

ঐ সময় আরাফাত হোসেন কাওছার এর যেটা জাহেদুল ইসলাম বলে শুধু ছেলেটাকে যেভাবে মারধর করছেন একতরফা ভাবে আপনার কারিমাকেও ডাক দিয়ে জিজ্ঞাসা করেন তার মুখে ও শুনি কি হয়েছে আর এভাবে ছেলেটাকে মাথা ও কানে যে ভাবে মারধর করিতেছেন ছেলেটা তো ভতিষ্যতে কাজ কর্ম করে খাবে।

আরাফাত হোসেন কাওছার এর বড় যেটা জাহিদুল ইসলাম বলতেই কারিমার ছোট মামা আফিজার রহমান বলে বেটাকে ধরতো ওকেও মরতে হবে না হলে বেটা ঠিক হবে না পরবর্তীতে আরাফাতের ছোট চাচা এরশাদ হোসেন ও তার বড় ভাই জাহিদুল ইসলামকে কৌশলে বাড়ি নিয়ে যায়।

এরই মধ্যে তখনেই জাহিদুল ইসলামকে তার বাড়ির দরজা থেকে ভাষায় নিয়ে গিয়ে পাকা দেওয়ালের সাথে কারিমার সৎ মামা আক্তারুল ইসলাম, মোকছেদার ও আফিজার রহমান সকলে এলাপাতারি ভাবে কিল গুষি মারধর করে। ঐ সময় ঘটনার স্থান থেকে মারধর খেয়ে গত ১৬/১১/২০১৯ ইং তারিখে গ্রাম থেকে ঢাকায় চলে যায়।

এমতাবাস্থায় গত ১৭/১১/২০১৯ ইং তারিখে কারিমা আক্তার কানিজ পাশ্ববর্তী এলাকায় নানার বাড়ি বেড়াতে যায় এবং গত ১৮/১১/২০১৯ ইং তারিখে নানার বাড়ি থেকে আসার সময় রাস্তায় ঐ সময় মোঃ বেনজির আহম্মেদ (৩০), মোঃ জিয়ারুল হক জিয়া (৩৮), মোছাঃ মিষ্টি আক্তার (৩৬), মোছাঃ রিমি আক্তার (২৮), মোছাঃ লাইজু বেগম (২২) সকলেই কারিমা আক্তার কানিজের সম্পর্ক নিয়ে সমালোচনা উসকানিমূলক কথাবার্তা বলেন। আবুল কালাম আজাদ কিশোরগঞ্জ থানায় গত ২৩/১১/২০১৯ ইং তারিখে বাদী হয়ে ০৯ (নয়) জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন, যাহার মামলা নং- ১৯।

কিশোরগঞ্জ থানার আইও এসআই মোঃ নুরুন্নবী সরকার মামলাটি তদন্ত করেন ০৯ (নয়) জন আসামির মধ্যে ০৯ (নয়) জনের নামেই চারসির্ট কোর্টে প্রেরণ করেন।

এ বিষয় আবুল কালাম আজাদ মামলাটি কোর্টে নারাজি করে পুনরায় আবার তদন্ত নেয় এক পর্যায়ে আবার মামলাটি নীলফামারী ডিপি পুলিশকে তদন্তের জন্য দেয়। তদন্ত ডিবির আইও পুলিশ পরিদর্শক মোঃ আব্দুর রহমান সরকার ০৯ (নয়) জন আসামির মধ্যে (মোঃ বেনজির আহম্মেদ, মোঃ জিয়ারুল হক জিয়া,

মোছাঃ মিষ্টি আক্তার, মোছাঃ রিমি আক্তার, মোছাঃ লাইজু বেগম) এই ০৫ (পাঁচ) জনের নাম কেটে ০৪ (চার) জনের নামে চারসির্ট কোর্টে প্রেরণ করেন। রবিবার (২১ শে আগস্ট) ২০২২ ইং তারিখে আরাফাত হোসনে কাওছার এর বাবা আব্দুল জলিল অভিযোগ করে বলেন, আমার ছেলে, আমার স্ত্রী ও ভাইকে মিথ্যে মামলা দিয়ে বিভিন্ন হয়রানির সিকার করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে এর সুষ্ট বিচার চাই।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

six − 4 =