জুয়া জায়েয করতে আলমগীরের ভ্যানগার্ড মাদ্রাসা, এতিমখানা! (পর্ব-০২)

0
685

মোহাম্মদ জুবাইর: পোর্ট কানক্টিং রোডে লায়লা হোটেল নামের পতিতালয় বন্ধ হওয়ার পর নিষিদ্ধ জুয়ার আসর চালু করে টাকা আয়ের পথ চালু করে তথাকথিত স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর ওয়ার্ড নেতা হিসেবে পরিচিত আলমগীর হোসেন প্রকাশ আলমগীর। নেতা না হয়েও কোন পদ পদবী ছাড়াই দলীয় ব্যানারে নিজের ছবি সাঁটিয়ে হালিশহর থানাধীন ছোটপুল ইসলামিয়া ব্রিকফিল্ড এলাকায় নিজেকে নেতা হিসাবে জাহির করে মানুষের কাছে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে আলমগীর। শুধু তাই নয়, জুয়ার আসর জায়েয করতে পৈতৃক সম্পত্তিতে নির্মিত ভবনে ভাড়া দেওয়া মাদ্রাসা ও এতিখানা’কে ব্যবহার করছে ভ্যানগার্ড হিসেবে। বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, “মহাধুমধামে চলছে জুয়া, পুলিশের অভিযানে মিলছে না সুফল” ও ‘দিনে নেতা রাতে চালায় জুয়া’ খায় ফেন্সিডিল আলমগীর।

এই শিরনামে দুটো খবর প্রকাশিত হওয়ার পর প্রতিবেদকের সাথে আসর চালানোর বিষয় নিয়ে রীতিমত দৌড়ঝাঁপ শুরু করেছেন আলমগীর। জুয়ার টাকা মাদ্রাসা ও এতিমখানার পিছনে ব্যয় করা হয় এমন ধোহাইও দেওয়া হচ্ছে। যদিও জুয়ার টাকা দিয়ে ইয়াবা ফেনসিডিল ক্রয় করে নিজে সেবন করেন আলমগীর। পাশাপাশি খেলোয়াড়দের মাঝে বিক্রিও করা হয় ইয়াবাও ফেনসিডিল। রয়েছে অনায়াসে খাওয়ারও সকল ব্যবস্থা।

এ বিষয়ে জানতে আলমগীরের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তা বন্ধ পাওয়া গেছে। অপরদিকে তার ছবি সম্বলিত দলীয় পোস্টার নিয়ে অপরাধ বিচিত্রাতে সংবাদ ছাপানোর পর বড়পুল মোড়, মাওলানা সিএনজি পাম্পের সামনে, ছোটপুল শাপলা কমিউনিটি সেন্টার, কাঁচাবাজার ইত্যাদি স্থান থেকে টাঙানো ব্যানারও নামিয়ে ফেলেছেন জুয়াড়ি আলমগীর।

এদিকে প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে গুনঞ্জনও শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে হালিশহর থানার নীরব ভূমিকা নিয়েও। স্থানীয় সূত্র জানায়, শনিবার ও রবিবার মহাধুমধামে খেলা চলেনি। খেলোয়াড়দের আনাগোনা ছিল তুলনামূলক কম। কয়েকটি ঘরে বিভক্ত হয়ে খেলা পরিচালনা করা হত। কিন্তু রবিবার একটি ঘরে ছোট পরিসরে খেলা চালানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে অবগত করার জন্য হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আলমগীরের জুয়া বন্ধে আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। সুশীল সমাজ জানতে চায়, সাবেক ওসি রফিকুল ইসলাম থাকাকালীন সময় খেলা বন্ধ ছিল। বর্তমানে হালিশহর থানা পুলিশ ব্যবস্থা নিলে স্থায়ীবন্ধের ব্যবস্থা নিলে খেলা চলার পিছনে নেপথ্য কি?

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

four × two =