সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনে চান্দগাঁও থানার ওসি মাইনুরের চ্যালেঞ্জ

0
1147

মো: রাশেদুল ইসলাম: চট্টগ্রাম নগরীতে অপরাধের স্বর্গরাজ্য খ্যাত চান্দগাঁও থানা এলাকা। চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, ছিনতাই, জুয়ার আসর, পতিতালয় থেকে শুরু করে এমন কোন অপরাধ নেই যা এখানে ঘটে নি। তবে মাঝেমধ্যে র‌্যাবের অভিযান দেখা গেলেও অপরাধ দমনে পুলিশের ভূমিকা ছিল নমনীয়।এসব অপরাধ দমন করতে না পারায় বিগত ওসিদের নানা বির্তক-সমালোচনা এবং বদনাম কুড়িয়ে থানা ছাড়তে হয়েছে। তবে বর্তমান ওসি মইনুর রহমান বিগত দিনে বিভিন্ন থানা ও দপ্তরে পেশাগত দায়িত্ব পালনে সাধারণ মানুষের মন জয় ও সেবা দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চান্দগাঁও থানা এলাকায় সন্ত্রাস ও অপরাধ দমনকে তিনি চ্যালেঞ্জ হিসেবে গ্রহণ করেছেন। ২০২১ সালের ২৬ আগস্ট  চান্দগাঁও থানায় যোগদান করার পর থেকে একজন মানবিক ওসি হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি।ওসি মইনুর রহমানের নৈতিক দায়িত্বের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে কাজ করে যাচ্ছেন চান্দগাঁও থানার পুলিশ সদস্যরাও।মইনুর রহমান শুধুমাত্র থানার পুলিশদের জন্য কাজ করে ক্ষ্যান্ত হননি। তিনি নিরলস ভাবে চান্দগাঁও থানা এলাকার অসহায় মানুষদের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। ওসি মইনুর রহমান একজন ব্যতিক্রমধর্মী মিষ্টি ভাসি পুলিশ অফিসার। প্রতিনিয়ত তিনি সহকর্মী ও সাধারণ জনগণের আদর্শগত ভিন্নতা মেনে নিয়ে পরস্পরের সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন দেশ ও মানুষের কল্যাণে। ‘পুলিশ জনগণের বন্ধু’এই মন্ত্রকে বুকে ধারণ করে তিনি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আধুনিকতা, প্রযুক্তি ও সততা এবং মেধার দক্ষতা দিয়ে অপরাধ দমন করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন।

সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনবান্ধব পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে ইতোমধ্যে চান্দগাঁও থানা এলাকায় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন ওসি মইনুর রহমান। থানাকে দালালমুক্ত ও জনবান্ধব হিসেবে গড়ে তুলেছেন তিনি। মিথ্যা মামলা যাতে না হয় সে বিষয়ে তিনি সব সময় খেয়াল রাখেন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দের সাথে মিলেমিশে কাজ করে যাচ্ছেন। পুলিশি সেবা আরো জোরদার করার পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন তিনি। মাদকের বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরীর মাধ্যমে অনেকটাই কমেছে মাদক নিয়ে অস্থিরতা।

এছাড়া তিনি থানায় যোগদানের পর থেকে স্কুল, কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের নৈতিকতা, বাল্য বিবাহ, মাদক, ইভটিজিং, মোবাইল’র অপব্যবহারসহ বিভিন্ন বিষয়ের উপর সচেতনামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছেন। তার মতো দক্ষ, সৎ ও কর্তব্যপরায়ন পুলিশ অফিসার বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর জন্য গর্ব।

তার নির্দেশনা ও বিচক্ষণতায় দ্রুত উন্মোচণ হচ্ছে রহস্যে ঘেরা মামলার জট, আটক হচ্ছে অপরাধীরা। বহু মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত ও সাজাপ্রাপ্ত আসামীদের দ্রুত সময়ে আইনের আওতায় এনে ব্যাপক সফল তিনি।

একজন নেতা যেমন কর্মীদের অনুপ্রেরণা দিয়ে নেতৃত্ব প্রদান করে সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যান, একজন কোচ যেভাবে কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে শিষ্যের কাছ থেকে সেরাটুকু বের করে নিয়ে আনেন,

একইভাবে তিনি তার অফিসারদের কনফিডেন্স লেভেল তৈরি করে কাজ করিয়ে নেন। শত বিপদে, প্রতিকূলতার মধ্যে তিনি বট গাছের ন্যায় আগলে রাখেন অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যদের।

চান্দগাঁও থানার এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, “ওসি স্যার অসংখ্য সৃজনশীল নির্দেশনা তৈরি করে অধীনস্থ অফিসারদের নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেন। স্যারের নির্দেশনা পালনে সব সময়ই আমরা প্রস্তুত। তার অনুপ্রেরণাই কাজের প্রতি কমিটেড করে দেয় আমাদেরকে।

” থানার মানুষের চোখে একজন সৎ, আদর্শবান, ন্যায়নিষ্ঠ ও গরিবের বন্ধুসুলভ পুলিশ অফিসার মইনুর রহমান। তিনি তার সততা ও বিচক্ষণ বুদ্ধিমত্তা এবং মেধার বিকাশে তার দায়িত্বরত এলাকা মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, মামলা হ্রাস, চোর-ডাকাতের উৎপাত ও দখল বাজদের হাত থেকে মুক্ত করেছেন। তার চোখে ধনী-গরিব সব শ্রেণিপেশার মানুষ সমান।

তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বেশে মানুষের মাঝে উপস্থিত হয়ে মানুষের সুখ দু:খের কথা শুনছেন। তিনি একজন সৎ ও অন্যায়ের কাছে আপোষহীন পুলিশ অফিসার। মামলা নয়, আপোস হলে ভালো হয়-এই সেøাগানে উদ্বুদ্ধ হয়ে তার থানায় অধিকাংশ অভিযোগ বাদী-বিবাদীর মধ্যে আপোসের মাধ্যমে সমাধান করে দেন। ফলে মানুষের মধ্যে প্রতিহিংসা কমেছে অনেকাংশে।

থানায় আসা সেবা প্রত্যাশী একজন নারী জানান, সম্প্রতি আমার একটা সমস্যা নিয়ে থানায় অভিযোগ করেছিলাম। সমস্যা সমাধানে স্যারের আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি ছিল না। আমার দেখা পুলিশ অফিসারের মধ্যে সেরা এই স্যার।

যদি বলি একজন মানবিক অফিসার, যদি বলি একজন নিষ্ঠাবান অফিসার, যদি বলি একজন অসাধারণ ভালো মানুষ, সব বিশেষণ স্যারের সঙ্গে মিশে আছে। জানতাম না এতো মানবিক অনুভূতির পুলিশও আছে।

চান্দগাঁও থানায় অফিসার ইনচার্জ মইনুর রহমান বলেন, “একজন সাধারণ মানুষ যখন আইনের সেবকদের কাছে ন্যায় বিচার পাবে ঠিক তখনি মানুষের মাঝে পুলিশের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস জেগে উঠবে। আমি মনে করি সাধারণ মানুষ যখন আমাদের কাছে আসতে পারবে ঠিক তখনি তারা অন্ধকার জীবন থেকে আলোর পথে ফিরে আসবে।

একজন পুলিশের পক্ষে সম্ভব, একজন অপরাধীকে ঘৃণার দৃষ্টিতে না দেখে আইনের মাধ্যমে তাকে আলোর পথে নিয়ে আসা। আমরা চেষ্টা করতে পারি তাকে ভালো হওয়ার সুযোগ দেয়ার। আমরা সত্যিকার অর্থে মানুষের স্বপ্নের পুলিশ হতে চাই।”

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

two × 3 =