সম্পদের লোভে শারিরীক নির্যাতন জমি দখল সহ প্রাণ নাাশের হুমকি অভিযোগের ব্যবস্থা নিচ্ছে না দেবীদার থানা

0
589

মোল্লা নাসির উদ্দিন: সম্পদ আত্মসাৎ করার উদ্দেশ্যে দীর্ঘদিন যাবৎ অমানবিক শারিরীক নির্যাতন জমি দখল ও প্রাণ নাশের হুমকির অভিযোগ উঠছে চাচাতো ভাইদের বিরুদ্ধে। আহত বাদি গত ৩১/১০/২০২২ইং তারিখ ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য গেলে বিবাদী পক্ষ তাকে আটক করে। ২০ সালে ইউসুফ শাহজাহান মিলন-এরা ভিকটিম মিনু আক্তারের বাবা আবদুল মজিদকে পানিতে ডুবিয়ে মারার অপচেষ্টা করে। এ সময় তার ভাইপো রুহুল আমিন দেখেতে পায় তার দাদাকে পানিতে ডুবিয়ে মারতে। রুহুল আমিনের চিৎকারে মিনুর বাবা মুত্যুর হাত থেকে বেঁচে যায়। এ ব্যাপারে মিনু অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, আমার ভাই মানিক এর ছেলের মাথা ফাটায় ইউসুফ। যখন মানিক এর ছেলেকে দেখে তখন ইউসুফ তাকে দা বা ধারালো কিছু হাতে নিয়ে শিশু বাচ্চাটিকে ধাওয়া করলে এলাকাবাসী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানালে তারা কোন বিচার করেনি। চেয়ারম্যান এর ভাই জহিরুলকে এ বিষয়টি জানালে আমাকে কোন উপকার না করে উল্টো আমাকে ও আমার ভাইকে ধমক দিয়ে বিদায় করে দেয়। এরপর ০৬-০৬-২০২০ ইং পুকুর থেকে মাছ চুরি করে নিয়ে যায়। ০৯-০৬-২০২০ ইং ঘর থেকে বড় দুটি খাসি চুরি করে নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে জহিরুলকে জানালে ডিআইজি শাহআলম জাহিদ চেয়ারম্যানকে উদ্ধার করে দিতে বলে-কিন্তু চেয়ারম্যান উল্টো আমাদের বলে এর বিচার বা উদ্ধার আমরা করতে পারবো না। থানায় বা কোর্টে গিয়ে মামলা করেন। আসামিদ্বয় (১) মো: ইউসুফ (৩৫) (২) মো: শাহজাহান (৩০), (৩) মো: আশ্রাফুল ওরফে আসাদুল (২৭), উভয় পিতা: মো: হারুন-অর-রশিদ, (৪) মো: হারুন-অর-রশিদ (৬০), পিতা: মৃত সোনা মিয়া, (৫) মোসা: হেপি আক্তার (২২), পিতা: মো: হারুন-অর-রশীদ, (৬) মোসা: নুরজাহান (২৩), স্বামী: মো: আশ্রাফুল, (৭) মোসা: মিলন বেগম (৫৫), স্বামী: মো: হারুন-অর-রশিদ, (৮) সানু বেগম ওরফে শাহনাজ বেগম (৪০) স্বামী বাবুল মিয়া, পিতা: হারুন অর রশিদ (৯) নুর জাহান, স্বামী আশরাফুল ওরফে আসাদুল (১০) রফিক (৪০), (১১) আবদুস ছামেদ পিতা: জনু মিয়া (১১) ফারুক (২৫), পিতা: রফিক, (১২) রাসেল, পিতা আবদুস ছামেদ, (১৩) নাসিমা আক্তার (৪৫), স্বামী মোসলি উদ্দিন, সর্ব সাং: সাইচাপাড়া, থানা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা। ২৯-১১-২০২০ ইং, ২২-১-২০২২ ইং ২৩-১-২০২২ ইং ৩০-১০-২০২২ ইং কুমিল্লার দেবিদার থানায়  গেলে থানা কোন অভিযোগ করে নি এবং কোন প্রকার সহযোগিতা করে নাই।

আমি নিম্নস্বাক্ষরকারী এই মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, বিবাদীগণ আমাদের একই বাড়ি লোক। জায়গা জমি নিয়া বিবাদীদের সাথে আমার দীর্ঘদিন যাবৎ বিরোধ চলিয়া আসিতেছে। বিবাদীগণ আমাদেরকে অসুহায় ও দুর্বল পাইয়া সব সময় আমাদের প্রতি অন্যায় অত্যাচার ও জুলুম করিয়া আসিতেছে। কারণে অকারণে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি সহ মারপিট করিতে আসে।

পানি ফেলার গটনার কেন্দ্র করিয়া ৩০/১০/২০২২ইং তারিখ সকাল অনুমান ০৮ ঘটিকার সময় বিবাদীগণ সহ আরো অজ্ঞাতনামা ২/৩ জন লোক বেআইনী জনতা দলবদ্ধ হইয়া হাতে দা, লোহার রড, লাঠি সোটা নিয়া অন্যায় অনধিকারভাবে আমাদের বসত বাড়িতে প্রবেশ করিয়া আমাদের পশ্চিম ভিটির বসত ঘরের টিনের বেড়া পিটাইয়া কুপাইয়া ভাংচুর করিয়া অনুমান ৩০,০০০/- হাজার টাকার ক্ষতি সাধন করে।

তখন আমি বিবাদীগণকে বাধা দিলে বিবাদীগণ আমাকে এলোপাতাড়িভাবে পিটাইয়া আমার শরীরের বিভিন্ন অংশে নিলা, ফুলা, থেতলানো, রক্ত জমাট বেদনা দায়ক জখম করে। ১নং বিবাদীর হাতে থাকা লোহার রড দ্বারা আমার ডান পায়ের হাটুর নিচে বাড়ি মারিয়া রক্তাক্ত কাটা জখম করে। ২নং বিবাদীর দুই হাত দ্বারা আমার গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। ৩নং বিবাদী আমার চুলের মুঠোয় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া ও আমার গায়ে থাকা কামিজ টানিয়া ছিড়িয়া ফেলিয়া বিবস্ত্র করিয়া শ্লীলতাহান করে।

৭নং বিবাদী আমার গলায় থাকা ১ ভরি ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যাহার ৮০, ০০০ হাজার টাকা হইবে নিয়া যায়। আমার ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ১নং সাক্ষী আমাকে রক্ষা করিতে আসিলে বিবাদীগণ ১নং সাক্ষীকে এলোপাতাড়িভাবে পিটাইয়া ১নং সাক্ষীর শরীরে বিভিন্ন অংশে ছেচা, ফুলা, থেতলানো রক্ত জমাট বেদনা দায়ক জখম করে। ২নং বিবাদীর হাতে থাকা বাঁশের লাঠি দ্বারা ১নং সাক্ষীর প্রাণে হত্যার উদ্দেশ্যে ১নং সাক্ষীর বাম পায়ে পেটে লাথি মারিয়া কাটা রক্তাক্ত ফুলা বেদনাদায়ক জখম করে।

৫নং বিবাদী ১নং সাক্ষীর তল পেটে লাথি মারিলে উক্ত লাথির আঘাতে ১নং সাক্ষীর তল পেটে বেদনা দায়ক জখম হয় (বর্তমানে ১নং সাক্ষী ৫ মাসের অন্তসত্ত্বা)। ৪নং বিবাদীর দুই হাত দ্বারা ১নং সাক্ষীর গলায় চাপিয়া ধরিয়া শ্বাসরুদ্ধ করিয়া প্রাণে হত্যার চেষ্টা করে। ১নং বিবাদী ১নং সাক্ষী চুলোর মুঠোয় ধরিয়া টানা হেচড়া করিয়া শ্লীলতাহানী করে।

৬নং বিবাদী ১নং সাক্ষীর গলায় থাকা ৮ আনা ওজনের একটি স্বর্ণের চেইন যাহার মূল্য ৪০, ০০০/- হাজার টাকা হইবে নিয়া যায়। আমার ও ১নং সাক্ষীর ডাক চিৎকারে উপরোক্ত অন্যান্য সাক্ষীগণ সহ আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে আসিলে বিবাদীগণ চলিয়া যায়। আমার ও ১নং সাক্ষীর শরীরের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় আমি ও ১নং সাক্ষী দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হই।

বর্তমানে বিবাদীগণ বলাবলি করিতেছে যে সুযোগ মত পাইলে আমাকে ও আমার পরিবারের লোকজনদেরকে প্রাণে মারিয়া ফেলিবে বলিয়া প্রকাশ্যে হুমকি প্রদর্শন করিতেছে। আমার ও ১নং সাক্ষীর চিকিৎসার সনদপত্র পরে দাখিল করা হইবে।

আমি চিকিৎসার কাজে ব্যস্ত থাকায় থানায় অভিযোগ দায়ের করিতে বিলম্ব হইল। আমি হাসপাতালে ভর্তি থাকায় আমার অভিযোগখানা আমার ভাই মো: জালাল মিয়া, পিতা: আব্দুল মজিদ, সাং: সাইচাপাড়া, থানা: দেবিদ্বার, জেলা: কুমিল্লা এর মাধ্যমে থানায় প্রেরণ করেছিলাম। কিন্তু থানা কর্তৃপক্ষ ৩০ হাজার টাকা দাবি করে। চাহিদা মোতাবেক টাকা না দিতে পারায় তাদেরকে ভয়ভীতি দেখিয়ে থানা হতে বের করে দেয়।

আমরা বর্ণিত সমস্যা সামাধানের জন্য অত্র এলাকার মেম্বার, চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের কাছে একাধিকবার ধরনা দেই। কিন্তু আমার চাচাতো ভাইদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের কারণে কেউ আমাদের সহায়তায় এগিয়ে আসেন নাই। এই ব্যাপারে সংক্ষুদ্ধ ভিকটিম আমার অভিযোগের সমর্থনে সংশ্লিষ্ট সকল কাগজপত্র সহ আইজিপি, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, পুলিশ সুপার, কুমিল্লা সহ সংশ্লিষ্ট বিভাগে অভিযোগ দায়ের করেন।  

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

fifteen − two =