Site icon Aparadh Bichitra

নতুন প্রজন্মকে ই-সিগারেটের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে আমদানী, বিপনন, বিক্রয় বন্ধের বিকল্প নেই

আগামী প্রজন্মকে তামাক ও ই –সিগারেটের ভয়াল গ্রাস থেকে রক্ষা করতে ই-সিগারেটের আমদানী, বিপনন ও বিক্রয় বন্ধ করতে হবে পাশাপাশি, তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। ১লা ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাক মুক্ত বাংলাদেশ গঠনে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এসব কথা জানান তিনি। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ আরও জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে ‘অত্যাবশ্যকীয় পণ্যের তালিকা’ থেকে সিগারেটকে বাদ দিতে কমিটি গঠন করেছে। আশা করছি এটা হয়ে যাবে। অন্যদিকে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক প্রণীত তামাক নিয়ন্ত্রণ আইনের সংশোধিত খসড়া যথাযথ ও যুগোপযোগী হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ফোরামে এই আইনটির পক্ষে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবো । সরকারের সকল মন্ত্রণালয়, বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন একযোগে কাজ করলে ২০৪০ সালের আগেই তামাকমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করা সম্ভব।’

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) কাজী জেবুন্নেছা বেগম। পাবলিক প্লেসে ধুমপানের ফলে পরোক্ষ ভাবে ধুমপানের শিকার হচ্ছে নারী ও শিশুরা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সর্বোচ্চ রাজস্ব প্রদানকারী হিসেবে তামাক কোম্পানীগুলোকে সম্মাননা প্রদান করা হয়, যা খুবি দুঃখজনক।

আলোচনা সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের  অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার, ভাইটাল স্ট্রাটেজিস এর বাংলাদেশের হেড অব প্রোগ্রাম মোঃ শফিকুল ইসলাম।

তারা বলেন, ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০০৫ অধিকতর সংশোধনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া আইনটি দ্রুত পাশ করে এর বাস্তবায়ন না করা হলে, আগামী প্রজন্ম আরও বেশি আসক্ত হয়ে পরবে যা দেশ ও জাতির জন্য বয়ে আনবে মারাত্মক বিপদ।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মালেকা খায়রুন্নেছার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, ঢাকা আহছানিয়া মিশনের স্বাস্থ্য ও ওয়াস সেক্টরের পরিচালক ইকবাল মাসুদ ও মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আহছানিয়া মিশনের উপ-পরিচালক মোঃ মোখলেছুর রহমান।