Site icon Aparadh Bichitra

দেহ ব্যবসার স্বর্গে পরিনত যাত্রাবাড়ী

ইমন খাঁন: রাজধানী ঢাকার কয়েকটি জোন খুবই প্রসিদ্ধ দেহ ব্যবসায়ীদের জন্য। এর মধ্যে ভি আই পি এলাকার বাহিরে ইদানিংকালে যাত্রাবাড়ীর নাম সর্ব উপরে। যাত্রাবাড়ী আবাসিক এলাকাসমুহ জুড়ে বিভিন্ন বাসায় ফ্ল্যাটে দেহ ব্যবসায়ীরা খুবই চতুরতার সাথে ভাড়া নিয়ে অসামাজিক কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। কোন কোন ক্ষেত্রে দেখা যায় কিছু বাসা ও ফ্ল্যাটের মালিকরাও এই অসামাজিক কাজের সাথে জড়িত। দেহ ব্যবসায়ীরা ও তাদের দালালরা অতি সংঘবদ্ধ ও শক্তিশালী। যাত্রাবাড়ীর কিছু কিছু এলাকায় এলাকার সচেতন মহল প্রতিবাদ করতে গিয়ে দেহব্যবসায়ী ও তাদের দালালদের আক্রমণের শিকার হতে হয়েছে বহুবার। এসব বিষয়ে বিভিন্ন পত্রিকার, টিভির সংবাদকর্মীরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে তাদের সাথেও অসৌজন্যমুলক মারমুখী আচরণ করে এসব অসামাজিক কাজের মূল হোতারা। এলাকায় জনস্রুতি আছে স্থানীয় প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েও কোন প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছেনা। এ কারণে  এলাকাবাসীর ক্ষোভের অন্ত নেই। পতিতা ব্যবসার মাধ্যমে ঠেকবাজি ব্যবসাও খুবই রমরমা। ভুক্তভোগী ২/১ জনের সাথে কথা হলে জানা যায়-এসব এলাকার পতিতাদের দালালরা কাস্টমার জোগাড় করে দেহব্যবসায়ী মহিলার রুমে আগে থেকেই গোপন ক্যামেরা সেট করে রাখে, পুরো অনৈতিক কাজের ভিডিও ধারণ করে, হঠাৎ করে রুমে কিছু পোলাপান ঢুকিয়ে কাস্টমার লোকটার উপরে নির্যাতন শুরু করে উলংগ ছবি তুলে সাথে থাকা ঘড়ি, মোবাইল, টাকা পয়সা সব নিয়ে ব্ল্যাকমেইল শুরু করে।

বলে তোর ছবি ভিডিও ইন্টারনেটে ছেড়ে দেবো তোর বউ ছেলে মেয়ে বাবা মায়ের কাছে পাঠিয়ে দেবো বাচতে চাইলে টাকা বিকাশে এনে দেয়, কল দেয়, ব্যাংক এটিএম কার্ড এর পাসওয়ার্ড দেয়। এভাবে করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়। এসব ঘঠনার প্রায় শতভাগই ভুক্তভোগী গোপন রাখেন। দু একজন মুখ খুলে কিংবা আইনের আশ্রয় নিতে গিয়ে উল্টো অপমানজনক পরিস্থিতির শিকার হতে হয়েছে বলে জানা যায়।

তাই এসব ব্যবসায় ঝুঁকি কম মনে করে এসব দেহব্যবসায়ী ও তাদের দালালচক্র নিরাপদ ব্যবসা হিসেবেই নিয়েছে। আর এই ঠেকবাজি ব্ল্যাকমেইলিং ব্যব্যসার শিকার হতে হয় বেশিরভাগ ব্যবসায়ী এবং স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছেলেরা। এই দেহ ব্যবসায়ী মেয়েরা ইদানীংকালে আরেকটি সহজ পন্থা অবলম্বন করে। সেটি হলো বহু বিবাহ। বিভিন্ন স্থানে এরা খুব ভাল ড্রেসাপে দামী মেক আপে অবিবাহিতা কলেজ পড়ুয়া সুন্দরী কিশোরী সেজে ঘুরে বেড়ায়।

বিভিন্ন ধনীর দুলাল কম বয়সী কিংবা জোয়ান বুড়ো যাই হোক টাকাওয়ালা বিবাহিত অবিবাহিত পুরুষদের টার্গেট করে প্রেমের জালে জড়িয়ে খুব তাড়াতাড়ি ২/৩ মাসের মধ্যে যদি বুঝে যে মুটামুটি ভাল টাকাওয়ালা তাহলে বিয়ের জন্য না না ধরনের চাপ দিতে থাকে, কোন কোন সময় বিভিন্ন সময়ে অন্তরংগ মুহূর্তের ছবি ভিডিও দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অনংকের দেনমোহরে বিয়ে করে।

কিছুদিন গেলেই অশান্তি শুরু করে হাজারো সমস্যার সৃষ্টি করে তালাকের চাপ দেয়, কিছু পুরুষ বাধ্য হয়ে তালাক দেনমোহর দিয়ে দিলেও কিছু কিছু পুরুষ তা করতে ব্যার্থ হলে এই দেহব্যবসায়ীরা নিজে থেকেই তালাক দিয়ে দেনমোহরের, যৌতুক নারী নির্যাতনের মামলা টুকে দিয়ে হয় দেনমোহর উদ্ধার করে না হয় জেলে পছিয়ে মারে

। এসব পতিতা মাদকসেবী মাদকব্যাবসায়ীদের পিছনে সমাজের বিভিন্ন পর্যায়ের প্রভাবশালী চরিত্রহীন পুরুষ মহিলার খুব শক্তিশালী সিন্ডিকেট আছে বলে এরা এত বেপরোয়া। এমনইভাবে সমাজের এই ক্যন্সারে আক্রান্ত যাত্রাবাড়ী ও তার আস পাশের এলাকা যথা-কাজলা, শনির আখড়া, দনিয়া, রায়েরবাগ, মাতুয়াইল, জুরাইন, ধোলাইপার, মীরহাজীরবাগ প্রভৃতি এলাকায় রমরমা দেহ ব্যবসায় নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এলাকার যুব সমাজ।

দেহ ব্যবসার পাশাপাশি এসব পতিতা ও তাদের দালালরা মাদকের ব্যবসা ও করতেছে বলে তথ্য পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর জোর দাবী যাত্রাবাড়ী থানা যেনো যাত্রাবাড়ী এলাকায় দেহব্যবসায়ী ও মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে জোরালো অভিযান চালানোয়। জানা যায় ভুক্তভোগী এলাকার এলাকাবাসীগণ অতি তাড়াতাড়ি দেহব্যবসায়ী মাদকব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে ডিসি (ওয়ারী জোন) এর বরাবরে স্বারকলিপি প্রদান করবেন।