পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় অনুমতি না নিয়েই শিলাইকুঠি দাখিল মাদ্রাসার গাছ কর্তন

0
439

মুহম্মদ তরিকুল ইসলাম: পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসা প্রশাসনের কোনো অনুমতি বা টেন্ডার ছাড়াই ১টি কৃষ্ণচূড়া গাছ কর্তনসহ চারটি আম গাছের ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। মাদ্ররাসা পরিচালনা কমিটি অবৈধভাবে কৃষ্ণচূড়া গাছটি কর্তন পূর্বক বিক্রি করে দিয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার (১৯ মার্চ) দুপুরে উপজেলার বুড়াবুড়ি ইউনিয়নের শিলাইকুঠি বালাবাড়ী দাখিল মাদ্রাসায় এই গাছ কর্তন করা হয়। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, একটি কৃষ্ণচূড়া গাছ কর্তন ও চারটি আম গাছের বড় ডালপালা কেটে ফেলা হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাদ্রাসার মাঠ প্রাঙ্গণে ১৫ থেকে ২০ বছর আগে কয়েকটি মেহগনি ও আম গাছসহ এই কৃষ্ণচূড়ার গাছটি লাগানো হয়েছিল। হঠাৎ স্টেইজের কথা বলে মাদ্রাসা কমিটি অপূর্ব সৌন্দর্য্যরে এই গাছটিকে বিলীন করে দিয়েছেন। 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, সামান্য বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করার দরকার নেই। মাদ্রাসার উন্নয়নের স্বার্থে স্টেইজ বানানোর জন্য এই গাছটি কাটা হয়েছে।

মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সভাপতি মোঃ আমিন আলী বলেন, আমরা ভাই মাদ্রাসার স্টেইজ বানানোর জন্য কৃষ্ণচূড়া ফুলের গাছটি দেড় হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

ইউএনও স্যার আমাদের গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে। বিশেষ করে আমরা কমিটির সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে গাছটি কেটেছি। এতে বন বিভাগের কোন অনুমতি নেয়া হয়নি।

মাদ্রাসার সুপার বদরুল আলম সরকার বলেন, আমরা রেজুলেশনের মাধ্যমে ও ইউএনও স্যারের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে গাছটি কেটেছি।  

উপজেলা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সওকত হোসেন বলেন, ‘এই বিষয়ে আমার জানা নেই, গাছ গুলো মাদ্রাসার হলে আপনি পত্রিকায় লিখেন।

কেন লিখতে বলছেন প্রশ্নে তিনি বলেন, অনিয়ম করলে তাকে ধরতে হবে তাই আপনি পত্রিকায় লিখেন। আমার কাছ হলো শিক্ষা নিয়ে দেখা। এটি প্রশাসন ও বন বিভাগের বিষয়।’

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) সোহাগ চন্দ্র সাহা বলেন- আমি এ বিষয়ে অবগত নয়, কেউ আমার কাছ থেকে অনুমতি নেয়নি। তিনি এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে বলবেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন।    

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seventeen − six =