টিএসআই সফিকের খুটির জোড় কোথায়? সফিককে রুখবে কে?

0
538

সুলতান মাহমুদঃ সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে  অটোরিক্সা ধরে ডাম্পিং-এ এনে টাকা রেখে রেকার বিলের রিসিট না দিয়ে অটোরিক্সা ছেড়ে দিচ্ছে টিএসআই সফিক। তথ্য পেয়ে সাংবাদিক গিয়ে জিজ্ঞাসা করলে সন্ত্রাসী ও চামচা বাবুলকে দিয়ে হেনস্তা করে সাংবাদিককে। ঘটনা মোবাইল কলে ও হোয়াটস আপের ক্ষুদে মেসেজে পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ট্রাফিক)কে অবগত করলেও কোন ব্যবস্থা নেয়নি দুর্নীতিবাজ টিএসআই সফিকের বিরুদ্ধে। অটোরিক্সার রেকার বিলের টাকা যাচ্ছে কোথায়? কোণ খাতে খরচ হচ্ছে? নেই কোণ হদিস।   

ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার কারনে সকলের নিত্যদিন পড়ে থাকতে হয় অসহ্য জ্যামে, অথচ শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা ডোকা সম্পূর্ণ নিষেধ।যানজট নিরসনের জন্য রাখা হয়েছে ট্রাফিক পুলিশ ও যানযট নিরসন কর্মী , অথচ প্রতিনিয়ত দেখা যায় শহরের মেইন রাস্তায় ঢুকে পড়ে শত শত ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা /মিশুক। খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, এসব অটো বা মিশুক বেশিরভাগই কিছু সাংবাদিক,ট্রাফিক পুলিশ, নেতাকর্মীদের পালিত কেডারদের। এসব অটোরিক্সা ও মিশুক নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছে অসাধু কুচক্রি একটি মহল সাথে জড়িত ট্রাফিক পুলিশ ও কিছু নামকরা সাংবাদিক।

গত১৫/০২/২০২৩ইং তারিখে একজন গরিব মিশুক চালকের গাড়ি বিক্রি করে দেওয়ারও অভিযোগ রয়েছে টিএসআই সফিকের বিরুদ্ধে।চালক তার গাড়ি কিছুক্ষণ খুজাখুজি করার পরে দৈনিক মুক্ত খবরের প্রতিনিধি মোঃ সেলিম মাহবুবের কাছে গেলে, তিনি টিআই করিম’র কাছে যাওয়ার কথা বলেন।

টিএসআই শফিক ঘটনাটি জানার পর চাষাড়া পুরাতন ফাড়ি, (ডাম্পিং) এ মিশুক চালকে ডেকে এনে ভয়-ভীতি দেখিয়ে গাড়ি বাবদ ৩৫/৪০ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে ২ দিনের মধ্যেই তা পরিশোধ করে দিবে বলেন। একজন টিএস আই যদি ২ দিনে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা বাবদ অর্থ দন্ড দেয়, তাহলে সে দৈনিক কতো টাকা ইনকাম করে?তথ্য সুত্রে জানা যায় প্রতিমাসে প্রায় ১ কোটি টাকা পকেটে ভরে টিএসআই সফিক। এছাড়া শফিকসহ আরো কিছু টিএস আইের নামে অভিযোগ আছে বকে জানা যায়, তারা চেকপোস্ট ছাড়াও অসহায় মানুষের গাড়ি ধরে নিয়ে এসে জরিমানা করে বিল ছাড়া ৫/৭শ’ টাকা রেখে ছেড়ে দেয়। কিছু গাড়ির চালক রেকার বিল দিলেও বিলের রসিদ প্রধান করে না টিএসআই ও তাদের পালিত সবত্রাসী। ডাম্পিং এর ভিতরে ক্ষনে ক্ষনে মিলে কিছু সাংবাদিকের দেখা, যারা অপ-সাংবাদিকতা করে দুর্নীতিবাজ ট্রাফিকদের সহয়তা করে।
অনেক দিন যাবত ঘটনাগুলি পুলিশ সুপার ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ট্রাফিককে জানালেও কোন আইনত ব্যবস্থা নেয়নি দুর্নীতি বাজ টিএসআইদের বিরুদ্ধে। 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − three =