মেহেন্দিগঞ্জের ইউএনওর বিরুদ্ধে অভিযোগ জেলা প্রশাসকের কাছে। 

0
309

স্টাফ রিপোর্টার : প্রভাবশালী মহলের ঘুষ নিয়ে কিছু অসাধু কর্মকর্তার সাথে যোগসাজশ করে মেহেন্দিগঞ্জের উলানিয়াতে চলছে দিনরাত অবৈধভাবে মাটি কাটা ও বালু উত্তোলন।গত ৯ মার্চ বরিশালের বিভাগীয় কমিশনারসহ স্থানীয় ইউএনওর কাছে লিখিতভাবে অভিযোগ করেও ভুক্তভোগী ও কৃষকরা ব্যর্থ হয়েছেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে।অভিযোগ সূত্র মতে, স্থানীয় গোবিন্দপুর ইউপির মেম্বর জসিম,মৃত আক্কেল রাড়ির পুত্র সালাউদ্দিন রাড়ি,পূর্ব ষাট্টির বাসিন্দা মোতাহার হাওলাদারের পুত্র মুজাহার উদ্দিন মুবিন,হযরত আলীর পুত্র আরিফ মোল্লা,মকবুল আহমদের পুত্র মোস্তাফিজুর রহমান সহ একটি প্রভাবশালী চক্র বিভিন্ন মহলে ঘুষ দিয়ে দিনরাত চালাচ্ছে এই অবৈধভাবে বালু উত্তোলন,মাটি কাটা। স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন প্রধান ইউএনওর বিরুদ্ধে রয়েছে ‘ম্যানেজ’ হওয়ার অভিযোগ।এ বিষয়ে লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছেন মাইনুল ফৈরাদি নামে একজন ভুক্তভোগী। তিনি ২৮ মার্চ বরিশাল জেলা প্রশাসকের কার্যালয় এ অভিযোগ দায়ের করেন।

স্থানীয় কৃষকদের দাবী, উলানিয়া ইউনিয়নে ড্রেজার দিয়ে চলছে বালু কাটার মহোৎসবের মূল হোতা মেম্বর জসিম। উপজেলার উত্তর উলানিয়া ইউনিয়নের হর্ণি গ্রামে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু কাটার অভিযোগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুন্নবীর হস্তক্ষেপে প্রায় মাসখানেক আগে বালু কাটা বন্ধ করে দেয় নৌ-পুলিশ কালীগঞ্জ স্টেশন ইনচার্জ মো. ফারুক হোসাইন। বন্ধ করার ১ মাসের মাথায় স্থানীয় প্রশাসনকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আবারও বালু উত্তোলন করছেন অভিযুক্ত মহলটি।

ফসলি জমি ও সরকারি খাল-বিল বাদ পড়েনি এ বালু কাটা থেকে। একটি প্রভাবশালী মহলের ছত্রচ্ছায়ায় কয়েক দিন যাবৎ সালাউদ্দিন রাঢ়ীর জমি হইতে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু কেটে তা বিক্রি করছে। কিন্তু ড্রেজার মালিক প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি দিয়ে তাদের কাছে জমি এগ্রিমেন্ট রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে।

এদের মধ্যে সাইফুল ইসলাম ফৈরাদী বলেন, বালু উত্তোলন সাময়িক বন্ধ থাকলেও নতুন করে পুনরায় বালু উত্তোলন করার পায়তারা করছেন মহলটি। স্থানীয়রা জানান, ড্রেজার স্থাপন করে মাটি উত্তোলন করার খনন করা জায়গাটি গভীর হওয়ার পর আশপাশের জমিগুলোতে ভাঙনের সৃষ্টি হয়।স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম জামাল মোল্লা অবৈধ ব্যবসার বিরুদ্ধে ইউএনওকে অবগত করেছেন,তবে দৃশ্যমান কোন ব্যবস্থা গ্রহনের কথা জানেন না তিনি। ওদের অবৈধ কাজের মালামাল ক্রোক না করা পর্যস্ত কোন কাজ থামবে না।

বিষয়টি নিয়ে মেহেন্দিগঞ্জের  ইউএনও মো.নুরুন্নবিকে লিখিতভাবে জানতে চাইলে বলেন’ বৃহস্পতিবার আমরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছি।বিস্তারিত লিখিতভাবে জানানো হবে।’ 

অফিসার ইনচার্জ শফিকুল ইসলামকে জানতে চাওয়া হয় যে, ইউএনও ‘ব্যবস্থা নেয়া’র সুপারিশ করলেও কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি কেন?  এ প্রশ্নে কোন সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

seven + six =