মো: আব্দুল হাই: জানা যায় কেরানীগঞ্জ আবদুল্লাহপুর নাদিয়া মেডিকেল হলে ডাক্তার জাকারিয়ার অপচিকিৎসায় কুয়েত প্রবাসী জৈনিক হামিদুল্লার (৫০) এর শিশু সন্তান সোলাইমানের মৃত্যু হয়েছে, শিশু সোলাইমান জন্মগত হৃদরোগে আক্রান্ত ছিল, তার মা-বাবা ভারত থেকে চিকিৎসা করিয়া বাচ্চাটিকে দেশে আনলে সে সুস্থ্য ও স্বাভাবিক জীবন যাপন শুরু করেন, তার বাবা প্রবাসে থাকায় শিশু সোলইমানের ঠান্ডা-কাশি ও জ্বর হওয়ায়, বাচ্চাটির মা আবদুল্লাহপুর নাদিয়া মেডিকেলে নিয়া গেলে, কসাই ডাক্তার জাকারিয়া কোন পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই দ্রুত রোগী দেখার নিমিত্তে বাচ্চাটির পূর্বের রোগ সম্পর্কে অবগত হয়েও (৭ দিন) ঈবভঃরুড়হব ইনজেকশন দেয়ার কথা বলে, প্রথম ডোজ দেওয়ার পর শিশু সোলাইমানের অবস্থা খারাপ হয়ে গেলে বাচ্চাসহ তার মা আবারও ডা: জাকারিয়ার শরনাপন্ন হয়ে ঔষধ পরিবর্তনের কথা বললেও কসাই ডা: জাকারিয়া জানায় ইনজেকশন পুশ করাই তার জন্য উত্তম, তার কথা মত পরবর্তীতে ৫ দিনে ৫ ডোজ দেওয়ার পর শিশুটি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। মা-বাবার কাছে সন্তানেরা অনেক আদরের এটি সর্বজন বিধিত। কসাই ডা: জাকারিয়া ও ফার্মেসীর মূল মালিক সাইফুল বিষয়টি স্থানীয় ভাবে রাফ-দফা করার জন্য বহু চেষ্টা করে,
এটি একটি নির্মম হত্যাকান্ড যার দায়ভার কসাই জাকারিয়া এড়িয়ে যেতে পারে না। শিশু সোলইমানের মা কাজল রেখা সন্তান হত্যার বিচার চেয়ে গত-০৬/০৩/২০২২ইং তারিখে নিজে বাদী হয়ে কেরানীগঞ্জ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ডা: জাকারিয়া গংদের বিরুদ্ধে মামলা করেন, সি.আর মামলা নং ৩৭৯/২২ চলমান মামলায়
ডা: জাকারিয়া ও মালিক সাইফুল ওয়ারেন্ট প্রাপ্ত পলাতক আসামী। মৃত্যু সোলাইমানের মা কাজল রেখার অভিযোগের ভিক্তিতে ম্যাজিষ্ট্রেট শিশু সোলইমানের হত্যার প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য পি.বি.আই এর উপর তদন্তভার ন্যাস্ত করেন, এ শিশু হত্যা ঘটনার রহস্য উম্মোচনে বেগ পেতে হয়, পি.বি.আই কর্মকর্তাদের দীর্ঘ ১ বছর অনুসন্ধানের পর গত ০৬/০৩/২০২৩ আং তারিখে
এসআই শহীদুল্লাহ ডা: জাকারিয়া ও মালিক সাইফুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন, শিশু সোলইমানের হত্যাকান্ডে এলাকায় চাপ উত্তেজনা বিরাজ করছে এলাকাবাসীর দাবী ৩ বছরের শিশু সোলাইমানের উপর ডাক্তারের নির্মমতা ও অপচিকিৎসায় মৃত্যুর তথ্য পাশবিকতার কাছে মানবিকতা যাতে আর ধরাসায়ী না হয়।