আশুলিয়ায় বাড়ী নির্মাণে বাধা, থানার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ

0
438

আশুলিয়া প্রতিনিধি: সৌদি প্রবাসী মো: হাসান জীবনের কষ্টার্জিত সকল অর্থ দিয়ে গাজীপুর জেলার কাশিমপুর থানার পূর্ব বাঘ বাড়ীতে নয় শতক জমি ও আশুলিয়া থানার ইয়ারপুর ইউনিয়নে ছয় শতক জমি ক্রয় করে দু:সম্পর্কের আত্মীয় কাছ থেকে ২০১৮ সালে। কিন্তু চার বছর অতিবাহিত হলে তার ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ীঘর নির্মাণ করতে পারছে না প্রবাসী হাসান। বাড়ীঘর নিমার্ণ করতে গিয়ে মারাত্মক শারিরীক নির্যাতনের শিকার হতে হয় নিরহ হাসানকে। সিন্ডিকেটের হাতে নির্যাতিত হয়ে প্রতিনিয়ত প্রাণনাশের হুমকিতে শঙ্কার মধ্যে পরিবার নিয়ে দিনযাপন করছেন ভুক্তভোগী হাসান। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, লক্ষিপুর জেলার রায়পুর থানার সাইচা গ্রামের আব্দুল মান্নানের পুত্র মো: হাসান দীর্ঘ ২৬ বছর মধ্যপ্রাচ্যে সৌদী আরবে থাকার পরে দেশে এসে চাচা শ্বশুর মো: বাবুল হোসেনের প্ররোচনায় কাশিমপুর থানার পূর্ব বাঘ বাড়ীতে মো: আব্দুস ছামাদ মিয়ার জমি ক্রয় করানোর জন্য বিভিন্নভাবে প্রলোভন দেখিয়ে আসছিল। অন্যদিকে মো: বাবুল হোসেনের শ্বশুর মো: আব্দুস ছামাদ মিয়া। জামাই শ্বশুরের এমন প্রতারণার জাল জালিয়াতে আটকে যাবে মো: হাসান তা কখনো গুণাঘরে টের পায়নি। জমির মূল্য ২৮ লক্ষ টাকা দলিলে উল্লেখ করা হলেও জমি শতক প্রতি ৪ লক্ষ ৬৬ হাজার টাকা আদায় করা হয় ভুক্তভোগী হাসানের কাছ থেকে। যেখানে মিডিয়া খরচ বাবদ প্রতি শতক জমিতে ২ লক্ষ টাকা করে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সুচতুর মো: বাবুল হোসেন। যেখানে জমির রেজিস্ট্রি খরচ সহ প্রায় ৪২ লক্ষ টাকা চলে যায় জালিয়াতির চক্রটির হাতে। এ যেন মগের মুল্লুক, নিজের জমিতে অন্যের দাড়োগা গিরি খবর দারি। শেষ পর্যন্ত হাসানের কাছ থেকে তার জমিতে বাড়ী নির্মাণে ইট-বালি সিমেন্ট ক্রয় করার জন্য ৫ লক্ষ টাকা আব্দুল হালিম নিলেও সে টাকাও ফেরত দেয়নি প্রতারক চক্র।

এইখানে ঘটনাটি শেষ নয় জমির খতিয়ান ১২১ দাগ নং-২৫৬ হোল্ডিং নং-১১৯৪ পূর্ব বাঘবাড়ী থানা কাশিমপুর জেলা গাজীপুর। অন্য আরেকটি জমির খতিয়ান ৯৭৩২ দাগ নং-১৬৭৫-১৬৮১, হোল্ডিং নং-৯৭৩২ দিয়াখালী মৌজা এই জায়গার ৫০ বছরের খাজনা দাখিলা পরিশোধ করতে হয় মো: হাসানকে। সবকিছু পরিশোধ করার পরে তার নামে দলিল রেজিস্ট্রার সম্পূর্ণ হলেও জমির মালিক মো: হাসান তার জমিতে বাড়ী করতে গেলে আরেক প্রতারণার শিকার হতে হয় তাকে। শেষ পর্যন্ত আশুলিয়া থানা

দিয়াখালীতে আব্দুস ছামাদের ভাই  আতিকুর রহমান ওরফে আব্দুর রহমানের কাছ থেকে ৬ শতক ক্রয়কৃত জমিতে বাড়ীঘর নিমার্ণ করতে গেলে মো: বাবুল হোসেন ও তার শ্বশুর আব্দুস ছামাদের ইন্ধনে আব্দুস ছামাদের ছেলে আব্দুল হালিম মো: হাসানকে হুমকি দিয়ে বলে-তোমার এই বিল্ডিং এর কাজ আমার নেতৃত্বে হবে, তুমি আমার কাছ থেকে চাবি বুঝে নেবে। আমার কথা না মানলে তোমাকে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে দলের ছেলেদের খরচের জন্য। উল্লেখ্য আব্দুল হালিম এলাকায় বিএনপির বিতর্কিত নেতা হিসেবে পরিচিত। তাদের ভয়ে তটস্থ এলাকাবাসি।

নিরূউপায় হয়ে মো: হাসান অন্য ৬ শতক জমিতে বাড়ী নিমার্ণ করতে গেলে সেখানে আব্দুল হালিম বাঁঁধা প্রদান করে অস্ত্রের মুখে অর্তকিতভাবে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে হাসানকে ধারালো অস্ত্র চাপাতি দিয়ে কুঁপিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করেন। এই ব্যাপারে মো: হাসানের ভাই মো: মাসুদ  আলম বাদী হয়ে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত  ঢাকায়  ৬ জনকে  আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন।

  সিআর মামলা নং-২৫৪/২০২৩ মামলার ধারা ৩২৪/৩২৫/ ৩২৬/৩০৭/৩৮৮/১০৯ দন্ডবিধি মামলার অভিযুক্ত আসামীরা হলেন আব্দুল হালিম (৪০) ইব্রাহিম (৩৫) মো: মনির (৩৫) মো: বাবুল (৪২) মো: আব্দুস ছামাদ (৬২) মামলাটি আশুলিয়া থানা তদন্তনাধীন রয়েছে। মামালার তদন্ত কর্মকর্তা এমদাদুল হক জানান, আমরা শীঘ্রই ঘটনাটি তদন্ত করে চার্জশীট আসামীদের বিরুদ্ধে দাখিল করবো এবং ঘটনাস্থলে এসে হাসানের বন্ধ থাকা জমিতে  কাজ চালু করে দিয়ে যায় এর পরেও আব্দুল হালিম রাতের অন্ধকারে বিভিন্ন ভয়ভীতি প্রাণনাশের হুমকি দেয় চাঁদার জন্য।

বতমানে জীবনের অর্জিত সব হারিয়ে আইন আদালত প্রশানের দ¦ারে দ্বারে ন্যায় বিচার পাওয়ার জন্য ঘুরে বেড়াচ্ছে মো: হাসান। জমি সংক্রান্ত প্রতারণার বিষয়টি মো: বাবুল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ছাগলের দামে কেউ যদি পছন্দ করে গরু কিনে তাহলে আমি কি করবো,

আমার মিডিয়ার দালালি আমি নিয়ে নিয়েছি, বেশি বাড়াবাড়ি করলে আমি কোর্টের উকিল, একটি মামলা দিয়েছি প্রয়োজন হলে আরও ১০ টি মামলা দিবো। ভুক্তভুগী মো হাসান বলেন পরিশ্রমের টাকা দিয়ে জমি কিনে আজ আমি প্রতারণার শিকার। প্রতারক কারীদের কি কোন বিচার হবে না। আমার দখল প্রাপ্ত ন্যায্য জমিটুকু আমাকে বুঝিয়ে দেওয়া হউক। এটাই প্রশাসনের কাছে আমার আকুল আবেদন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

nineteen − seven =