বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট জামাতিদের অভয়ারন্য, ইসলামি ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো: তৌহিদুল আনোয়ার এর বিরুদ্ধে অভিযোগ

0
350

অপরাধ বিচিত্রা: ইসলামি ফাউন্ডেশনের রাঙ্গামাটি জেলার প্রাক্তন উপপরিচালক এর বিরুদ্ধে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই অভিযোগ দির্ঘদিনের। এক অভিযোগে জানা গেছে ইসলামি ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের কর্মরত থাকাকালিন জামাত শিবির সমর্থিত থাকায় তিনি জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি চরম অবঞ্জা অসৌজন্য ও অসন্মান প্রদর্শন করে আসছেন। ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রধান কার্যালয় ও এর অধীনস্থ শাখা অফিস সমুহের বাহিরে রক্ষিত প্রধান সাইনবোর্ডে ইসলামি ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ কথাটি উল্লেখ করার জন্য দির্ঘদিন আগে প্রধান কার্যালয় হতে সকল অফিসে পত্র প্রদান করলেও অদ্যাবধি রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয়ের সাইনবোর্ডে তা লেখা হয়নি। এ এই কাজটির মাধ্যমে বুঝা যায় যে মো: তৌহিদুল আনোয়ার জামাত এর সংশ্লিষ্ট বিধায় তিনি সাইনবোর্ডে প্রধান কার্যালয়ের নির্দেশ থাকার পরেও তা অমান্য করে। আরো জানা যায় সম্পতি পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষ্যে ইসলামি ফাউন্ডেশন রাঙ্গামাটি জেলা কার্যালয় হতে প্রকাশিত স্থানীয় ক্যালেন্ডারে প্রতিষ্ঠাতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কথাটি উল্লেখ করার জন্য রাঙ্গামাটি জেলার এমপির প্রতিনিধি ও পৌর আওয়ামীলীগ সম্পাদক জনাব মনসুর আলী উপপরিচালককে অনুরোধ করলেও তিনি তা অগ্রাহ্য করেন বলে জানা যায়। এ কারনে তার সাথে বাক বিতন্ডাও হয়। তিনি প্রায় সময়েই দুর্গম এলাকায় সফরের কথা বলে অফিসে অনুপস্থিত থাকেন। এমনকি জেলা পরিষদের মিটিংগুলোতেও তিনি থাকেন না। এ ছাড়া রাঙ্গামাটি উপজেলা কার্যালয়ের সকল সুপারভাইজারগ সব সময় জেলা কার্যালয়ে উপস্থিত থাকেন। জানা গেছে মাসিক সমম্বয় কমিটির সভায় তিনি উপস্থিত থাকেন বলে জানা গেছ্।ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানিয়েছেন তিনি সচিবের আত্মীয়। তাই কাউকে পরোয়া করেন না।  

সরকার নিয়ন্ত্রিত দেশের একমাত্র বৃহৎ দ্বিনি প্রতিষ্ঠান ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে কব্জায় নিতে জামাত বিএনপির অপ তৎপরতা এই প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার পরপরই পরিলক্ষিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান ইসলামের সঠিক প্রচার ও প্রসারের লক্ষ্যে ১৯৭৫ সালে ইসলামি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালে ১৫্ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ডের পর জামাত চক্র এ প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রনে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে।

১৯৯৬ সালের জাতীয় নির্বাচনে জয়লাভ করে বর্তমান সরকার ১ম বার রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিতি হবার পর এ প্রতিষ্টানকে সঠিক ধারায় ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করে। কিন্তু চতুর জামাত অনুসারিরা রাতারাতি সরকার দলীয় সমর্থক বনে গিয়ে তা কব্জায় রাখে। সে সময় নিগৃহিত করা হয় বঙ্গবন্ধুর আদর্শের কর্মকর্তা, কর্মচারীদের, দুরবর্তি স্থানে বদলী করা হয়। শুধু তাই নয় শো কজ, বিভাগীয় মামলা করে হয়রানী ও নির্যাতন করা হয়। অনেক কর্মকর্তা কর্মচারিকে চাকুরিচ্যুত করা হয়। এভাবেই ইসলামি ফাউন্ডেশনে জামাতের রামরাজত্ব কায়েম করা হয়।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালে জাতিয় নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ জয়লাভ করার পর মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২য় বার ক্ষমতায় আসার পর সরকার গঠন করলে পুনরায় জামাত বিএনপি অনুসারিরা সরকার সমর্থক হয়ে যায় তাদের গোপন উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্য। তারা নিজেদের বাচাতে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের ম্যানেজ করে নিজেদের রক্ষা করতে সফল হয়ে যায়। এর পরেই সরকার সমর্থক কর্মকর্তা কর্মচারিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করে চরিত্র হনন করে তাদের ভাবমুর্তি ক্ষুন্ন করে অত্যান্ত সুচতুর ভাবে নিজেদের অবস্থান পাকাপোক্ত করে ফেলে।

একই ভাবে বর্তমানেও ইসলামি ফাউন্ডেশনের জামাতি কর্মকর্তারা সরকার সমর্থিত কর্মকর্তা কর্মচারিদের (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, মুক্তিযোদ্ধ সন্তান) দের বিরুদ্ধে সুপরিকল্পিতভাবে মিথ্যা অভিযোগ, অপপ্রচার, মিথ্যাচার, কল্পিত দুর্নীতির অভিযোগ সম্বলিত মিথ্যা বানোয়াট সংবাদ প্রচার করে কোনঠাসা করে চলছে। ধর্ম মন্ত্রনালয়ের উর্ধ্বতন জামাত পন্থি কর্মকর্তার গোপন সহযোগিতার মাধ্যমে তারা এ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে বলে সংশ্লিষ্ট একাধিক সুত্র জানিয়েছে।

ইতিমধ্যে তারা মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ, সুপরিকল্পিতভাবে চরিত্র হনন করে জামাতি কর্মকর্তার সহায়তায় বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা, বঙ্গবন্ধু পরিষদ ইসলামি ফাউন্ডেশনের আহবায়ক পরিচালক মহিউদ্দিন মজুমদারকে বায়তুল মোকাররম মার্কেটের দায়ত্ব থেকে সরিয়ে তাদের অবস্থান আরো পাকা পোক্ত করেছে। বর্তমানে বায়তুল মোর্কারম মসজিদ মার্কেট জামাতিদের অভয়ারন্যে পরিনত হয়েছে ।

সরকার সমর্থক অনেক কর্মকর্তা কর্মচারিদের ঢাকার বাহিরে দুরবতির্ স্থানে বদলী করা হয়েছে আবার জামাত বিএনপি সমর্থিতদের পদোন্নতি দেয়া হয়েছে পক্ষান্তরে সরকার সমর্থকদের বঞ্চিত করা হয়েছে।

২০২১ সালে হজ্বে জামাত নেতা কারাবন্ধি দেলোয়ার হোসেন সাইদির সাবেক পিএস মুজাহিদুল ইসলাম, শিবির ক্যাডার তৌহিদুল আনোয়ার, মো: জাহিদুল সহ চিহ্নিত জামাত অনুসারি কর্মকর্তা কর্মচারিদের সরকারী খরচে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছে। এভাবেই সরকারী খরচে জামাত শিবিরের লোকজন সরকারী সকল সুযোগ সুবিধা গ্রহন করছে আর ইসলামি ফাউন্ডেশন রেখেছে কাদের কব্জায়।

কাদের পরামর্শে কাদের সহযোগিতায় মন্ত্রনালয় ও ইসলামি ফাউন্ডেশন জামাত বিএনপির রামরাজত্ব কায়েম হচ্ছে তা অপরাধ বিচিত্রার অনুসন্ধানে রয়েছে আগামিতে আরো বিস্তারিত নিয়ে পাঠকের কাছে উপস্থাপন করা হবে। কারো কাছে কোন তথ্য থাকলে তা অপরাধ বিচিত্রা কার্যালয়ে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হলো। প্রয়োজনে নাম ঠিকানা গোপন রাখা হবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

9 − 4 =