কুমিল্লায় পুলিশের দাওয়া খেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা  নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একজনের মৃত্যু

0
704

কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধি: কুমিল্লার মুরাদনগরে ট্রাফিক পরিদর্শকের দাওয়া খেয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা খাদে পড়ে মহিউদ্দিন নামে এক যাত্রী নিহত হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ| বুধবার দুপুরে কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের মুরাদনগর উপজেলার কোম্পানীগঞ্জ এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটেছে। এতে বিক্ষুব্ধ জনতা দেবিদ্বার জোনের ট্রাফিক পরিদর্শক তারিকুল ইসলামকে ধাওয়া করলে সে দ্রুত মোটরসাইকেল নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। নিহত মহিউদ্দিন (৩২) পৌর এলাকার ভিংলাবাড়ি গ্রামের আলমাস মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা সুত্রে জানা যায় বুধবার দুপুরে কুমিল্লা সিলেট আঞ্চলিক মহাসড়কের কোম্পানীগঞ্জ বাস টার্মিনালের উত্তর পাশে বসে বিভিন্ন যানবাহনের তল্লাশি পরিচালনা করে ছিলেন দেবিদ্বার জনের ট্রাফিক পরিদর্শক তারিকুল ইসলাম। এ সময় যাত্রীবাহী একটি সিএনজিকে সিগনাল দিলে সে গতিরোধ না করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে অভিযোক্ত ট্রাফিক পরিদর্শক ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল যোগে সিএনজিটিকে পেছন থেকে ধাওয়া করেলে। এ সময় ভয়ে দ্রুতগতিতে পালাতে গিয়ে সিএনজিটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়কের পাশের একটি গাছের সাথে ধাক্কা লেগে খাদে পরে যায় । এতে ঘটনাস্থলেই সিএনজির আরোহী মহিউদ্দিন নিহত হন। এ ঘটনায় ওই ট্রাফিক পরিদর্শকের বিরুদ্ধে এলাকায় চরম ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।

এ অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ঘটনা অস্বীকার করে ট্রাফিক পরিদর্শক বলেন, সিএনজি চালিত অটোরিকশা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পরে দুর্ঘটনায় কবলে পরে একজনের মৃত্যু হয়েছে বলে আমি জনমুখে শুনেছি। তবে আমি কোন সিএনজিকে ধাওয়া করিনি আমার বিরুদ্ধে একটি কুচক্রী মহল মিথ্যা বানোয়াট গুজব ছড়িয়েছে, আমি দেবিদ্বারে নতুন এসেছি তাই আমি রেজিষ্ট্রেশন বিহীন গাড়ি চালকের লাইসেন্স বিহীন চালকদের মামলা দিয়েছি তাতে অনেকের সুবিধা উপর নিশ্চয়ই আঘাত এসেছে বলে আমি মনে করি। আমাকেও কেউ ধাওয়া করেনি, আমি নিয়ম অনুযায়ী সেখানে বিভিন্ন প্রকার যানবাহনের কাগজপত্র তল্লাশি করছিলাম। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনা অথবা নিহতের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই।

এ ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে হাইওয়ে পুলিশ মিরপুর ফাঁড়ির পরিদর্শক আলমগীর হোসেন বলেন, একটি সিএনজি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সাথে ধাক্কা লেগে একজন যাত্রী নিহত হয়েছে। আমরা দুর্ঘটনাকবলিত সিএনজিটি উদ্ধার করে ঘটনার সম্পর্কে তদন্ত করছি। তিনি বলেন এলাকার লোকজন ভিন্ন ভিন্ন তথ্য দিচ্ছেন। বাস্তব বিষয়টা তদন্তের মাধ্যমে বেরিয়ে আসবে।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × four =