নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিকের অভিযোগ

0
4110

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জনসচেতনামুলক কাজে অসহায়তা ও প্রতিবন্ধকতা করে বিভিন্নভাবে হয়রানী করায় নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে জনপ্রশাসন মন্ত্রনালয়ে প্রতিমন্ত্রীর বরাবর সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের অভিযোগ। ৩০ এপ্রিল অভিযোগ দায়ের করে বিভাগীয় কমিশনারকে অনুলিপি প্রদান করেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অনুলিপি প্রদান করা হবে বলে জানান সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। অভিযোগটি হুবহুব তোলে ধরা হলঃ

সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ, সভাপতি-জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার- অপরাধ বিচিত্রা, সম্পাদক ও প্রকাশক- সময়ের চিন্তা আপনাকে অত্যান্ত দুঃখের সাথে অবগত করছি যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুর হাফিজ আমার ও আমাদের সংগঠন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিকে জনসচেতনামুলক কাজে অসহায়তা ও প্রতিবন্ধকতা করে বিভিন্নভাবে হয়রানী করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট ১৯.০১.২৩ তারিখে সহায়তার আবেদন করে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন যে, আদালতের আদেশ আমান্য করে জোড় জবরদস্তি অবৈধভাবে তার মালিকানা ভুমিসহ সরকারি ভুমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ করছে কিন্তু কোন সহয়তা না পেয়ে ০৪.০২.২৩ইং তারিখে সংগঠনের চেয়ারম্যান বরাবর দুর্নীতি প্রতিরোধে ও আইনত সহায়তার আবেদন করে। আবেদনের প্রেক্ষিতে জেলা সভাপতি সাংবাদিক সুলতান মাহমুদকে ভুক্তভোগীকে সহায়তার দায়িত্ব অর্পন করেন সংস্থার চেয়ারম্যান। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে ঘটনা অবগত করলে সাক্ষাৎকারের সময় দেন ০৮ই ফেব্রুয়ারি ২০২৩। যথাযময়ে নিম্মস্বাক্ষরকারী ভুক্তভোগীকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের দপ্তরে গেলে, তিনি ঘটনা শুনে সিএকে ডেকে বলেন,“মৌসমীকে ডাক।” সিএ আতিক ফিরে এসে বলেন,“স্যার, স্যারতো এজলাসে আছেন।” তখন ডিসি বলেন,“এখনই ফোর্স নিয়ে অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিয়ে আসতে বল, আর উনার নাম্বার রাখ।” আমরা সিএ’র টেবিলে গেলে, সিএ আতিক আমাদের কাছে আবেদনের কপি চায়, ভুক্তভোগী বলেন, আবেদনের কপি আমার কাছে নাই, বাসায় আছে।” আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী বলি আমার কাছে মোবাইলে আছে।পাশের টেবিলের পিএ রহমান সাহেব তার হোয়াটস অ্যাপে দিলে, তিনি প্রিন্ট করে ২টি কপি দেন। কপি ২টি সিএ’র হাতে দিলে তিনি ড্রকাট নাম্বার চাইলে আমার সাথে কথা কাটাকাটি হয়।সিএ আতিকের কান কথায় জেলা প্রশাসক তার নির্দেশ ডিসেবল করে বেক ডেইটে ৭.০২.২৩ তারিখে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর দিয়ে চিঠি ইসু করেন,“আবেদীত বিষয়ে এ কার্যালয়ে কোন কার্যক্রম নেই।”স্মারক নং০৫.৪১. ৬৭০০.৩০১.৪৫.০০২.১৮-১৯৬(সং)। বিশ্বত্ব সুত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনেক অনিয়ম ও হয়রানী হচ্ছে।এরই প্রেক্ষিতে তথ্য আইনে তথ্য পেতে ০৯.০২.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ২টি আবেদন করি।৩০ কার্যদিবস পরে ১৬.০৩.২৩ তারিখে ঢাকা বিভাগী দপ্তরে আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট ২টি আপীল দায়ের করি।এরই মধ্যে  ০৯.০২.২৩ তারিখে সংগঠনের পেডে চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট পত্র প্রেরন করি। ২০.০২.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ২টি, ২৮.০২.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ৩টি, ০২.০৩.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ২টি আবেদন করি। তথ্য না পেয়ে ২৮.০৩.২৩ তারিখে ৭টি আপীল করি। ২৩ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে ইমেইলে আপীল শুনানীর নোটিশ পেয়ে জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ নিম্মস্বাক্ষরকারী ও আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে অসহায়তা ও হয়রানীতে লিপ্ত হয়।ইতিমধ্যে ০৫.০৩.২৩ তারিখে অপ-সাংবাদিকতা প্রতিরোধ, ন্দী ও খাল দখল প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও বিশ্ব ভোক্তা দিবসে আলোচনা সভায় ও সকালের র‍্যালীতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকার জন্য পত্র প্রেরন করি। জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ থাকবে, থাকবেনা, ব্যানারে নাম দেওয়া যাবে না, অফিসে আসেন ক্লারিফাই করব, এমন মেসেজ আদান প্রদান হয়। সংগঠনের প্রতিনিধি দল ০৯.০৩.২৩ তারিখে ডিসির দপ্তরে গেলে আলোচনা হয় এবং তিনি বলেন,“কেন তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন তার ক্লারিফাই করে পত্র দিতে বলেন।” আমরা ঐদিনই পত্র প্রেরন করি কিন্তু তিনি বিশ্ব ভোক্তা দিবস প্রোগ্রামে থাকেন নাই,বা কোণ প্রতিনিধি পাঠান নাই এবং পুলিশ সুপারকে নিয়ে আমরা অনুষ্ঠান করেছি। ০৫.০৩.২৩ইং তারিখে দুর্নীতি ও ভেজাল প্রতিরোধে তথ্য ও সচেতনতা মুলক কর্মসুচী প্রসঙ্গে সংগঠনের চেয়ারম্যান ডিসি বরাবর পত্র প্রেরন করেন এবং সকল ইউএনও, সকল উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা অনুলিপি দেন।কিন্তু আমাদের জেলা ইনভেস্টিগেশন টিমকে ডিসি বা জেলা প্রশাসন কোনভাবে সহায়তা করেননি বরং ফাদে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। ১২.০৩.২৩ তারিখে চাষাড়ার যানযট নিরসনে অবৈধ সিএনজি স্টান, অটো ও লেগুনা স্টান অপসারন করার জন্য পত্র প্রেরন করি।১৬.০৩.২৩ইং তারিখে ৩টি ও ২৮.০৩.২৩ইং তারিখে ১টি তথ্য ফরমে ইমেইলে তথ্য পেতে আবেদন করি।কিন্তু কোন তথ্য বা ইমেইল জেলা প্রশাসক থেকে পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জের সরকারি ও ব্যক্তিগত নাম্বারে কথা হয়েছে, হোয়াটস অ্যাপে অনেক মেসেজ আদানপ্রদান হয়েছে, অনেক ফেইসবুক লিংক পাঠিয়েছি, অনেক ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি কি আদৌ কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন? সুত্রমতে জেলা প্রশাসক আমার ও আমার সংগঠনের বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত গোয়েন্দা ও লাটিয়াল বাহিনী তৈরি করেছেন আমাকে ও আমার সংগঠনের সদস্যদের কাজে প্রতিবন্ধকতা ও হয়রানী করার জন্য।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

2 × 3 =