সুবিচার পাওয়ার প্রার্থনা করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের অভিযোগ

0
3779

নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জনসচেতনামুলক কাজে অসহায়তা ও প্রতিবন্ধকতা করে বিভিন্নভাবে মামলা ও সংবাদ প্রকাশ করে হয়রানী করায় সুবিচার পাওয়ার প্রার্থনা করে নারায়নগঞ্জ জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ে সিনিয়র সচিব জননিরাপত্তা বিভাগে সাংবাদিক সুলতান মাহমুদের অভিযোগ। ৩রা মে অভিযোগ দায়ের করে বিভাগীয় কমিশনারকে অনুলিপি প্রদান করেন এবং নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসককে অনুলিপি প্রদান করা হবে বলে জানান সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ। অভিযোগটি হুবহুব তোলে ধরা হলঃ

সবিনয় বিনীত নিবেদন এই যে, আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী সাংবাদিক সুলতান মাহমুদ, সভাপতি-জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা, সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার-অপরাধ বিচিত্রা, সম্পাদক ও প্রকাশক-সময়ের চিন্তা আপনাকে অত্যান্ত দুঃখের সাথে অবগত করছি যে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মঞ্জুর হাফিজ আমার ও আমাদের সংগঠন জাতীয় ভেজাল প্রতিরোধ ফাউন্ডেশন নারায়ণগঞ্জ জেলা কমিটিকে জনসচেতনামুলক কাজে অসহায়তা ও প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে বিভিন্নভাবে হয়রানী করছেন। নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট ১৯.০১.২৩ তারিখে সহায়তার আবেদন করে ভুক্তভোগী আমজাদ হোসেন যে, আদালতের আদেশ আমান্য করে জোড় জবরদস্তি অবৈধভাবে তার মালিকানা ভুমিসহ সরকারি ভুমিতে পাকা স্থাপনা নির্মান কাজ করছে কিন্তু কোন সহয়তা না পেয়ে ০৪.০২.২৩ইং তারিখে সংগঠনের চেয়ারম্যান বরাবর দুর্নীতি প্রতিরোধে ও আইনত সহায়তার আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগিকে নিয়ে জেলা প্রশাসকের নিকট গেলে অবৈধ স্থাপনা ভাঙ্গার নির্দেশ দিয়েও সিএ আতিকের কথায় অনৈতিক সুবিধা পেয়ে নির্দেশ স্টপ করে (বেক ডেইটে) ৭.০২.২৩ তারিখে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর দিয়ে চিঠি ইসু করেন,“আবেদীত বিষয়ে এ কার্যালয়ে কোন কার্যক্রম নেই।” স্মারক নং০৫.৪১. ৬৭০০.৩০১.৪৫.০০২.১৮-১৯৬(সং)। বিশ্বত্ব সুত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে অনেক অনিয়ম ও হয়রানী হচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে তথ্য আইনে তথ্য পেতে ০৯.০২.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ২টি আবেদন করি। ৩০ কার্যদিবস পরে ১৬.০৩.২৩ তারিখে ঢাকা বিভাগী দপ্তরে আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট ২টি আপীল দায়ের করি। এরই মধ্যে  ০৯.০২.২৩ তারিখে সংগঠনের পেডে চাষাড়ার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার জন্য জেলা প্রশাসকের নিকট পত্র প্রেরন করি। ২০.০২.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ২টি, ২৮.০২.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ৩টি, ০২.০৩.২৩ তারিখে তথ্যের জন্য ২টি আবেদন করি। তথ্য না পেয়ে ২৮.০৩.২৩ তারিখে ৭টি আপীল করি। ২৩ মার্চ ২০২৩ইং তারিখে ইমেইলে আপীল শুনানীর নোটিশ পেয়ে জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ নিম্মস্বাক্ষরকারী ও আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে অসহায়তা ও হয়রানীতে লিপ্ত হয়। ইতিমধ্যে ০৫.০৩.২৩ তারিখে অপ-সাংবাদিকতা প্রতিরোধ, নদী ও খাল দখল প্রতিরোধে ব্যবস্থা ও বিশ্ব ভোক্তা দিবসে আলোচনা সভায় ও সকালের র‍্যালীতে প্রধান অতিথি হিসাবে থাকার জন্য পত্র প্রেরন করি। জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জ থাকবে, থাকবে না, ব্যানারে নাম দেওয়া যাবে না, অফিসে আসেন ক্লারিফাই করব, এমন মেসেজ আদান প্রদান হয়। সংগঠনের প্রতিনিধি দল ০৯.০৩.২৩ তারিখে ডিসির দপ্তরে গেলে আলোচনা হয় এবং তিনি বলেন,“কেন তিনি প্রধান অতিথি হিসাবে থাকবেন তার ক্লারিফাই করে পত্র দিতে বলেন।” আমরা ঐদিনই পত্র প্রেরন করি কিন্তু তিনি বিশ্ব ভোক্তা দিবস প্রোগ্রামে থাকেন নাই,বা কোণ প্রতিনিধি পাঠান নাই এবং পুলিশ সুপারকে নিয়ে আমরা র‍্যালী অনুষ্ঠান করেছি। ০৫.০৩.২৩ইং তারিখে দুর্নীতি ও ভেজাল প্রতিরোধে তথ্য ও সচেতনতা মুলক কর্মসুচী প্রসঙ্গে সংগঠনের চেয়ারম্যান ডিসি বরাবর পত্র প্রেরন করেন এবং সকল ইউএনও, সকল উপজেলা ভুমি কর্মকর্তা অনুলিপি দেন। কিন্তু আমাদের জেলা ইনভেস্টিগেশন টিমকে ডিসি বা জেলা প্রশাসন কোনভাবে সহায়তা করেননি বরং ফাদে ফেলার পরিকল্পনা করেছেন। জেলা প্রশাসক নারায়ণগঞ্জের সরকারি ও ব্যক্তিগত নাম্বারে কথা হয়েছে, হোয়াটস অ্যাপে অনেক মেসেজ আদান প্রদান হয়েছে, অনেক ফেইসবুক লিংক পাঠিয়েছি, অনেক ছবি ও ভিডিও পাঠিয়ে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেছি কিন্তু তিনি  আদৌ কোন ব্যবস্থা নিয়েছেন কি? ০৯/০২/২৩ইং তারিখে চাষাড়া কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের পবিত্রতা রক্ষার রক্ষা প্রসঙ্গে, ০৫/০৩/২৩ ইং তারিখে নদী ও খাল দখল প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে, ও অপ-সাংবাদিকতা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহন প্রসঙ্গে, ১২/০৩/২৩ ইং তারিখে চাষাড়ার যানযট নিরসনে , অবৈধ সিএনজি স্টান, অটোরিক্সা ও লেগুনা স্টান অপসারণ প্রসঙ্গে, ২৮/০৩/২৩ ইং তারিখে দ্রব্যমুল্য উর্দ্ধগতি ও ভেজাল প্রতিরোধে ব্যবস্থা প্রসঙ্গে, নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাড়ার পরিবেশ রক্ষার ব্যবস্থা প্রসঙ্গে, মাহে রমজানের পবিত্রতা রক্ষায় ব্যবস্থা প্রসঙ্গে পত্র প্রেরন করি। ১৬.০৩.২৩ইং তারিখে ৩টি ও ২৮.০৩.২৩ইং তারিখে ১টি তথ্য ফরমে ইমেইলে তথ্য পেতে আবেদন করি। কিন্তু কোন তথ্য বা ইমেইল জেলা প্রশাসক দপ্তর থেকে পাওয়া যায়নি এবং জেলা প্রশাসক কোন ব্যবস্থা না নিয়ে আমাদের সংগঠনের প্রতি হিংসাক্তভাব নিয়ে ব্যক্তিগত আক্রোশে আমার ও আমাদের সংগঠনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য নামে-বেনামে নানা অজুহাতে কোন না কোনভাবে মিথ্যা অভিযোগ করিয়ে এসপিকে নির্দেশ দিচ্ছে আইনত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য। ডিসির নির্দেশের সেই পত্র দিয়ে মান্নান ভুইয়া ও মাসুদুর রহমান দিপু অপরাধ রিপোর্ট পত্রিকায়,  ইয়াদ পত্রিকায়, রুদ্রবার্তা পত্রিকায়, অগ্রবানী প্রতিদিন পত্রিকায়, sangbad16.com অনলাইন পোর্টালে মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করে। আমি নিম্মস্বাক্ষরকারী বিগত ১০ এপ্রিল ওমরা হজ্ব করার জন্য পবিত্র মক্কা ও মদিনায় অবস্থা করি এবং ২৭ তারিখে দেশে ফিরে জানতে পারি ডিসির যোগসাজসে মান্নান ভুইয়া ও মাসুদুর রহমান দিপু বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ করিয়েছে আমি আত্নগোপন করেছি, যেকোন সময় গ্রেফতার, টাকা আত্নস্বাদকারী ইত্যাদি। তাছাড়া দিপুকে দিয়ে সদর থানায় মিথ্যা জিডি করিয়ে তা সিআইডিতে তদন্তে পাঠানো হয়েছে সংবাদ করানো হয়। আমাকে ও সংগঠনের সদস্যদের অপহরন ও সাগর-রুনীর মত পরিনতি করবে, বিভিন্ন রকম মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাসিয়ে দিবে বলে প্রচারনা করতেছে। পত্রিকায় ও সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ ও প্রচার করে আমার ও সংগঠনের মানহানী ও আর্থিক ক্ষতি সাধন করেছে। এই হেন কাজে জেলা প্রশাসকের সিএ আতিক ও সেরেস্তাদার কাম্রুল জড়িত বলে জানা যায়।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

17 − 2 =