কুমিল্লার কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাহবুব আলমের অত্যাচারে দিশেহারা সাধারণ জনগণ সাংবাদিককে হত্যার হুমকি

0
631

বিশেষ প্রতিনিধি: কুমিল্লার কোতয়ালী থানার কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাহবুব আলমের অত্যাচারে দিশেহারা সাধারণ জনগণ। সাংবাদিককে হত্যার হুমকি। তথ্যসূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা শহরে এক মূর্তিমান আতংকের নাম হচ্ছে মাহবুব। হত্যা, সন্ত্রাস, ধর্ষণ যার নিত্য দিনের সঙ্গী। নিজেকে একজন প্রতিষ্ঠিত ঠিকাদার দাবী করলেও বাস্তবে সে পরধন লোভে মক্ত। নিজেকে হাজী পরিচয় দিলেও সৌদি আরব ও দুবাইতে বাসা বাড়িতে কাজের জন্য মহিলা পাঠালেও মূলত দেহ ব্যবসার কোম্পানিদের সাথে তার আছে নিবিড় সখ্যতা। এ পর্যন্ত কুমিল্লা থেকে প্রায় কয়েক শতাধিক মহিলা বিদেশে প্রেরণ করেন। তথ্যসূত্রে আরও জানা যায়, কুমিল্লার আন্ডার ওয়াল্ডের ডন হিসেবে মাহবুব পরিচিত। প্রশাসনের বাহিরে ভিতরে তার রয়েছে নিবিড় সখ্যতা। সময় অসময়ে তার চোখে যাকে আক্রোশের মনোভূত হয়েছে তাকেই তিনি বলির পাঠা বানিয়েছেন। তার অপকর্মের তথ্য অনুসন্ধান করতে মাঠে নেমেছেন অপরাধ বিচিত্রা। অনুসন্ধানে জানা যায়, ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে মহিউদ্দিন (৫২) পিতা মৃত: আব্দুল হামিদ একটি সিআর মামলা করেন যার নং ১১৭৫/১৯, মামলার আরজিতে বলেন, মাহবুব মহিউদ্দিনের চাচাতো ভাই তার ব্যবসায়ীক কাজের স¦াক্ষী ছিলেন। তার স্বাক্ষী থাকা অবস্থায় যখন মাহবুবের বিরুদ্ধে ব্যাংক মামলা করেন।

তখন মাহবুব মহিউদ্দিন কে তার মামলার ব্যাংক আসামী করছে বলে পুলিশের সহায়তায় গাড়ীতে উঠিয়ে থানায় নিয়ে জোরপূর্বক বাসা থেকে ব্যাংকের চেকের পাতা নিয়ে ১ কোটি ৫০ লাখ টাকার চেক নেন যার ব্যাংকের নাম শাহাজলাল ইসলাসী ব্যাংক লি: হিসাব নং ০০১১০০০০০০৩৫ চেক নং ০০০০০২২ তারিখ ০৮/০৯/২০১৯ টাকার পরিমাণ ১ কোটি ৫০ লাখ।

মামলাটি দায়ের করেন ০১/১২/২০১৯ মহিউদ্দিন মিয়া আরও বলেন, মাহবুব আমাদেরকে তার বসত বাড়ি বিক্রি করার কথা বলে কুমিল্লা শহরে তার বাড়ি বিক্রি করার কথা বলে ৩ (তিন) কোটি টাকা গ্রহণ করে পরবর্তীতে টাকা ও ফেরত দেয়নি বাড়ি হস্তান্তর করেনি। তাই তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা করি যার নং  সিআর ৭৮৬/২০ তারিখ ২৯/১০/২০২০। মহিউদ্দিন আরও বলেন, মাহবুব শহরে প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী দাবী করলে তার মধ্যে প্রতারণা ছাড়া আর কিছুই নেই।

সে বাজারের শষী ভান্ডারের বিক্রমপুরের লিটনকে তার বিয়ের কয়েকদিন পর তার বাসায় আটকিয়ে রেখে ৫০ ভরি স্বর্ণ আত্নসাৎ করে। কুমিল্লার সবচেয়ে বড় হোটেল সালাউদ্দিনের মালিকের সাথেও প্রতারণা করে তার বিরুদ্ধে মামলা করেন যার নং সিআর ২৩৬/২০ তাতে বলা হয় সে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করে আর তা ফিরিয়ে দেয়না। মাহবুব আলমের আক্রোশের স্বীকার এলাকার ছোট বড় সবাই। ব্যবসার মিথ্য প্রলোভন দেখিয়ে অনেক মানুষ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এলাকার এক ব্যবসায়ী বলেন, তার চোখে যে মহিলার রূপ যৌবন দেখে আকৃষ্ট হন তাকেই কাছে পেতে  বিশাল লোভিং শুরু করেন। তার লোলুপ দৃষ্টির কাজ সম্পাদন করতে ব্যবহার করেন কিছু কর্মকর্তা। সে নিজেও ভোগ করেন পাশাপাশি বিভিন্ন দপ্তরের প্রকৌশলীদের মনোরঞ্জনে করিয়ে নিজের ঠিকাদারী কাজের বিলের চেক সই করিয়ে নেন।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাহবুব আলমের সাথে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনে জানতে চাইলে, তিনি সাংবাদিককে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করেন। তিনি বলেন, তুই কোথায় আছিস এক ঘন্টার মধ্যে আমি তোকে উঠিয়ে আনবো। তোর অফিস ভেঙ্গে তছনছ করে দেব।

আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেব। তোকে প্যাকেট করে পাঠিয়ে দেব। তুই আমাকে তোর অফিসের ঠিকানা দে। শালা তুই আমাকে চিনিস না আমার যে অস্ত্র আছে তা দিয়া তোকে দুনিয়া থেকে ওপাড়ে পাঠিয়ে দেব। তার কথার উত্তরে সাংবাদিক মোলায়েম সুরে বলেন দুলাভাই আপনি আসেন আমার অফিসে আপনাকে জামাই আদর করব।

পেটপুরে খাওয়াবো। উত্তরে মাহবুব বলেন, তোর মতো অনেক সাংবাদিক দেখছি অনেক সাংবাদিকের হাত, পা ভেঙ্গে পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছি। আমি বিএনপি করি ইলিয়াস আলী আমার বন্ধু ছিল। সাংবাদিকরা হলো আমার টাকার গোলাম। সাংবাদিক পাল্টা উত্তরে বলেন, আপনার ভয় নাই আপনাদের মতো বড় আত্নীয়দের আমরা আদর করে খাওয়াই। সাংবাদিককে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে লাইন কেটে দেন।

অসহায় ভুক্তভোগীরা বলেন, কুখ্যাত সন্ত্রাসী মাহবুব আলমের হাত থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অথবা র‌্যাব তার বাসায় হানা দিলে বিপুল পরিমাণের মাদক ও অবৈধ অস্ত্র পাওয়া যাবে। মাহবুবের মত বড় সন্ত্রাসী ধরা পড়লে শান্তি ফিরে আসবে সাধারণ জনগণের মাঝে।  

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

3 + eleven =