বিশেষ প্রতিবেদক: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন ২ নং ওয়ার্ডে ছোটরা মৌজায় কবির জসিম গংরা জমি বিক্রি করে এক যুগ হলেও জমি দখল বুঝিয়ে দেয় নি জমির দাতাগণ। তথ্যসূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ১৮ই এপ্রিল সেলিম মিয়ার পক্ষে কবির হোসেন ও মিজানুর রহমান পাওয়ার অব এটর্র্নীর অনুকূলে পিয়ারুল ইসলামকে ৮ শতাংশ জমি বায়না দেন। জমি বায়না দেয়ার পর পিয়ারুল ইসলাম ৫ই মে ২০১২ ইং তারিখে দৈনিক রুপসী বাংলা পত্রিকার আইন গত নোটিশ তার নিযুক্ত কুমিল্লা জজকোর্টের সিনিয়র আইনজীবীর মাধ্যমে প্রকাশ করেন। তথ্যসূত্রে আরও জানা যায়, একই বছর ৯ই ডিসেম্বর ২০১২ ইং তারিখে মো: সেলিম মিয়া তার সহোদর ভাই মো: জসিম উদ্দিন পিতা মৃত: মো: আবুল কাসেম মাতা: জাহানারা বেগম পিয়ারুল ইসলামকে জমি দলিল প্রদান করেন। এ ব্যাপারে পিয়ারুল ইসলাম বলেন, জমি রেজিস্ট্রি পাওয়ার ০২/০১/২০১৩ ইং তারিখে তার সাথে জমির নামজারি ও জমি খারিজ হয়। তিনি আরও জানান, অদ্যবদি তিনি তার জমির ভূমি কর প্রদান করিয়া আসিতেছেন। যার হোল্ডিং নম্বর ০৩২৯-০৪ এবং বাখরাবাদ গ্যাস সিস্টেম লিমিটেড এর অনুমোদিত ডিমান্ড নোটের টাকা পরিশোধ করে একটি রাইজার অনুমোদিত হয় এবং তার জায়গার রাইজার বসানো হয়। যার ছাড়পত্র নং ১০১০ তারিখ ৩০ জুন ২০১৩। তারপর কুমিল্লা কুসিক প্রকৌশলী বি ৯৭৪/৩১-০১-২০১৭/১২৪৮ পিয়ারুল ইসলাম তার বাড়িতে নির্মাণ কাজের অনুমতি প্ল্যান পায় পিয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের আরও জানান যখন ছোটরা মৌজার ফাইনাল বি এস হয় তখন তার নামে ৮ শতাংশের ফাইনাল বি এস হয়। তার দখলকৃত সম্পক্তির ভিতর ৩টি ঘর ছিল। প্রতিমাসে সেখান থেকে ঘর ভাড়া পেত। তিনটি ঘরের মধ্যে একটি ঘর ভেঙ্গে যায় একটি আগুনে পুড়ে যায় আর ৩য় ঘরটি কবির হোসেন ভেঙ্গে নিয়ে যায়।
পরবর্তীতে বাউন্ডারী ওয়াল করার জন্য ইট, সুরকী, আনা হয়। তারপর যা হলো রাতের আধারে কবিরসহ একদল কুচক্রী মহল্ সব মালামাল নিয়ে যায়। এ ব্যাপারে সেলিমের সাথে আলাপ করলে সেলিম, জানান তিন সহোদর ভাই ইলিয়াস (৪৬), বেল্লাল (৪৪) ও সোলেমান মিয়া (৬০) ) সর্ব পিতা মৃত: সফিকুল ইসলাম । তারা পিয়ারুল ইসলামকে বাউন্ডারী ওয়াল নির্মাণে বাধা প্রদান করেন।
পিয়ারুল ইসলাম প্রতিকার চেয়ে মেয়র ও কাউন্সিলরকে আলাদা আলাদা লিখিতভাবে আবেদন করেন। স্থানীয় কাউন্সিলর বিষয়টি নিয়ে দীর্ঘদীন যাবৎ চেষ্টা করে ও সমাধান করতে পারেননি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোলায়মান, ইলিয়াস ও বেল্লাল এলাকার চিহ্নিত ভূমিদস্যু ও খারাপ প্রকৃতির লোক।
এলাকার একজন সম্মানীত ব্যক্তি জনাব সোহাগ সাহেব বিষয়টি দীর্ঘ ১১ বছর যাবৎ মীমাংসার চেষ্টা করে ব্যর্থ হন। উল্লেখ যে জমি দাতাগণ সেলিম ও জসিম এবং তাদের বড় ভাই কবির হোসেন পেয়ারুল ইসলামকে জমি বাউন্ডারী করে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা বলে এখনো বুঝিয়ে দিচ্ছে না।
আমি যখনি আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করতে যাই তখনি ইলিয়াস, সোলেমান, ও বেল্লাল আমাকে কাজে বাধা দেয় এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মোটা অংকের চাঁদা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত চাঁদা না দিলে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। যারা ছোটরা এলাকার জমি ক্রয় করে তারাই তাদেরকে চাঁদা না দিলে কোন নির্মাণ কাজ করতে দেয় না। পিয়ারুল ইসলাম সমাজ পতিদের দ্বারে দ্বারে প্রতিকার চেয়ে ঘুরছেন।
এলাকার সাধারণ জনগণ নাম প্রকাশ করার না শর্তে বলেন, বেল্লাল ও ইলিয়াস সোলায়মানের অত্যাচারে অতিষ্ঠ সাধারণ জনগণ। সন্ত্রাসী বেল্লাল গংদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আইনের দ্বারস্থ হবেন বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগী পিয়ারুল ইসলাম।