চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রিতে সুকৌশলে উৎস করের নামে বিধবার লক্ষাধিক টাকা প্রতারণা
বিচারের দাবিতে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট আবেদন

0
247

এম শাহীন আলম: চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার সদর সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে সরকারি উৎস করের নামে ভয়াবহ প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতারণার অর্থ ফেরত পেতে প্রশাসনের একাধিক উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট এক বিধবা একাধিক অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন বলে জানাল। জানা গেছে, বিধবার নাম মোছাঃ মারজিনা খাতুন তিনি রাজশাহী জেলার গোদাগাড়ী উপজেলার বাসুদেবপুর ইউনিয়নের হাতনাবাদ এলাকার প্রবাসী স্বামী মৃত জহুরুল ইসলামের স্ত্রী। ভুক্তভোগী বিধবার অভিযোগ, তিনি জানান, গত ০৯/০৭/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের মাধ্যমে ১০,৫০,০০০/- ( দশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার ) টাকার বিনিময়ে আমার.০৪৯৫ একর জমি বিক্রয় করি, যাহার দলিল নং- ৭১০১/২০২২, তারিখ- ২৯/০৭/২০২২, আমার এই জমিটির ক্রেতা চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রী অফিসের দলিল লেখক আবু শহীদ, পিতা- মৃত আবু সাঈদ, সনদ নং-১৯০ এর মাধ্যমে দলিল রেজিস্ট্রী সম্পূর্ণ করেন, ঐ সময় দলিল লেখক আবু শহীদ আমার ( বিক্রেতা) নিকট হইতে সরকারি উৎস করের কথা বলে ১০৫,০০০/- (এক লক্ষ পাঁচ হাজার ) টাকা আদায় করেন,ভোক্তভোগী মারজিনা খাতুন অপরাধ বিচিত্রাকে বলেন, জমিটির ক্রয়কৃত টাকা দিয়ে অন্যত্রে পুনরায় জমি ক্রয় করতে গেলে আলোচনার এক পর্যায়ে উৎস করের নামে আমার কাছ থেকে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার আমার সাথে দলিল লেখক আবু শহীদ এর প্রতারণার বিষয়টি অবগত হই/জানতে পারি এবং পরক্ষণে উৎস করের নামে অতিরিক্ত টাকা নেওয়ার ব্যাপারে দলিল লেখক আবু শহীদকে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি আমার সাথে অসৌজন্যমূলক ও কুরুচিপূর্ণ আচরণ সহ টাকা নেওয়ার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন, এক পর্যায়ে দলিল লেখক আবু সহিদ তাৎক্ষণিক ৫০০০/- (পাঁচ হাজার) টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন,যা কোন ভাবেই গ্রহনযোগ্য কিংবা মেনে নেওয়ার মতো নয়। মারজিনা আরো বলেন আমি গত ২৩/০৫/২০২২ খ্রিস্টাব্দ তারিখে এই বিষয়টি সাক্ষীদের সাক্ষর সহ চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা রেজিস্ট্রার ম্যাডাম এর নিকট একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করি। জেলা রেজিস্ট্রার ম্যাডাম সদর সাব-রেজিস্ট্রারের নিকট বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য চিঠি ইস্যু করলে সদর সাব-রেজিস্ট্রার জহিরুল ইসলাম গত ০৪/০৬/২০২৩ খ্রিস্টাব্দ রোজ রবিবার সকাল ৯টার সময় চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর সাব-রেজিস্ট্রার কার্যালয়ে উপস্থিত থেকে আমার সাক্ষীগণ সহ মৌখিক ও লিখিত বক্তব্য প্রদান করি। ঐদিন সদর- সাব রেজিস্ট্রারের কার্যালয় থেকে বের হয়ে যাওয়ার পথে সদর সাব-রেজিস্ট্রেশন অফিসে দলিল লেখক সমিতির সেক্রেটারি আমাকে এবং আমার সাথে থাকা আমার মেয়ের জামাই সহ সাক্ষীদের জনসম্মুখে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ সহ বিভিন্ন প্রকার ভয় ভীতি পরিদর্শন করেন। দলিল লেখক সমিতির সেক্রেটারী আরো বলেন, উপরোক্ত বিষয় নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে তোমার সমস্যা হবে বলে আমাকে হুমকি প্রদান করেন। এ বিষয়ে জেলা রেজিস্ট্রার সহ সংশ্লিষ্ট কারো কাছে কোন সুবিচার না পেয়ে আমি একজন বিধবা নারী আমার দুই ছেলে এক মেয়ে নিয়ে বহু কষ্টে মানবেতর জীবন যাপন করছি, এমতাবস্থায় প্রতারিত করে নেওয়া অর্থ ফেরত পেতে এবং প্রতারক দলিল লেখক আবু শহীদ এর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আইজিআর ঢাকা, দুদক চেয়ারম্যান মহোদয়,রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার, চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক, জেলা রেজিস্ট্রার, সদর সাব-রেজিস্ট্রারসহ সাপ্তাহিক অপরাধ বিচিত্রা পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক এর নিকট লিখিত অভিযোগ দায়ের করে সকলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং প্রতারক আবু সহিদ এর দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান।

উপরোক্ত বিষয়ে জানতে চেয়ে দলিল লেখক আবু সহিদ কে তার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান,জমির ক্রয় বিক্রয় এবং টাকা লেনদেনের বিষয়ে জমি ক্রেতা বিক্রেতা জানেন, পরে কল দিচ্ছি বলে তিনি কলটি কেটে দেন পরবর্তীতে তাকে একাধিক বার কল দিলেও তিনি কলটি বার বার কেটে দেন 

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty + 8 =