মোঃ আব্দুল আলীম, নাইক্ষ্যংছড়ি: নাইক্ষছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নর সর্বত্রই রাতে-দিনে বালি উত্তোলন ও পাহাড় কেটে প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংশ এক প্রভাবশালী সিন্ডিকেট।
বুধবার (২৩-আগস্ট) আনুমানিক বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় ঘুমধুম ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডস্থ ফকিরপাড়া পাকা রাস্তার পূর্ব পাশে আমতলীখালের ব্রীজের নিচে বিএসবি ইট ভাটার উত্তর পূর্ব পাশে, মগপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রবেশমুখে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালু উত্তোলনসহ আজুখাইয়া মসজিদের উত্তর পশ্চিম পাশে বিশাল পাহাড় কাটার মহোৎসব চালিয়ে যাচ্ছে আইন অমান্যকারী পাহাড় খেকো সিন্ডিকেটের প্রভাবশালী সদস্যরা। উক্ত বিষয়ে এলাকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয়দের কাছ থেকে জানতে চাইলে তারা বলেন, ঘুমধুমের ইউপি সদস্য আবুল কালাম, বিএসবি ইট ভাটার ম্যানেজার আমান উল্লাহ মৌল্লা,সাবেক ঘুমধুম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খালেদ সরোয়ার হারেজ দিনরাত বালু উত্তোলনসহ পাহাড় কাটার মহা উৎসবে মেতেছে। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে বিভিন্নভাবে হয়রানি করেন বলেও জানান তারা। এদিকে বি,এস,বি ইট ভাটার ম্যানেজার আমান উল্লাহ মৌল্লার কাছে বালি উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। ইউপি সদস্য আবুল কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বালু উত্তোলন ও পাহাড়া কাটার বিষয়ে যে ব্যাক্তি নিউজ করবে তাকে দেখে নিবেন বলেন উল্টো হুমকি প্রদান করেন। অপরদিকে কে,আর,ই ইট ভাটার স্বত্বাধিকারী খালেদের কাছে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেছেন।
পাহাড় কর্তন ও বালি উত্তোলনের বিষয়ে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, এটা অন্যায়, অপরিকল্পিতভাবে কেউ পাহাড় কাটলে, পরিবেশ ধংশ করে বালি উত্তোলন করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি। এ বিষয়ে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমেন শর্মা বলেন, পাহাড় কাটা ও বালি উত্তোলনের মত জঘন্য অপরাধের সাথে যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে অতিদ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। পাহাড় কাটা ও বালু উত্তোলনের মত অপরাধে জড়িত ব্যক্তি সে যত বড় নেতা বা প্রভাবশালী হউক তার বিরুদ্ধে বিন্দুমাত্র ছাড় দেওয়া হবেনা। পাহাড় খেকোদের দ্রুত সময়ে শাস্তির আওতায় আনা হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা।