বহদ্দারহাট লালদীঘিতে নামছে এসি বাস, ওঠানামা ২০ টাকা

0
259

নিজস্ব প্রতিবেদক: ‘‘হালুগাডত্তুন ছাইজ্জি গারি লৈ আল্লার নাম একগন্টা ফার ঐগেইয়্যে আইযু বদ্দারাট ন’আইলাম কুরোর ডইল্ল্যে যুরি যুরি চলের গারিগান ডাইবারত্ত্যেঁ সুইৎ-বুইৎ নাই, যাত্রী

ফ্যারেশান’’  নগরের যাত্রীদের এই ‘ফ্যারেশান’ (চিন্তা) দূর করতে কোক স্টুডিও বাংলা সিজনের জনপ্রিয় গান মুড়ির টিনের ‘বদ্দারাট, সক্ বাজার, আন্দরকিল্ল্যে, নিউমার্কেট’ রুটে নামছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস। যার ওঠানামা ভাড়া থাকছে ২০ টাকা। মহিলাদের জন্য আলাদা সিট, নিরাপত্তার জন্য বসানো হবে সিসি ক্যামেরাও। সংশ্লিষ্টরা বলছেন— শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ২০টি করে ৪০টি কাউন্টার বসানো হবে। যেখান থেকে যাত্রীরা টিকেট কেটে বাসে উঠবেন। ই টিকিট সিস্টেমের কারণে এসব বাসে সিটের অতিরিক্ত যাত্রী উঠার কোন সুযোগ থাকছে না। জানা গেছে, চট্টল চাকা ও এবি ট্রাভেলস নামে নগরের দুই রুটে ৩০টি করে ৬০টি বাস চলাচলের অনুমতি চাওয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির কাছে। এরমধ্যে নগরের কুয়াইশ সড়ক, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা হয়ে লালদীঘি পর্যন্ত চলাচল করবে। পরে আরটিসির মাধ্যমে তা বাড়িয়ে নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউ (কুয়াইশ সড়ক), কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট, জিইসি, ইপিজেড, কাটগড় মোড় হয়ে চলাচল করে পতেঙ্গা সৈকত ধরবে। গত মার্চে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভাপতি সিএমপি কমিশনারের কাছে আবেদন করেছেন শান্তি এক্সপ্রেসের চেয়ারম্যান মঞ্জুর আলম চৌধুরী এবং এবি ট্রাভেলসের চেয়ারম্যান দিদারুল আলম। ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকার যাত্রী ও পণ্য পরিবহন উপ-কমিটি থেকে এসব বাস চলাচলের অনুমতি দিতে সুপারিশ করা হয়েছে। রিভিউ কমিটিতে যাচাই-বাছাইয়ের পর এসব বাস চলাচলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত দেবে আরটিসির মূল কমিটি। চট্টলা এক্সপ্রেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, আমাদের পরিকল্পনা হচ্ছে চন্দ্রঘোনার লিচু বাগান থেকে লালদীঘি পর্যন্ত বাস সার্ভিস পরিচালনা করা। তবে প্রাথমিকভাবে নগরের কুয়াইশ সড়ক, কাপ্তাই রাস্তার মাথা, বহদ্দারহাট, চকবাজার, আন্দরকিল্লা হয়ে লালদীঘি পর্যন্ত চলাচল করবে। ২০টি করে ৪০টি কাউন্টার থাকবে, ইটিকিটিং ব্যবস্থার ফলে সিটের অতিরিক্ত যাত্রী ওঠা যাবেনা। কাউন্টারিভিত্তিক বাস সার্ভিসের ফলে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরার পাশাপাশি যাত্রী ভোগান্তি কমবে বলে মনে করছেন নগর ট্রাফিক পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার নাসিরুদ্দিন। তিনি বলেন, কোম্পানি আর কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালু হলে যানবাহন চলাচলে নিজেদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে না। সড়কের শৃঙ্খলার জন্যও এটি ভালো। অন্যদিকে লক্কর-ঝক্কর বাসের ভিড়ে মানুষকে গণপরিবহনমুখী করতে এসব বাস ভূমিকা রাখতে পারে বলে বলছেন ক্যাবের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান এস এম নাজের হোসাইন। তিনি বলেন, নগরের অধিকাংশ বাসই লক্কর ঝক্কর। যার ফলে মানুষ গণপরিবহন বিমুখ হয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে ঝুঁকছেন। শুরুতে ভালো সার্ভিস দিয়ে পরে যাতে ঢিলেঢালা হয়ে না যায় সেদিকে জোর দেওয়ার দাবি জানান ক্যাবের এই নেতা।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

4 + 6 =