আফগানিস্তানের জন্য আজ এক ঐতিহাসিক দিন। যদিও দিনটি বাংলাদেশের হতে পারতো। সুপার এইটে নিজেদের শেষ ও তৃতীয় ম্যাচে বাংলাদেশকে ৮ রানে হারিয়ে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নাম লিখিয়েছে আফগানিস্তান। সর্বশেষ উইকেট হিসেবে মোস্তাফিজকে আউট করে উল্লাসে ফেটে পড়ে আফগান ডাগআউট। ইতিহাস গড়া জয়ে অনেকেই চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি।
![](https://aparadhbichitra.com/wp-content/uploads/2024/06/afgans-celebration-12502.webp)
স্টেডিয়ামের দর্শকদের জয় উদযাপন চোখের সামনে দেখতে পেলেও পুরো দেশের মানুষের আনন্দ তখনও দেখতে পাননি রশিদ খান। কিন্তু দেশের মানুষ কিভাবে এই জয় করবে উদযাপন তা ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন আফগান অধিনায়ক।
ম্যাচশেষে রশিদ খান বলেন, (আফগানিস্তানের মানুষের উদযাপন) এখনও দেখিনি। তবে আমি নিশ্চিত, দেশে ব্যাপক উদযাপন হবে। এটি আমাদের জন্য অনেক বড় অর্জন। সত্যি বলতে আমার কোনো ভাষা জানা নেই অনুভূতি প্রকাশের। পুরো দেশ অনেক গর্বিত হবে।
তিনি আরও বলেন, আমার মতে, সেমি-ফাইনালে খেলাটা দেশের তরুণদের জন্য অনেক বড় অনুপ্রেরণার উৎস হবে। আমরা অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে এর আগে সেমি-ফাইনাল খেলেছি। তবে এই পর্যায়ে কখনও করিনি। এমনকি সুপার এইটে ওঠাও আমাদের জন্য প্রথম ছিল। অবিশ্বাস্য অনুভূতি এটি।
![](https://aparadhbichitra.com/wp-content/uploads/2024/06/afghans-celebrate-cricket-semi-finals-1719322876.webp)
এমন জয়ের উদযাপন বাড়ির মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখা সম্ভব না। তাই আফগানরা নেমে এলেন রাস্তায়। কাবুল, কান্দাহারের মতো বড় বড় শহরে বাস-গাড়ি চলারও কোনো উপায় ছিল না। কানায়-কানায় পূর্ণ শহরগুলোর রাস্তা। এ জয় উদযাপনের সময় অনেকের চোখে ছিলো আনন্দ অশ্রু।
শুধু কাবুল-কান্দাহার নয়, আফগানিস্তানের প্রতিটি পাড়া মহল্লায়ও আনন্দ উদযাপিত হচ্ছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের জন্য এটা যে কত বড় পাওয়া, তা হয়তো অনেকেই অনুধাবন করতে পারছেন।