ভিডিও করায় ” মেরে চামড়া তুলে ফেলার হুমকি দিলো ” রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মমিন

0
398

নিজস্ব প্রতিবেদক : ‘মেরে চামড়া তুলে ফেলব। আমাকে চিনস? বেশী বাড়াবাড়ি করলে একদম খেয়ে ফেলব’- ভারতীয় পণ্য বহনকারীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার সময় ভিডিও ধারনকারীকে এমন হুমকি দিলেন বাংলাদেশ রেলওয়ে লাকসাম নিরাপত্তা বাহিনীর (আরএনবি) সদস্য ৬০১-ই মো.মমিন। তিনি লাকসাম রেলওয়ে জংশনে কর্মরত। তাঁর বিরুদ্ধে ভারত থেকে আসা অবৈধ পণ্য আনায় সহায়তা, যাত্রীদের কাছ থেকে টাকা আদায় সহ নানা ধরণের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে,লাকসাম রেলওয়ে জংশনে কর্মরত নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মো.মমিন ১ সেপ্টেম্বর ভারতীয় পণ্য বহনকারীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করছিলেন। এসময় অপু নামের একজন তা ভিডিও ধারণ করার সময় মমিন তার উপর ক্ষেপে যান। ভিডিও করার কারনে তাকে মেরে চামড়া তুলে ফেলবে বলে হুমকি দেন ৷ এমনকি বেশি বাড়াবাড়ি করলে খেয়ে ফেলারও হুমিক দেন। পরে ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে চাঁদপুর বদলি করা হলেও রহস্যজনক কারণে ১ সপ্তাহের ব্যবধানে সে কুমিল্লা স্টেশনে চলে আসেন। তারপর ১৪ সেপ্টেম্বর সে পুনরায় লাকসাম রেলওয়ে জংশনে কাজে যোগ দেন। বর্তমানে তিনি লাকসামে কর্মরত আছেন। এদিকে হুমকির সুরাহা চেয়ে অভিযোগের পরেও কোন ধরণের সমাধান না পেয়ে ভুক্তভোগী অপু আরএনবির চীফ কমান্ডেন্ট বারবার একটি লিখিত অভিযোগ করেন। জানা গেছে, মো.মোমিনের দৌরাত্ম অসহায় সাধারণ যাত্রীরা৷ তিনি বিভিন্ন ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে নানাভাবে টাকা আদায় করেন ৷ টাকা না দিলে হতে হয় হয়রানির শিকার । মমিনের কাছে যাত্রী ছাড়াও লাকসাম রেলওয়ে জংশনের কর্মচারীরাও অসহায়। লাকসামের স্থানীয় বাসিন্দা হওয়ায় তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেনা। তার অনিয়মের প্রতিবাদ করলে কথায় কথায় মেরে চামড়া তুলে ফেলার হুমকি দেন। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী অপু বলেন, ১ সেপ্টেম্বর আরএনবি সদস্য মো. মমিন ভারতীয় পণ্য বহণকারীদের কাছ থেকে চাঁদা নিচ্ছিলেন। এসময় তা ভিডিও ধারনের সময় আমাকে মেরে চামড়া তুলে ফেলার হুমকি দেন। এমনকি বাড়াবাড়ি করলে খেয়ে ফেলারও হুমকি দেন। এবিষয়ে আমি লাকসাম আরএনবি সিআই সালামত উল্লাহ সাহেবকে অভিযোগ করি। পরে তাকে চাঁদপুর বদলি করা হলেও রহস্যজনকভাবে ১৪ সেপ্টেম্বর তিনি আবারো লাকসামে কাজে যোগ দেয়। এবিষয়ে আমি আরএনবি চীফ কমান্ডেন্ট বরাবার লিখিত অভিযোগ করেছি। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে আরএনবি সদস্য মো. মমিন বলেন,আমার সাথে এরকম কোন ঘটনা ঘটেনি। আমি অন্য লাইনে থাকার একটি ভিডিও করে তিনি আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা করছেন। এই ভিডিও দেখিয়ে আমার কাছে টাকা চেয়েছিলেন। টাকা দেইনি বলে আমার বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ করছেন অপু সাহেব। মমিন আরো বলেন, আমার ফাইল ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন হাবিলদার পেয়ার আহমেদ। তিনিও ঘটনার সময় উপস্থিত ছিলেন। অপু আমাদেরকে অন্যায় ভাবে ভিডিও করে ফাঁসানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু তা করতে ব্যর্থ হয়। হাবিলদার পেয়ার কে বাদ দিয়ে তিনি এখন আমার পিছনে লেগে পড়েছে। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের আরএনবির কমান্ডেন্ট রেজওয়ানুর রহমান বলেন, এ বিষয়ে আমার জানা নেই। চীফ কমান্ডেন্ট স্যার ছুটিতে। ভারপ্রাপ্ত হিসেবে আমি দায়িত্ব পালন করছি। তিনি দায়িত্বে যোগ দিলে বিষয়টি দেখবেন।

Print Friendly, PDF & Email

মন্তব্য করুন

Please enter your comment!
Please enter your name here

twenty − 19 =