স্টাফ রিপোর্টারঃ-
সাতক্ষীরা সদর থানার মেজ মিয়ার মোড় সংলগ্ন বাগান বাড়ী এলাকার মিয়া সাহেবের ডাঙ্গীর প্রতিবেশী মোঃ শাহাজান আলীর স্ত্রী মোছাঃ আলেয়া খাতুন (৫০) ও তার মেয়ে মোছাঃ রাফেজা খাতুন (২৮) কে দিয়ে সন্ত্রাসী কায়দায় প্রতিবেশী সুমনা আক্তার পিংকি দম্পতির ক্রয়কৃত বসতভিটার জমিতে পাকা সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করে জোর পূর্বক দখলের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
অভিযোগ ও তদন্ত সূত্রে জানা যায়, দহাকুলা মৌজার ২১২ নং খতিয়ানের রেকর্ডীয় মূল মালিক শেখ আব্দুল ওয়াছেক এর নাম ও অংশ থেকে ১৩৬৫ নং দাগ থেকে ০.০২৮০ একর বসতভিটার জমি ন্যায্য মূল্য ক্রয় করে কয়েক বছর যাবৎ বসবাস করছেন সুমনা আক্তার পিংকি নামের ভদ্র মহিলা দম্পতি। এই দম্পতির দুটি শিশু কণ্যা সন্তান ও স্বামী ছাড়া সাতক্ষীরা সদরে আর কোন আত্মীয় স্বজন না থাকায় সুযোগ পেয়ে প্রায়ই জমি দখলের চেষ্টা করে পাশের জমির মালিক অর্থাৎ বিবাদীপক্ষ। তাছাড়াও প্রমাণ মিলেছে বিবাদী পক্ষ স্থানীয় প্রভাবশালী এক নেতার ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের নিয়ে ইতিপূর্বে বাদিনীর বসতবাড়িতে গিয়ে ঘর ভেঙে দিবে, জমি বিক্রি করে এখান থেকে অন্যাত্রে চলে যেতে হবে বলে ভয়ভীতি দেখায়। এলাকাবাসী জানান, বিবাদীপক্ষ পরলোভী এবং ভীষণ হিংস্র প্রকৃতির লোক। বিবাদী পক্ষ হিংস্র প্রকৃতির স্থানীয় ও সংখ্যালঘু হওয়ায় বাদিনী কিছু বলে ওঠার আগেই তাকে বিভিন্ন সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও প্রাণ নাশের হুমকির সম্মুখীনের স্বীকার হতে হয়। সর্বশেষ গত ২৯/০৬/২৪ ইং তারিখে আনু: ০৬টার দিক পূর্বের ন্যায় বাদীনির বসতবাড়িতে গিয়ে জোর পূর্বক জমি দখল করার চেষ্টা চালিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন প্রকার ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকি দিয়ে মারপিট করতে উদ্যত হলে বাদিনীর ডাক চিৎকারে পার্শ্ববর্তী বসবাসরত প্রতিবেশীরা এসে বাদিনীর স্বপরিবারকে রক্ষা করে। অতঃপর নিরুপায় হয়ে নিজের পরিবার ও বসতভিটা সন্ত্রাসীদের জোর পূর্বক দখলের হাত থেকে রেহাই পেতে তাৎক্ষণিক ভুক্তভোগী বাদিনী সাতক্ষীরা সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। বিষয়টি সম্পর্কে স্থানীয় ০৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শেখ আনোয়ার হোসেন মিলনকে মুঠোফোনে জানালে তিনি বলেন, অনেক আগেই ঘটনাস্থলে আমি লোকজন নিয়ে যাই বলে স্বীকার করেন। তিনি আরো বলেন, দুই পক্ষকে সার্ভেয়ার দিয়ে জমি মাপতে বললেও তারা আমার কথা শোনেননি। আর যেহেতু বর্তমানে বিবাদীপক্ষ পুনরায় বাদি পক্ষকে মারধর ও প্রাণ নাশের হুমকি দেয়ার ফলে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এখন সে মোতাবেক থানা পুলিশ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন। এ বিষয়ে অভিযোগটির তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই সেলিম রেজা মুঠোফোনে বলেন, আমি ঘটনাস্থলে এখনো যাইনি। ঘটনাস্থল পরিদর্শন না করে কিভাবে বক্তব্য দিবো? অতঃপর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি’র সরকারী মুঠোফোনে একাধিকবার বার ফোন করা হলেও তিনি ফোনটি রিসিভ না করায় থানার ওসি তদন্ত’র সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি নতুন যোগদান করেছি সব জায়গা ভালোভাবে চিনি না তাছাড়াও ছুটিতে রয়েছি। সর্বশেষ তিনি ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।