সম্পাদকীয়

সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য লাগাতার বাড়ানো হচ্ছে ভোক্তাদের আহাজারি কানে পৌঁছে না প্রশাসনের

গত কয়েক বছর যাবত দেখা যাচ্ছে যে, নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য এক লাফে দ্বিগুণ থেকে তিনগুন হয়ে যাচ্ছে। একটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির কিছুদিন পর অরেকটি পণ্যের মূল্য বাড়ছে। মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ রাতারাতি তিনগুণ। বাজারে এ ধরণের অস্থিরতা ও অসৎ ব্যবসায়ীদের অনৈতিক কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের কোন প্রতিবাদ দেখা যাচ্ছে না। পার্শবর্তী দেশ ভারতে কোন জিনিসের দাম কয়েক পয়সা বাড়লে লোকজন রাস্তায় নেমে তীব্র প্রতিবাদ জানায়। প্রতিবাদের মুখে ভারত সরকার মূল্য বৃদ্ধির অবস্থান থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়। আমাদের বাংলাদেশে রাতারাতি কোন পণ্যের মূল্য তিনগুণ বেড়ে গেলেও জনসাধারণ ও ভোক্তাদের কোন প্রতবাদ হয় না। এ কারণে অসাধু ব্যবসায়ীরা সুযোগের সঠিক ব্যবহারটি করছেন। ভোজ্য তেল নিয়ে সিন্ডিকেট করে দুই লিটার তেলের মূল্য ২২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০০ টাকা করা হলো। তেল কোম্পানিগুলো রাতারাতি কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিল। তেলের মূল্য এখনও লাগামহীন রয়ে গেছে। এরপর পেয়াজ, রসুন ও আদা নিয়ে শুরু হলো সিন্ডিকেট। ভোক্তদাদেরকে জিম্মি করে ব্যবসায়ীরা টাকার পাহাড় বানিয়ে ফেলছে। ৪১০ টাকা কেজি: জিরা হঠাৎ ১ হাজার টাকা। বর্তমানে এর দাম কেজি: প্রতি ১ হাজার ১ শ টাকা। জিরার ব্যবসার সাথে যারা জড়িত তাদের কয়েক পুরুষ বসে বসে খেতে পারবে। এদিকে মধ্যবিত্য পরিবারের অবস্থা শোচনীয়।

সম্প্রতি পেয়াজের দাম হঠাৎ করে ১০০ টাকা থেকে ২৫০ টাকা হলো। কারসাজি হালাল করতে বাজার থেকে পেয়াজ উধাও করে ফেলা হলো।

এভাবে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্য সিন্ডিকেট করে একের পর এক লাগাতার বাড়ানো হচ্ছে। অথচ এসব অনৈতিক খেলার কোন প্রতিবাদ নেই। সরকার ও বাজার নিয়ন্ত্রনের দায়িত্বে যারা নিয়োজিত তাদের দায়িত্বহীনতা ও জবাবদিহিতা প্রম্নবিদ্ধ। মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট করে জরিমানা করা হচ্ছে।

কিন্তু তা মূল সমস্যা সমাধান করতে পারছে না। বাজার নিয়ন্ত্রন আসবে কিভাবে? দ্রব্যমূল্য ব্রদ্ধির কারণে যারা ক্ষতবিক্ষত তারা বলছেন অধিকাংশ রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী ও এমপি বড় বড় ব্যবসার সাথে জড়িত। তারাই তো জনসাধরণকে জিম্মি করে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা।

সাধারণ জনগণ ও ভোক্তাদের আহাজারি তাদের কানে পৌঁছবে না কিছুতেই। সুতরাং অসৎ ব্যবসাায়ী ও রাজনীতিবিদদের হাতের পুতুল ও তাদের কাছে জিম্মি হয়ে থাকা ছাড়া অন্য কোন উপায় দেখা যাচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button