দীর্ঘ ১২ বছর থেকে বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ সহ ৪ দফা নিয়ে আন্দোলন করে আসছে । বিগত শেখ হাসিনা সরকারের সময় এই আন্দোলন করতে গিয়ে অনেক হামলা মামলার স্বীকার হয়েছে ৩৫ আন্দোলনকারীরা । এক পর্যায়ে শেখে হাসিনা ৩২ করে দিয়ে এই আন্দোলন থামানোর চেষ্টা করেছিল কিন্তু বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ তাহা তখনই প্রত্যাখ্যান করেছিল । এই সরকারও সেই পথে হেঁটেছে । বিষয়টি খুবই দুঃখজনক এবং গভীর চিন্তার বিষয় ।
বাংলাদেশের গড় আয়ু বৃদ্ধির সাথে সাথে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধি পেয়েছে ।
★ যখন গড় আয়ু ছিল ৫৭ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা করা হয়েছিল ২৭ ।
★ যখন গড় আয়ু ছিল ৬০ তখন চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা করা হয়েছিল ৩০ ।
★ বর্তমান গড় আয়ু ৭২+ সেইখানে আবেদনের বয়সসীমা করা দরকার ছিল ৪০+ ।
আমরা চেয়েছিলাম মাত্র ন্যূনতম ৩৫ । তারপরেও এমন অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত । যাহা মেনে নেওয়া সম্ভব নয় ।
★ বিশ্বের ইউরোপ আমরিকা সহ ১৫৭ টি দেশে উন্নয়নশীল ও উন্নত দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫,৪০,৪৫,৫৫,৫৯ এবং অনেক দেশে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা-ই নেই। মানে উন্মুক্ত ।
তাই উন্নত রাষ্ট্রের দিক যেতে হবে অবশ্যই আবেদনের বয়সসীমা ৩৫/৪০/৫০ কিংবা উন্মুক্ত করে দেওয়া ।
★ অনেক শিক্ষার্থী উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশের বাহিরে গিয়ে যখন দেশে এসে রাষ্ট্রের সেবা দিতে চায় তখন দেখে তার বয়স হয়ে যায় ৩২/৩৩ কিন্তু বাংলাদেশেতো এই বয়সের পর আবেদনই করা যাবেনা । তাই তারা বিদেশে থেকে যায় । আর রাষ্ট্র বঞ্চিত হয় মেধাবীদের সেবা থেকে । তাই মেধাবীদের পক্ষ হতে দেশ সেবা নিতে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ করা জরুরী ।
★ ২০০৪-২০১৮ সাল পর্যন্ত সেশনজটে অনেকেই ৭/৬/৫ বছর আবেদনের বয়সসীমা হারিয়েছিল । এর দায়ভার কার ? অবশ্যই রাষ্ট্রের । তাই রাষ্ট্রের দায়িত্বশীলদের উচিত সঠিক জাস্টিস করে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা নূন্যতম ৩৫ করা ।
যেইখানে শেখ হাসিনার আমলেই আমরা ৩২ কে প্রত্যাখ্যাণ করেছিলান সেইখানে ৩ বছর পর আমরা এখন ৩২ মেনে নিব এটা কি করে সম্ভব । এটা সম্ভব নয় ।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার ক্ষমতায় এসেছে । এই আন্দোলনের আমি মুজাম্মেল মিয়াজী একজন কেন্দ্রীয় সংগঠক । শেখ হাসিনার পতনে ৩৫ আন্দোলনের অনেক প্রত্যাশীরা বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে অংশগ্রহন করেছিল এবং শেখ হাসিনারও পতন হয়েছে । এই সরকার জনগনের বিপ্লবী সরকার । তাই ছাত্র জনতার যে কোন যৌক্তিক দাবি সরকারকেই মেনে নিতেই হবে ।
দীর্ঘ দিনে ৩৫ আন্দোলনে শেখ হাসিনার মত এই সরকার ৩২ দিয়ে থামিয়ে দিবে যাহা একবারি সম্ভব নয় ।
মেধাবীদের রক্ষা করতে হলে বয়সের শীকল ভেঙে দিতে হবে । আর এইজন্যই চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ন্যূনতম ৩৫ সহ শর্ত সাপেক্ষ্যে উন্মুক্ত করতে হবে ।
বাংলাদেশ ছাত্রকল্যাণ পরিষদ ৩২ এর অধ্যাদেশকে প্রত্যাখ্যান করছে এবং দ্রুত ন্যূনতম ৩৫ দিয়ে প্রজ্ঞাপন দেওয়ার আবেদন জানাচ্ছে ।
আর নতুবা কিছুতেই এই যৌক্তিক আন্দোলন থামানো সম্ভয় ।