অপরাধআইন ও বিচারদুর্নীতিপ্রশাসন

হাজার কোটি টাকার অবধৈ সম্পদের মালিক সাবকে এম.পি ও মন্ত্রী এড. কামরুল ইসলাম

মইনুল ইসলাম মিলন : ঢাকা ২ দুই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য,তিন বারের এমপি ও সাবেক আইন প্রতি মন্ত্রী ও সাবেক খাদ্য মন্ত্রী ফ্যাসিস্ট সরকারের অন্যতম দূর্ণীতি বাজ এই হাজার কোটি টাকার মালিক বনে যান বলে একাধিক বিশ্বস্ত ও গণমাধ্যম সুত্রে জানা গেছে । সুত্র মতে এক সময়ে ঢাকা জর্জকোর্টের বারান্দা ও বটতলায় ১০০  টাকার জন্য ঘুরে বেড়ানো এই উকিল কামরুল ইসলাম দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোটবোন শেথ রেহানার হাত ধরে আওয়ালীগের রাজনীতিতে প্রবেশ করে তৎকালীন ঢাকা মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও পরবর্তীতে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্ঠা পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন ।

সুত্রমতে বিনাভোটে নির্বাচিত এই এডভোকেট কামরুল ইসলাম বিগত ২০১২ সালের নির্বাচনে এম.পি নির্বাচিত হওয়ার পর শেখ রেহানার আর্শিবাদে তৎকালীন সরকারের আইন প্রতিমন্ত্রী থাকা কালীন সময় থেকেই শুরু তার তার অপ-রাজনীতি দুর্ণীতির কালো অধ্যায় । নাম না প্রকাশ করার শর্তে তার এক সময়ের সহকর্মী বাংলাদেশ হাইকোর্ট বিভাগের একজন সিনিয়র আইনজীবি অপরাধ জগতকে জনান শুধুমাত্র বাংলাদেশের বিভিন্ন আদালতে পি.পি. এ.পি.পি ও বিচারক নিয়োগ বানিজ্য করেই তিনি হাতিয়ে নিয়েছেন ২০০ শত কোটির অধিক টাকা । আর বিভিন্ন মিথ্যা মামলার তদবির করে তিনি যা কামিয়েছেন তার হিসেব নেই । তার এই লাগামহীন দূণীতি আর ক্ষমতার দাপটে দেশের বিচারবিভাগ ছিল অনেকাংশে জিন্মি । তার লন্ডনে রয়েছে ৪ টি বিলাশ বহুল ভবন যেখানে তিনি রঙিন অবসর যাপন করতেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার একান্ত নিকট আতœীয় ।

এত দুণীতি থাকার পরও তিনি কিরে তৎকালীন সরকারের খাদ্য মন্ত্রী হিসেবে প্রমোশন পান এমন প্রশ্ন যখন জনমনে ঘুরপাক খাচ্ছিল তখন অপরাধ জগতের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে দূর্ণীতি ত্রাসের রাজত্বের আরো চাঞ্চল্যকর তথ্য । ঢাকা -২ আসন (কামরাঙ্গীরচর-কেরানিগঞ্জের আংশিক- সভারের কিছু অংশ নিয়ে গঠিত ঢাকা-২ সংসদীয় আসন) এর একাধিক নির্ভরযোগ্য সুত্র মতে অত্র আসনের ঢকা দক্ষিণ সিটিকরর্পোরেশনের ৩ জন কাউন্সিলর ও ৬ জন ইউ.পি চেয়ারম্যানকে নির্বাচিত কারার চুক্তিতে হাতয়ে নেন প্রায় শত কোটি টাকা । সুত্রমতে শেখ রেহানাকে বিপুল অংকের টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে খাদ্যমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ পান । এর পর পর শুরু হয় চাঁদাবাজি আর দুর্ণীতির লোমহর্ষক ঘটনা প্রবাহ ।

কামরাঙ্গীরচর থানা সরে জমিনে ঘুরে ও স্থানীয়দের সাথে কথাবলে জানা যায় কামারাঙ্গীরচরে ছিল তার চার খলিফার রাজত্ব । এরা হলেন বহুল সমালোচিত  কামরাঙ্গীরচর থানা আওয়ামীলীগের সাবেক সভাপতি আবুল হোসেন সরকার, ডি.সি.সি দঃ এর ৫৭ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী সাইদুল মাদবর , তার পোষ্য পুত্র হিসেবে খ্যাত ৫৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মোহান্মদ হোসেন ও ৫৫ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর নূরে আলম চেšধুরী । তৎকালীন এই মন্ত্রীর নির্দ্দেশে হেন কোন কাজ নেই যা তারা করেন নাই । কামরাঙ্গীরচরের প্রতিটি ধুলিকনা থেকেও তারা অবৈধ অর্থ লোপাট করেছে অবাধে । (বিস্তারিত আসছে পরবর্তী সংখ্যায় )।

ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব। ক্রমশ…

Back to top button