আইন ও বিচার

”শহীদ আবু সাইদ এর হত্যা মামলায় নতুন ৭ (সাত) জন আসামীর সম্পৃক্ততা এবং এজাহারকারীর দাখিলীয় আলামত খতিয়ে দেখার নির্দেশ।”

শহীদ আবু সাইদ এর ভাই এজাহারকারী মোঃ রমজান আলী শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলায় গত ১৪/১০/২০২৪ ইং তারিখে একখানা দরখাস্ত আনয়ন করে এজাহারকারীর লিখিত বিবৃতি অত্র মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কর্তৃক বিবেচনা করার উদ্দেশ্যে লিপিবদ্ধকরণ ও দরখাস্তের সহিত দাখিলকৃত ছবি ও সিসি টিভি ফুটেজ জব্দকরণ ও গ্রহনের আদেশ প্রদানের আবেদন করেন। উক্ত মামলায় বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তাজহাট আমলী আদালত এর বিজ্ঞ বিচারক মোঃ আসাদুজ্জামান অদ্য উক্ত আবেদন মঞ্জুর করে শহীদ আবু সাইদ এর হত্যা মামলায় নতুন ৭ (সাত) জন আসামীর সম্পৃক্ততা এবং এজাহারকারীর দাখিলীয় আলামত খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড.রোকনুজ্জামান রোকন, অ্যাড. শামিম আল মামুন, কামরুন্নাহার খানম শিখা, অ্যাড. রায়হান কবীর, অ্যাড. মাইদুল ইসলাম, এবং অ্যাড. রায়হানুজ্জামান।

উক্ত ০৭ (সাত) জন আসামী হল ১। সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ২। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ঘটনার সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসাবে কর্মরত) ডঃ হাসিবুর রশিদ, ৩। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর (ঘটনার সময় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর হিসাবে কর্মরত) ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মোঃ শরিফুল ইসলাম, ৪ । অতিরিক্ত উপপুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা শাখা), (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি প্রাপ্ত), বাংলাদেশ পুলিশ, মহানগর, রংপুর মোঃ শাহ নূর আলম পাটোয়ারী, ৫। বেগম রোকেয়া বিশ্বদ্যালয় এর চুক্তিভিত্তিক ও অস্থায়ী ৪র্থ শ্রেণীর কর্মকর্তা (এমএলএসএস) (সাবেক বিএনসিসি অফিস কর্মচারী) আসামী নূরুন্নবী, ৬। সুরতহাল প্রস্তুতকারী কর্মকর্তা মোঃ তরিকুল ইসলাম, এসআই নিরস্ত্র বিপি নং- ৮৯১৭২০১৫৮৬ এবং ৭। সুরতাহাল রিপোর্ট এর প্রতিস্বাক্ষরকারী আহমেদ সাদাত, এক্সিকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি), রংপুর মহানগর রাজস্ব, রংপুর ।

উল্লেখ্য বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সিসি টিভি ফুটেজ আদালতের মাধ্যমে তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট পৌছানোর মাধ্যমে অত্র মামলায় আসামীগনের সম্পৃক্ততার প্রমান আরও দৃঢ় হলো।

শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাড.রোকনুজ্জামান রোকন, অ্যাড. শামিম আল মামুন এবং কামরুন্নাহার খানম শিখা, অ্যাড. রায়হান কবীর, অ্যাড. মাইদুল ইসলাম, এবং অ্যাড. রায়হানুজ্জামান সাংবাদিকদের বলেন, বিজ্ঞ আদালতের এই আদেশের মাধ্যমে অজ্ঞাত নামা আসামীদের মধ্যে অত্র আসামীগনের শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলায় সরাসরি সিসি টিভি ফুটেজ এ সম্পৃক্ততা পাওয়ায় বিজ্ঞ আদালত সিসি টিভি ফুটেজ ও অন্যান্য প্রমানপত্র, ছবি, দেখে দীর্ঘ শুনানী শেষে ন্যায় বিচারের স্বার্থে এই আসামীদের সম্পৃক্ততা খতিয়ে দেখার জন্য মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তাকে আদেশ প্রদান করেছেন।

শহীদ আবু সাইদ হত্যা মামলায় বাদী পক্ষে নিয়োজিত প্যানেল এর আইনজীবীগণ আসামীদের দ্রুত গ্রেফতার ও তদন্ত সমাপ্ত করে আসামীদের দ্রুত বিচারের দাবী করেন। গত ১৮ আগষ্ট আবু সাঈদের বড় ভাই রমজান আলী বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। আসামীরা হলেন রংপুর মহানগর পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির আলী ও কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায় আসামি পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) আবদুল্লাহ আল মামুন, রংপুর রেঞ্জের সাবেক উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) আবদুল বাতেন, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান, রংপুর মহানগর পুলিশের তৎকালীন উপকমিশনার আল মারুফ হোসেন, সহকারী কমিশনার মো. আরিফুজ্জামান, আল ইমরান হোসেন, তাজহাট থানার তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রবিউল ইসলাম, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিভূতিভূষণ রায়,

এ ছাড়া মামলায় বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষক গণিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মশিউর রহমান ও লোকপ্রশাসন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আসাদুজ্জামান ম-ল, প্রক্টর কার্যালয়ের কর্মকর্তা রাফিউল হাসান, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি পোমেল বড়ুয়া, সাধারণ সম্পাদক শামীম মাহফুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক ধনঞ্জয় কুমার রায়, দপ্তর সম্পাদক বাবুল হোসেন । অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত ১৩০ থেকে ১৩৫ জনকে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button