চট্টগ্রামের সন্দ্বীপে নৌ বাহিনীর ক্যাম্প ঘেরাওয়ের চেষ্টা করেছে উশৃঙ্খল জনতা।যার জেরে নৌবাহিনীর লাঠিচার্জে আতঙ্কিত হয়ে এক যুবক মৃত্যু বরণ করেন। নিহত যুবক আজিমপুর ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ন-আহবায়ক শরীফ (৩০)। ঘটনাটি ঘটে ২৯ শে অক্টোবর সন্ধ্যা ৭টায়।
সরিজমিনে জানা যায়, ২৯ শে অক্টোবর দুপুর ২ টায় আজিমপুর ইউনিয়নের দুই মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানাভুক্ত যুবদল নেতা আবু তাহের ও পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের যুবদল নেতা খোকন কে আটক করে নৌবাহিনী। আটককৃত নেতাদের ছাড়িয়ে নিতে সন্ধ্যা ৭:০০ টায় তাঁদের আত্মীয়-স্বজনের নেতৃত্বে ২০০/ ৩০০ লোক জড়ো হয়ে সন্দ্বীপে অবস্থানরত নৌবাহিনী ক্যাম্প ঘেরাওয়ের চেষ্টা করে। নৌবাহিনী লাঠিচার্জ করলে আতঙ্কিত হয়ে শরীফ ঘটনাস্থলের কাছে গোডাউন রোডে জ্ঞান হারিয়ে পড়ে যায়। পরবর্তীতে স্থানীয় জনতা তাঁকে উদ্ধার করে সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টারে পাঠায়। রাত ৯ টায় কর্তব্যরত ডাক্তার তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে তাঁর আত্মীয়-স্বজন ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মাঝে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সন্দ্বীপ মেডিকেল সেন্টার এলাকায় অনেকে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে।
এদিকে সন্দ্বীপ থানা পুলিশ নিহতের সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাত পায়নি মর্মে জানান। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সন্দ্বীপ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মনিরুল ইসলাম ভূঁইয়া জানান, আমরা সুরতহাল রিপোর্টে কোন আঘাতের চিহ্ন পাইনি। ধারণা করা যাচ্ছে, স্ট্রোক করে তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন। ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পেলে বিস্তারিত জানা যাবে।
এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রিগ্যান চাকমা জানান, উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ ও নিহতের স্বজনদের উপস্থিতিতে পুলিশ সুরতহাল রিপোর্ট করে, যাতে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।