নৃশংস সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ফকিরহাটের ইমরান।
আঃ হাকিম, খুলনা।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় কাটাখালি বাস কাউন্টার দখলে বাধা দেওয়ায় ২৮ অক্টোবর রাত ৯ টায় আসাদুজ্জামান ছোট ও পিয়ার স্থানীয় জয় জুট মিলের কাছে ইমরানকে ফোন করে ডেকে নেয়। ইমরান কাটাখালি থেকে মাইক্রোবাসে জয় জুট মিল গেটের কাছে পৌঁছালে পূর্ব থেকে ওৎ পেতে থাকা ৩০-৪০ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ চক্র এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। মৃত্যু নিশ্চিত ভেবে একই মাইক্রোবাসে উঠিয়ে অন্য চালক দিয়ে কাটাখালি বাস স্টান্ডে জিয়ার হোটেলের সামনে ইমরানকে ফেলে রেখে চলে যায়। সাথে সাথে স্থানীয়রা তাকে খুমেক হাসপাতালে ভর্তি করে ।খুমেক হাসপাতাল থেকে ইমরানকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় সেখানে আইসিইউ তে থাকার পর সোমবার ৪ নভেম্বর আনুমানিক সকাল ৭টায় মারা যায়। নিহতের বড় ভাই ২ নভেম্বর শনিবার স্থানীয় ফকিরহাট মডেল থানায় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে মামলা করতে গেলে থানা পুলিশ মামলা নেয়নি। নিহত ইমরানের বৃদ্ধ মা, স্ত্রী ও তিনটি শিশু সন্তান রয়েছে তারা ও এলাকাবাসী এ নির্মম ও নৃশংস হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। একই সাথে থানা পুলিশের মামলা নিতে গড়িমসি করাকে বর্তমান সময়ে নেক্কারজনক ঘটনা বলে জানান। এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, নিহত ইমরান ফকিরহাট উপজেলার খাজুরা এলাকার মৃত হযরত আলীর পুত্র। তিনি ঘের ব্যবসায়ী ছিল বলে স্থানীয়রা জানান। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে আসাদুজ্জামান ছোট, পিয়ার, শিমুল, হৃদয়, রিকু, ইমরান, ইয়াবা মনি, রবিউল, হৃদয় জড়িত ছিল বলে জানান এলাকাবাসী, এ বিষয়ে ফকিরহাট মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর কবিরের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমি নিহতের বাড়িতে পুলিশ পাঠাচ্ছি মামলা করতে চাইলে অবশ্যই থানায় মামলা নেওয়া হবে। সর্বশেষ নিহতের ছোট ভাই মোঃ কামরান শেখ বাদি হয়ে ফকিরহাট থানায় ৬ নভেম্বর মামলা দায়ের করেন ।মামলা নং০৩তাং০৬/১২/২০২৪।