কুমিল্লায় পূর্ব শত্রুতার জেরে গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে দু’ভাইকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, ভাঙচুর, লুটপাট নগদ অর্থসহ স্বর্ণালংকার
রোকসানা আক্তার মজুমদার
কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার গালিমপুর ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের, ভাউকসার গ্রামে ১৩ই নভেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার দুপুর ১২টায়, আবুল হাসেমের বাড়ির পাশের পূর্ব দক্ষিন কর্ণারের গাছের ডাল কাটাকে কেন্দ্র করে, তার জ্যেষ্ঠ পুত্র আব্দুল হক মানিক ও কনিষ্ঠ পুত্র রাকিবকে জায়গা সংক্রান্ত পূর্ব শত্রুতার জেরে, একই এলাকার প্রভাবশালী সৈয়দ মাসরুল হক মাসুর জোকসাজেসে এলাকার কিছু অর্থলোভী, সন্ত্রাসী ও নেশাগ্রস্থ ছেলেদের দিয়ে করান অতর্কিত হামলা।
আবুল হাসেম দীর্ঘ বছর ধরে সন্তানাদি নিয়ে ভাউকসার গ্রামে পৈত্রিক ভিটে বাড়িতে বসবাস করছেন। পাশেই বাড়িতেই বসবাস করেন প্রভাবশালী সৈয়দ মাসরুল হক মাসু। ১২৪ শতাংশ জায়গায় দু-পক্ষেরই মালিকানার দাবির অপূর্ব শত্রুতার জেরে, প্রভাবশালী মাসু গুন্ডাবাহিনী দিয়ে সুপরিকল্পিতভাবে গত ১৩ই নভেম্বর ২০২৪, বুধবার দুপুর ১২ টায় প্রবাস থেকে ছুটি কাটাতে আসা (হাসেমের ২ পুত্র) মানিক ও রাকিবের উপর চালান অমানবিক হামলা।
ভোক্তভোগী রাকিব সাংবাদিককে জানান- মানিক ও রাকিব নিজ বাড়ির পাশের দক্ষিণ দিকের গাছের ঝুলন্ত ডাল-পালা কাটতে যাওয়ায় এমন সময় – সন্ত্রাসী সবুজ হোসেন(৩৪ পিতা-দোলোয়ার হোসেন), জাফর হোসেন(৩৭ পিতা- অদুদ মিয়া), কামাল হোসেন (৪০, আব্দুল গফুর), মোশারফ হোসেন (৩৮ পিতা: সফর আলী ) সায়েম (২৪ বছর পিতা- মোবারক); তুহিন ( বয়স ২২, পিতা- দেলোয়ার হোসেন) ; ফয়সাল হোসেন ( পিতা- এমরান আলী) সহ অজ্ঞাত ১০-১২ জন মিলে অস্ত্র-বন্ধু-রড-লাঠি নিয়ে ছুটে আসেন, সবুজ চিৎকার করে বলে এটা কি তোর বাবার জায়গা নাকি! এবং রাকিবকে ধাক্কা মেরে মাটিতে ফেলে দেয়, কিছু বুঝে ওঠার আগেই মুহূর্তে দুই ভাইয়ের উপর করেন হামলা।
রাকিব সাংবাদিকদের আরও জানান, আমাদের এলোপাথাড়ি কুপিয়ে দৌড়ে আমাদের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর করে, আমার বড় ভাবির গলা থেকে চিনি নেন ২ লাখ ৮০ হাজার টাকার মূল্যের নেকলেস এবং ঘরে ঢুকে আলমারি ভেঙ্গে ড্রয়ার থেকে হাতিয়ে নেন নগদ ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা।
সন্ত্রাসীদের হাতে থাকা ধারালো অস্ত্র মানিকের মাথায়- কোমর ও হাতে কুপ দেন। ভুক্তভোগী রাকিবকে পিঠে দুটি ও আঙ্গুলে একটি আঘাত করেন। রক্তাক্ত অবস্থায় দু’ভাইকেই কুমিল্লা মেডিকেল সেন্টারে চিকিৎসাধীন রাখা হয়। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী মানিক-রাকিব, ভুক্তভোগীদের পিতা আবুল হোসেন সহ মোট ৬ জন সাক্ষী হয়ে- প্রভাবশালী ও অপরাধী সৈয়দ মাসরুল হক মাসু, সবুজ, সায়েম, জাফর, কামাল, মোশারফ, তুহিন, ফয়সালসহ অজ্ঞাত দশ জনসহ বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মানিক মিয়ার স্ত্রী বলেন, আমাদের বাড়ির পাশে, আমাদের গাছের ডালপালা কেটেছি, তারপরও তারা হঠাৎ করে আগে বহু চেষ্ঠা করে আমাদের জায়গা দখল করতে না পারার জিদে, আমার স্বামী ও দেবরের উপর হামলা করেছে। আমার স্বামী মাথায়, মাজা ও হাতে কুপ খেয়েছে, মাথায় অপারেশন করা হয়েছে, কিন্তু মাথায় কুপ খাওয়ায় পর থেকে কোন কথা বলতে পারেনা ।
হাজী আবুল হোসেন বলেন, ১২৪ শত জায়গায় আমার। ক্ষমতার জোরে মাসু দখল করতে চায়। এই জায়গার দখল করতে ব্যর্থ হওয়ায় আমার সন্তানদের উপর এমন জঘন্য আক্রমণ করেছে। আমি সঠিক বিচার চাই।