পুলিশের গাড়ি থেকে যুবলীগ নেতাকে ছিনিয়ে নিলেন যুবদল নেতা
গাজীপুর সদর উপজেলায় যুবলীগের এক নেতাকে আটক করে থানায় নেওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে। শনিবার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের মেম্বার বাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার জয়দেবপুর থানার ওসি আব্দুল হালিম বিষয়টি জানিয়েছেন।
ওই যুবলীগ নেতার নাম রাজু আহমেদ। তিনি সদর উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি। তাকে ছিনিয়ে নেওয়া যুবদল নেতার নাম মামুন শিকদার। তিনি সদর উপজেলার ভাওয়ালগড় ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সাধারণ সম্পাদক। এ ঘটনায় দল থেকে তাকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় তার বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছেন ওসি।
পুলিশ জানায়, কিছু ব্যক্তি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের উস্কে দিয়ে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে ফায়দা লুটে নিচ্ছিলেন। এ সংক্রান্ত একটি মামলা তদন্ত করতে গিয়ে যুবলীগ নেতা রাজুর সম্পৃক্ততা পায় পুলিশ। বিষয়টি আরও পরিষ্কার হওয়ার জন্য শনিবার বিকেলে জয়দেবপুর থানার এসআই বাহার আলমের নেতৃত্বে একদল পুলিশ তাকে বাড়ির পাশ থেকে আটক করে গাড়িতে তোলে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুহূর্তের মধ্যে আশপাশের শতাধিক নারী-পুরুষ এসে গাড়ি থামায়। এরই মধ্যে ঘটনাস্থলে হাজির হন যুবদল নেতা মামুন। রাজুকে আটকের কারণ জানতে চেয়ে পুলিশকে শাসান তিনি।
এস আই বাহার বলেন, ‘এক পর্যায়ে গাড়ি থেকে রাজুকে ছিনিয়ে নেন মামুন। তার অসৌজন্যমূলক আচরণের কাছে আমরা অসহায় হয়ে পড়ি।’
ঘটনা জানাজানি হলে ওই রাতেই মামুনকে ইউনিয়ন যুবদলের পক্ষ থেকে তিন দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়।
গাজীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক আতাউর রহমান মোল্লা বলেন, বিষয়টি আমার নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে তাকে সংগঠনের নিয়ম অনুযায়ী কারণ দর্শনোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাব পাওয়ার পর সংগঠনের বিধি অনুযায়ী মামুনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসআই বাহার বলেন, যুবলীগ নেতা মামুন সরকারি কাজে বাধা দিয়েছেন। বিষয়টি পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। ওসি আব্দুল হালিম বলেন, মামুনের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।