ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, ভারতের যদি কোনো অশুভ ইচ্ছা থাকে, আমরাও তাহলে বলব যে, আমাদের নবাবের এলাকা- বাংলা-বিহার-উড়িষ্যা সেটা ফিরিয়ে দাও।
বুধবার সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ‘আগরতলায় বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনের কার্যালয়ে হামলা ও জাতীয় পতাকা অবমননার’ প্রতিবাদে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্টের উদ্যোগে ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও’ শীর্ষক বিক্ষোভ সমাবেশ ও পদযাত্রায় বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন।
রিজভী বলেন, ‘এই বাংলাদেশের মানুষ তাদের যে প্রদীপ্ততা, তাদের যে দেশ রক্ষার অন্তর্নিহিত শক্তি, তাদের যে প্রাণের উন্মাদনা, এই প্রাণের উন্মাদনায় ভারত কখনও টের পাইনি।’
তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনাকে রক্ষার জন্য আপনারা (ভারত) বাংলাদেশের মানুষের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের আন্দোলনকারী মানুষের বিরুদ্ধে, শহীদ মুগ্ধের বিরুদ্ধে, শহীদ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে আপনারা আপনাদের প্রচারণা যেটা চালাচ্ছেন আমাদের শহীদদের বিরুদ্ধেই সেটা যায়। গণতন্ত্রের জন্য আমাদের মহান আত্মাত্যাগ, সেই মহান আত্মত্যাগকে আপনারা ভুলন্ঠিত করার চেষ্টা করছেন। তাতে কোনো লাভ হবে না।’
রিজভী বলেন, ‘ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে আমরা হিন্দু-মুসলমানসহ সবাই একসঙ্গে লড়ব। আপনারা আমাদের পতাকা আগরতলায় সরকারী হাইকমিশনের গেট ভেঙে সেটাকে টেনে নামিয়ে ছিড়েছেন। এটা প্রচণ্ড আঘাত, আমাদেরকে বড় আঘাত দিয়েছে ভারতের সাম্প্রদায়িক শাসকগোষ্ঠি। আমরা কি এটা ভুলে যাবো? এটা আমরা কোনোদিন ভুলে যাবো না।’
তিনি বলেন, ‘ভারতের শাসকগোষ্ঠি যদি মনে করে আমরা সস্প্রসারণ চালিয়ে বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটানসহ অন্যান্য দেশ আমরা কবজা করে নেবো, এটা কিন্তু আপনারা বোকার স্বর্গে বাস করছেন।’
ভারতীয় মিডিয়ায় বাংলাদেশের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচারের কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, ‘ভারতের মিডিয়া আজকে খেয়ে না খেয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অপপ্রচার করছে, মিথ্যা সংবাদ দিচ্ছে যার কোনো সত্যতাই নেই।’
পূজা উদযাপন ফ্রন্টের সভানেত্রী অর্পনা রায় দাসের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক সমীর কুমার বসুর সঞ্চলনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বিএনপির মীর সরাফত আলী সপু, অমলেন্দু দাস অপু, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের আমীরুল ইসলাম কাগজী, সাঈদ খান, পূজা উদযাপন ফ্রন্টের দেবাশীষ রায় মধু সুরঞ্জন ঘোষ, গৌতম বৈদ্য, জয়দেব প্রমুখ নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।