শাহজালাল বিমানবন্দরে ছিনতাইয়ের অভিযোগে র্যাব-পুলিশসহ গ্রেপ্তার ৪
রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের অভিযোগে চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ছাড়া এর সঙ্গে জড়িত পলাতক এক সাংবাদিকসহ তিন সদস্যকে গ্রেপ্তারে মাঠে নেমেছে বিমানবন্দর থানা পুলিশ।
ছিনতাই চক্রটির বিরুদ্ধে গতকাল মঙ্গলবার বিমানবন্দর থানায় মামলা করা হয়েছে। মামলার বাদী এয়ারপোর্ট আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) পরিদর্শক মো. জুলহাস উদ্দিন। পুলিশ জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন মো. মাকসুদ (২৬), পুশিদার হোসেন (২৮), আসাদুল হক (৪১) ও মো. ইকবাল হোসেন (৩৯)। এ মামলায় পলাতক আসামি গণমাধ্যমকর্মী শহিদুল ইসলাম (সোহেল)। পলাতক সোহেল একটি পত্রিকার সহকারী সম্পাদক। এ ছাড়া এই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও দুই আসামি রয়েছে।
এপিবিএন জানায়, তল্লাশি করে চক্রটির হেফাজত থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ করা হয়েছে ছিনতাইকাজে ব্যবহৃত একটি প্রাইভেট কার।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মাকসুদ ও ইকবাল র্যাব সদরদপ্তরে কর্মরত। পুশিদার ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) পরিবহন শাখার কনস্টেবল এবং অন্য আসামি আসাদুল হক ডায়মন্ড বিল্ডার্সে মার্কেটিংয়ে কর্মরত।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. মোস্তাফিজুর রহমান সমকালকে জানান, গত সোমবার রাত ৮টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কারপার্কিং এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা ভয়ভীতি দেখিয়ে নাজমুল হোসেনের কাছ থেকে ছয়টি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। যাত্রীর স্বজনের সঙ্গে ধস্তাধস্তি করে ঢাকা মেট্রো গ-১৭৭৪১৮ প্রাইভেট কারে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় তাদের গাড়ির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন অন্য এক যাত্রীর স্বজন।
খবর পেয়ে এপিবিএনের একটি দল ধাওয়া দিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের সদরদপ্তরের সামনে গাড়িটি আটক করে। এ সময় গাড়িতে থাকা চারজনকে আটক করা হয়। পরিস্থিতি বুঝে পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়ে পালিয়ে যায় গণমাধ্যমের স্টিকারযুক্ত প্রাইভেট কারের মালিক সোহেল।
এ ব্যাপারে বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এরশাদ আহমেদ সমকালকে জানান, বিষয়টি গুরুত্বসহকারে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।