লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে সাবেক মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী-সংসদ সদস্যরা
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশের দর্শকসারিতে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের কয়েকজন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সংসদ সদস্যকে দেখা গেছে। সেখানে সাবেক এক মন্ত্রিপরিষদ সচিবকেও দেখা গেছে।
সমাবেশের দর্শকসারিতে যাঁদের বসে থাকতে দেখা গেছে, তাঁদের মধ্যে আছেন সাবেক মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান, সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী, সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিব, সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশের দর্শকসারিতে সাবেক প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী শফিকুর রহমান চৌধুরী (সারির সামনে)ছবি: সংগৃহীত
গতকাল ইস্ট লন্ডনের ইম্প্রেসন ভেন্যু হলে যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের আয়োজনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশ হয়। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর লন্ডনের এই সমাবেশে প্রথমবারের মতো প্রকাশ্যে দেখা গেল আব্দুর রহমান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও কবির বিন আনোয়ারকে।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান ফরিদপুর ১ আসনের সংসদ সদস্য ছিলেন। শফিকুর রহমান চৌধুরী সিলেট ২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। হাবিবুর রহমান হাবিব সিলেট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ারকে গত ৫ জানুয়ারি আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান করা হয়।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশের দর্শকসারিতে সিলেট ৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান হাবিবছবি: সংগৃহীত
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে ভারতে চলে যান। তিনি ভারতে অবস্থান করছেন।
সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের বেশির ভাগ মন্ত্রী, সংসদ সদস্য, নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যান। অনেকে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। এর মধ্যে গতকাল লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চ্যুয়াল সমাবেশে আব্দুর রহমান, শফিকুর রহমান চৌধুরী, হাবিবুর রহমান হাবিব ও কবির বিন আনোয়ারকে দেখা গেল। দেশে তাঁদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের লন্ডনে শেখ হাসিনার ভার্চুয়াল সমাবেশের দর্শকসারিতে সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব কবির বিন আনোয়ার (প্রথম সারির বাঁয়ে)ছবি: সংগৃহীত
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ১ অক্টোবর কবির বিন আনোয়ার ও তাঁর স্ত্রী তৌফিকা আহমেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।