সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের ‘টি ওয়ার্কশপ’ নির্মাণের সাড়ে তিন বছরেও চালু হয়নি। ২০২১ সালের মার্চ মাসে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়েছে। কিন্তু ওয়ার্কশপটি কবে চালু হতে পারে, তা কেউ বলতে পারছেন না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রকৌশল দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন একাডেমিক ভবন থেকে অনেকটা দূরে সৈয়দ মুজতবা আলী হল-সংলগ্ন একটি টিলায় প্রায় ৪৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘টি ওয়ার্কশপ’ নির্মাণ করা হয়। ২০২০ সালে এর নির্মাণকাজ শুরু হয়ে ২০২১ সালের মার্চ মাসের মাঝামাঝি শেষ হয়। টিনের চারচালা ছাদ ও চারপাশে ইটের দেয়াল দিয়ে ভবনটি নির্মাণ করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের হাতে-কলমে পাঠদানের জন্য। তবে গত বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ভবনটিতে কোনো নিরাপত্তাদেয়াল ছিল না। এরপর ভবনটির চারদিকে নিরাপত্তাদেয়াল নির্মাণ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের নভেম্বরের আগে প্রায় আড়াই বছর ধরে নিরাপত্তাদেয়াল না থাকায় ভবনটি হয়ে উঠেছিল নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিদের আড্ডখানা। ওই সময়ে ভবনের চারপাশে জানালার গ্লাস ভাঙা, জানালার গ্রিল কাটা, মেঝেতে ধুলা, সিগারেটের পরিত্যক্ত প্যাকেট পড়ে থাকত। একই সঙ্গে ভবনের ভেতরে-বাইরের বৈদ্যুতিক তার, বাতিসহ বিভিন্ন সামগ্রী চুরি হয়েছে একাধিকবার। নিরাপত্তকর্মীকেও মারধর করেছেন নেশাগ্রস্ত ব্যক্তিরা।
২০২৩ সালের ৩০ আগস্ট প্রথম আলোয় ‘শাহজালাল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ে থাকা ভবনে নেশার আড্ডা’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হলে কর্তৃপক্ষের টনক নড়ে। এর দুই মাস পর চারদিকে নিরাপত্তাদেয়াল দিয়ে ভবনটি সুরক্ষিত করা হয়। তবে নিরাপত্তাদেয়াল নির্মাণের এত দিন পরও ভবনটি চালু হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে খাদ্য প্রকৌশল ও চা প্রযুক্তি বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ওয়াহিদুজ্জামানের মুঠোফোনে গতকাল শনিবার ও আজ রোববার একাধিকবার কল দেওয়া হয়। তবে তিনি ধরেননি।
বিভাগের একজন সাবেক বিভাগীয় প্রধান বলেন, ওয়ার্কশপটি এখনো চালু হয়নি। তবে বৈদ্যুতিক ও পানির লাইন সংস্কার করা হচ্ছে; পাশাপাশি নিরাপত্তা বাড়ানোর জন্য জোর তৎপরতা চালানো হচ্ছে। তবে কবে চালু হতে পারে, এর কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে দেখবেন বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম সরওয়ারউদ্দিন চৌধুরী।