সিরিয়ায় ‘ইরানি শক্তির পতন’, ভাষণ দেবেন খামেনি
২৩ বছরের বেশি সময় ধরে সিরিয়া শাসন করেছেন বাশার আল-আসাদ। তাকে শক্তভাবে সমর্থন দিয়ে আসছিল ইরান ও রাশিয়া। আসাদের পতনের পর মধ্যপ্রাচ্যে ইরান তাদের গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান হারিয়েছে।
সিরিয়ার বিদ্রোহীরা রোববার সকালেই জানায়, ‘স্বৈরশাসক’ প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এবং সিরিয়া এখন মুক্ত। এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্স সিরিয়ার দুইজন সিনিয়র কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলেছে, প্রেসিডেন্ট আসাদ রাজধানী দামেস্ক ছেড়েছেন।
সর্বশেষ রাশিয়া গতকাল রাতে জানিয়েছে, আসাদ তাদের পরিবারসহ মস্কোতে আশ্রয় নিয়েছেন। আসাদের পতনের মধ্যে গতকাল সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছে ইরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর যোদ্ধারা। এ ছাড়া ইরান সমর্থিত ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের যোদ্ধারাও সিরিয়া থেকে সরে গেছে।
বিশ্লেষকরা বলেছেন, আসাদের পতনে মধ্যপ্রাচ্যে চাপে পড়েছে ইরান। তবে ইরান এখন পর্যন্ত প্রকাশ্যে তেমন কিছু বলেননি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ইরান ইন্টারন্যাশনালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ায় এমন ঘটনা নিয়ে ভাষণ দেবেন ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতোল্লাহ আলী খামেনি।
ইরানের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া নিশ্চিত করেছে, খামেনি আগামী ১১ ডিসেম্বর ভাষণ দেবেন।