আসাদকে কীভাবে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে, এখন কী করা হবে, জানাল রাশিয়া
সিরিয়ায় গত রোববার বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওই দিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।
বিদ্রোহীদের রাজধানী দামেস্কে প্রবেশের মুখে গত রোববার পালিয়ে রাশিয়ায় রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়েছেন সিরিয়ার শাসক বাশার আল–আসাদ। এখন রাশিয়া জানিয়েছে, বাশার আল–আসাদকে তারাই নিরাপদে দামেস্ক থেকে সরিয়ে নিয়ে এসেছে।
রাশিয়ার উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই রায়াবকভ গতকাল মঙ্গলবার এবিসি নিউজকে একটি সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। এতে তিনি জানান, বিদ্রোহীদের ত্বরিত অগ্রযাত্রার মুখে বাশার আল–আসাদকে খুবই সুরক্ষিত উপায়ে দামেস্ক থেকে সরিয়ে আনা হয়েছে।
রায়াবকভ আরও বলেন, ‘তিনি (বাশার আল–আসাদ) সুরক্ষিত ছিলেন। এর অর্থ হলো, এমন বিস্ময়কর পরিস্থিতিতে রাশিয়া প্রয়োজন অনুযায়ী ভূমিকা রাখে।’
প্রশ্ন করা হয়েছিল, বাশার আল–আসাদকে এখন বিচারের জন্য ফেরত দেওয়া হবে কি না? জবাবে রুশ উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী সরাসরি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের এ–সংক্রান্ত সনদের অংশীজন নয় রাশিয়া।’
সিরিয়ায় গত রোববার বাশার আল–আসাদের সরকারের পতন ঘটে। বিদ্রোহী যোদ্ধাদের মাত্র ১২ দিনের অভিযানে ওই দিন ভোরের দিকে ঘনিষ্ঠ মিত্রদেশ রাশিয়ায় পালিয়ে যান তিনি।
এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় বাশার আল–আসাদের ২৪ বছরের শাসনের অবসান ঘটে। বাবা হাফিজ আল-আসাদ ও ছেলে বাশার আল-আসাদ মিলে টানা ৫৩ বছর সিরিয়া শাসন করেছেন।
তবে রোববার পালিয়ে যাওয়ার পর বাশার আল–আসাদের গন্তব্য নিয়ে দীর্ঘ সময় কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। পরবর্তী সময়ে রাশিয়া জানায়, বাশার আল–আসাদ প্রেসিডেন্ট পদ থেকে পদত্যাগ করে রাশিয়ায় চলে এসেছেন।
আগে থেকেই বাশার আল–আসাদের স্ত্রী–সন্তানেরা মস্কোয় অবস্থান করছিলেন। রাশিয়া জানিয়েছে, তাঁদের রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।
ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ গত সোমবার জানিয়েছেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নিজেই সিরিয়ার ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে মস্কোতে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেছেন। তবে তিনি এখন ঠিক কোথায় আছেন, তা জানায়নি ক্রেমলিন।