রাজনীতি

শহীদ মিনারে শিক্ষার্থী-জনতার ঢল

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচিতে যোগ দিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ। এরইমধ্যে শহীদ মিনার এলাকায় শিক্ষার্থী-জনতার ঢল নেমেছে। আয়োজনে অংশ নিতে সারা দেশ থেকে আসছেন তারা।

মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আসতে শুরু করেন শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ।

আয়োজকরা সাংবাদিকদের জানান, গভীর রাতে কর্মসূচি ঘোষণার কারণে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল ও জেলাগুলো থেকে মানুষজন কিছুটা দেরিতে রওনা দিয়েছেন। সকাল থেকে খাগড়াছড়ি, বান্দরবান, নাটোর, নওগাঁ, পঞ্চগড়সহ বিভিন্ন জেলা থেকে গাড়ি নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় আসতে দেখা যায় শিক্ষার্থীদের।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, ছোট ছোট মিছিল নিয়ে শহীদ মিনারে জড়ো হচ্ছেন ঢাকা ও বাইরে থেকে আসা ছাত্র-জনতা। এসব মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই বিভিন্ন জেলা থেকে আসা। অনেকে গভীর রাতেও সেখানে পৌঁছেছেন। এছাড়া ঢাকার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদেরও জড়ো হতে দেখা গেছে। তাদের সঙ্গে যোগ দিতে শহীদ মিনারে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন।

এ বিষয়ে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্য মোল্লা ফারুক এহসান সাংবাদিকদের জানান, দুপুর পর্যন্ত প্রায় এক হাজার বাস ঢাকায় এসেছে। বাসগুলো পুরাতন বাণিজ্য মেলায় রাখা হয়েছে।

তিনি জানান, বাগেরহাটের মোল্লাহাট উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বাসে হামলা করা হয়েছে। এ ঘটনার নিন্দা জানান তিনি।

এর আগে, সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ জানান, মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেল তিনটা থেকে শুরু হবে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচির মূল অনুষ্ঠান। সেখানে উপস্থিত থাকবেন সংগঠনের নেতারা।

এরও আগে ‘মার্চ ফর ইউনিটি’ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেওয়ার পর মধ্যরাত থেকেই শহীদ মিনার এলাকায় প্রস্তুতি নিতে শুরু করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীরা। সোমবার সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, এই কর্মসূচিতে সারাদেশের দেড় থেকে প্রায় আড়াই লাখ মানুষের সমাগম হবে।

এদিকে, শহীদ মিনারের কর্মসূচি ঘিরে সেখানে শিক্ষার্থীদের হাতে শোভা পাচ্ছে নানা ধরনের ব্যানার ফেস্টুন আর পতাকা। ‘মুজিববাদ নিপাত যাক’, ‘দিল্লী না ঢাকা, ঢাকা-ঢাকা’, ‘বিপ্লবীদের রক্ত বৃথা যেতে পারে না’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এমন নানা প্লাকার্ড হাতে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button