এই আমলগুলো করুন ইনশাআল্লাহ সকল গুনাহ ক্ষমা হয়ে যাবে।
🍒যে সকল আমলে মানুষের সকল গুনাহ মাফ হয়ে যায়।(দলিলসহ) রমজান স্পেশাল।
🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
🍒(১) সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহী, সুবহা-নাল্লা-হিল ‘আযিম। অথবা সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০বার করে ‘সুবহা-নাল্লা-হী ওয়া বিহামদিহী’ পড়বে। ফজিলতঃ এই দো’আ পাঠের ফলে তার সকল গোনাহ ঝরে যাবে। যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়’। রাসূল (সাঃ)এই দো’আ সম্পর্কে বলেন, এ দু’টি কালেমা রহমানের নিকটে খুবই প্রিয়, যবানে বলতে খুবই হালকা এবং মীযানের পাল্লায় খুবই ভারী। (বুখারী হা/৭৫৬৩,মিশকাত হা/২২৯৬-৯৮)।
🍒(২) রাসূল (সাঃ) বলেছেন,‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার বলবে ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়া বিহামদিহি’ । তার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করা হবে, যদিও তা সমুদ্রের ফেনার সমপরিমান হয়’। (বুখারী হা/৬৪০৫,মুসলিম হা/৫৯৭,মিশকাত হা/২২৯৬)।
🍒(৩) রাসূল (সাঃ)বলেছেন, পৃথিবীর পৃষ্ঠে যে কেউ পাঠ করবে ‘লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াল্লা-হু আকবর; লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ’ তার সমুদ্রের ফেনা সমপরিমান গুনাহ হলেও তা মাফ করে দেওয়া হবে।( ছহীহ তারগীব হা/১৫৬৯;সনদ হাসান)
🍒(৪) নবী করীম(সাঃ) প্রত্যেক ফরজ ছালাতের পর এবং শয়নকালে ৩৩বার ‘সুবহা-নাল্লা-হ’, ৩৩বার ‘আল-হামদুলিল্লা-হ’, ৩৩বার ‘আল্লা-হু আকবার’ ও ১বার ‘লা-ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহূ লা-শারীকালাহূ লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া‘আলা-কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর অথবা ‘আল্লা-হু আকবার’ (৩৪বার) পড়তেন। ফজিলতঃ রাসূল (সাঃ) বলেন,যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ সালাতের পর উক্ত দো’আ পাঠ করবে,তার সকল গোনাহ মাফ করা হবে। যদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়। (মুসলিম,মিশকাত ৯৬৭,মুসলিম,মিশকা হা/২৩৮৭-৮৮)।
🍒(৫) রাসূল(সাঃ)বলেন, ‘আযান ও ইকামতের মধ্যকার সময়ের দো’আ আল্লাহর দরবার হ’তে ফেরত দেওয়া হয় না’ অর্থাৎ এটা দো’আ কবুলের সময়। (আবুদাউদ,তিরমিযী,মিশকাত হা/৬৭১)। রাসূল (সাঃ) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়ায্যিনের আযান শুনে বলে ‘আশ্হাদু আল্ লা-ইলা-হা ইল্লাল্লা-হূ ওয়াহ্দাহূ লা-শারীকা লাহূ ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহূ ওয়া রাসূলুহূ। রাযীতু বিল্লা-হী রব্বাও, ওয়া বিমুহাম্মাদির রাসূলাও, ওয়া বিল ইসলা-মী দ্বীনা’। আল্লাহ তার গুনাহ সমূহ ক্ষমা করে দেন’ (মুসলিম হা/৩৮৬,মিশকাত-৬৬১,আবুদাউদ-৫২৫,তিরমিযী-২১০)।
🍒(৬) রাসূল (সাঃ)বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি উত্তমরুপে ওযু করবে, তার পাপসমূহ তার দেহ থেকে বেরিয়ে যাবে। এমনকি তার নখের নীচ হতেও পাপসমূহ বেরিয়ে যাবে।। (বুখারী,মুসলিম মিশকাত হা/২৮৪,মুসলিম হা/২৪৫)।রাসূল(সাঃ) ওযুর বিস্তারিত নিয়ম পেশ করার পর বললেন ,যে ব্যক্তি আমার এই ওযুর ন্যায় ওযু করবে অতঃপর দু’রাক’আত ছালাত আদায় করবে যাতে সে আপন মনে আল্লাহর ভয়-ভীতি ছাড়া অন্য কোন বিষয় ভাবে না, তাহলে তার অতীতের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে। (বুখারি,মিশকাত হা/২৮৭,বাংলা মিশকাত হা/২৬৭)
🍒(৭) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ওযু’ র পানিতে পাপ ঝরে যায়, অর্থাৎ চোখ, উভয় হাত এবং উভয় পা দিয়ে অর্জিত পাপ পানির সাথে অথবা পানির শেষ বিন্দুর সাথে ঝরে যায়। এইভাবে সে যাবতীয় পাপ থেকে মুক্ত ও পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন হয়ে যায়। (মুসলিম,সিলসিলা ছহীহাহ,মিশকাত হা/২৮৫)।
🍒(৮) রাসূল (সাঃ)বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি কোন ভুল না করে মনোযোগ সহকারে দু’রাক’আত সালাত আদায় করল, আল্লাহ তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দিবেন। (আহমাদ,হাদীছ ছহীহ,আলবানী,তাহক্বীক্বে মিশকাত হা/৫৭৭,বাংলা মিশকাত-৫৩০)।
🍒 (৯) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘কোন বান্দা‘ সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু আল্লা-হু আকবর’ বললে তার গুনাহ সমূহ ঝরে যাবে, যেভাবে গাছের শুকনো পাতা গুলো ঝরে পড়ে’।(আহমাদ হা/১২৫৫৬,সিলসিলা ছহীহাহ হা/৩১৬৮)। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সম্পদ ব্যয়ে কৃপণ,শত্রুর বিরুদ্ধে জিহাদে ভীত এবং ইবাদতের মাধ্যমে রাত জাগরণে দূর্বল,সে যেন ‘সুবহা-নাল্লা-হি ওয়াল হামদুলিল্লা-হি ওয়া লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু আল্লা-হু আকবর’ বেশি বেশি পাঠ করে’। (সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭১৪,শু’আবুল ঈমান হা/৬০৭)।
🍒(১০) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘যখন ইমাম আমীন বলেন তখন তোমরা আমীন বল। কেননা ফেরেশতাগণও তখন আমীন বলেন। অতঃপর যার আমীন ফেরেশতাগণের আমীনের সাথে মিলে যাবে,তার অতীতের সমস্ত গুনাহ ক্ষমা হবে।(বুখারী,মিশকাত হা/৮২৫)।
🍒(১১) তওবার দো’আঃ আস্তাগ্ফিরুল্লা-হাল্লাযী লা-ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ুম ওয়া আতুবু ইলাই-হী। (ফরজ সালাতের পর ১বার অথবা যে কোন সময় যতবার ইচ্ছা, )(আবু দাউদ হা/১৫১৭,তিরমিযী-৩৫৭৭,মিশকাত-২৩৫৩)।ফজিলতঃ খালেছভাবে তওবা করলে আল্লাহ তাঁর বান্দার বিগত সকল গোনাহ মাফ করে দেন। (সূরা আল ফুরক্বান ২৫/৭১, সূরা যুমার ৩৯/৫৩ ।
🍒(১২) রাসূল (সাঃ)বলেছেন, ‘দু’জন মুসলিম একে অন্যের সাথে সাক্ষাতকালে মুছাফাহা (শেকহ্যান্ড বা হ্যান্ডশেক) করলে তারা পৃথক হওয়ার পূর্বেই তাদের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়। (আহমাদ,তিরমি্যী,ইবনু মাজাহ,মিশকাত হা/৪৬৭৯)
🍒(১৩)খাওয়ার শেষে দো’আঃ আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী আত্ব‘আমানী হা-যা ওয়া রঝাক্বানীহি মিন গয়রি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা ক্বুঊওয়াহ্। ফজিলতঃ রাসূল (সাঃ) বলেন, যে ব্যক্তি খাওয়ার পর এটি পাঠ করবে,তার বিগত সকল গোনাহ মাফ করা হবে। (তিরমিযী,আবুদাউদ,মিশকাত হা/ ৪৩৪৩)
🍒(১৪) নতুন কাপড় পরিধানকালে দো’আঃ আলহামদুলিল্লা-হিল্লাযী কাসা-নী হা-যা ওয়া রঝাক্বানীহি মিন গয়রি হাওলিম মিন্নী ওয়ালা ক্বুঊওয়াহ্। ফজিলতঃরাসূল(সাঃ)বলেন,যে ব্যক্তি উক্ত দো’আটি পাঠ করে,আল্লাহ তার আগে-পিছের সকল গোনাহ মাফ করে দেন। (আবুদাউদ,মিশকাত ৪৩৪৩)
🍒(১৫) রাসূল (সাঃ) বলেছেন, ‘পাঁচ ওয়াক্তের সালাত ,এক জুম‘আ হতে অপর জুম‘আ পর্যন্ত , এক রামাযান হতে অপর রামাযান পর্যন্ত কাফফারা হয় সে সমস্ত গুনাহের যা এর মধ্যবর্তী সময়ে হয়। যখন কবীরা গুনাহ থেকে বেঁচে থাকে’ (মুসলিম, মিশকাত,হা/৫৬৪, বাংলা মিশকাত হা/৫১৮)। রাসূল (সাঃ) বলেছেন, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত সালাতের মাধ্যমে গুনাহ সমূহ মুছে দেন। (বুখারী, মুসলিম,মিশকাত হা/৫৬৫,বাংলা মিশকাত হা/৫১৯)।
🍒(১৬) রাসূল(সাঃ)বলেছেন, ‘নিশ্চয়ই বান্দা যখন সালাতে দাঁড়ায় তার সমস্ত গুনাহ তার দু’কাঁধে রেখে দেয়া হয়। যতবার রুকু,সিজদা করে ততবার তার গুনাহ ঝরে পড়ে’(সিলসিলা ছহীহা হা/৫৭৫)। অন্য বর্ণনায় রাসূল(সাঃ)বলেছেন, ‘যখন মুসলমান সালাত আরম্ভ করে তার গুনাহ তার মাথার উপর থাকে।
🍒হে আল্লাহ! প্রতিদিন এই আমল গুলো যেন নিয়মিত করতে পারি তার হেদায়েত দান করো। আমিন।🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒🍒
📕শেয়ার করুন । শেয়ার করে অন্যকে জানার সুযোগ করে দিন। এবং আপনিও সাদকায়ে জারিয়ায় অংশ নিন। এগুলো আমি নিজের হাতে অনেক কষ্ট করে লিখেছি অজানাদের জন্য। প্লিজ শেয়ার করুন অথবা কপি করে বিভিন্ন গ্রুপে পোষ্ট করে দিন। আপনার শেয়ারে বা আপনার কপিতে না জানা লোকদের হয়তো উপকার হতে পারে।📕📗📕📗
“প্রচার কর, যদি একটিমাত্র আয়াতও হয়”। (বুখারী হা/৩৪৬১)।