খুঁটিতে বেঁধে আ.লীগ নেতাকে পিটুনি, থেঁতলে গেল হাত-পা
রাজশাহীর পুঠিয়া ও দুর্গাপুর উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতা আলিউজ্জামান মন্টু ওরফে মন্টু মাস্টারকে বিদ্যুতের খুঁটির সঙ্গে বেঁধে পেটানো হয়েছে। এ সময় তার হাত ও পা থেঁতলে দেওয়া হয়। পরে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
আলিউজ্জামান মন্টু বানেশ্বর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বিড়ালদহ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী আবদুল ওয়াদুদ দারার চাচাতো ভাই।
মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ- আবদুল ওয়াদুদ দারা সংসদ সদস্য থাকাকালীন দুই উপজেলার সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নিয়োগ বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েছিলেন মন্টু। দারার হয়ে তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করতেন। ব্যাপক চাঁদাবাজি করেছেন। টাকা নিয়ে চাকরি দেননি। দুই উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এমন নিয়োগবাণিজ্যের জন্য স্থানীয় মানুষের কাছে তিনি ‘পুঠিয়া-দুর্গাপুরের শিক্ষামন্ত্রী’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর মন্টু মাস্টার আত্মগোপনে ছিলেন। গত বৃহস্পতিবার তিনি বাড়ি ফিরে আসেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে উপজেলার বিড়ালদহ মাজারের সামনে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা তাকে পেয়ে আটকে রাখেন।
এ সময় তাকে বিদ্যুতের খুটিতে বেঁধে ফেলা হয়। এরপর লোহার রড দিয়ে তাকে পিটিয়ে জখম করা হয়। এ সময় তার হাত ও পা থেতলে দেওয়া হয়। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে যান হামলাকারীরা। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান।
পুঠিয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘বিষয়টি আমি এখনো শুনিনি। খোঁজ খবর নিয়ে দেখছি। আপনারাও (সাংবাদিকরা) খোঁজ খবর নেন কারা এ ঘটনা ঘটালো।’
পুঠিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি শুনেছি তবে কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ কারা পিটিয়েছেন জানতে চাইলে ওসি বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা মেরেছে।’