খেলাধুলারাজনীতি

মাশরাফি-সাকিবের পরিণতি দেখে রাজনীতি করার শখ মিটে গেছে আফ্রিদির

তারকা ক্রিকেটারদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত হওয়ার ঘটনা নতুন কিছু নয়। পাকিস্তানের বিশ্বকাপজয়ী অধিনায়ক ইমরান খান হয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী। শহীদ আফ্রিদি ২০০৯ সালে জিতেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। তবে রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার কোনো চিন্তাভাবনা নেই তাঁর। পাকিস্তানের তারকা অলরাউন্ডার এখানে বাংলাদেশের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।

সাকিব আল হাসান, মাশরাফি বিন মর্তুজা—বাংলাদেশের দুই তারকা এবারের বিপিএলে নেই। তাঁদের নামের পাশে রাজনৈতিক ট্যাগ লেগে যাওয়াই বিপিএলে না খেলতে পারার কারণ।

সামাজিকমাধ্যমে যাঁরা বেশি সক্রিয়, তাঁদের কাছে ৫ আগস্ট বাংলাদেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সরকার পতনের পরের ঘটনাগুলো অজানা নয়। সরাসরি না বললেও আফ্রিদি সেদিকেই ইঙ্গিত করেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পাকিস্তানি অলরাউন্ডার গত রাতে একটা ভিডিও ছেড়েছেন। আড্ডার এক ফাঁকে তামিম ইকবাল জিজ্ঞেস করেন, ‘রাজনীতিতে কি আসবেন শাহীদ ভাই?’ আফ্রিদি বলেছেন, ‘যে হাল তোমাদের, রাজনীতিতে আর আসছি না।’

এবারের বিপিএলে চিটাগং কিংসের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে কাজ করছেন আফ্রিদি। তামিমের সঙ্গে আড্ডায় সেখানে ছিলেন শহীদ আফ্রিদির জামাতা শাহিন শাহ আফ্রিদি, মোহাম্মদ নবীসহ আরও কয়েক জন ক্রিকেটার। তামিমের প্রশ্নের পর শহীদ আফ্রিদির উত্তরে অট্টহাসি দিয়েছেন শাহীন-নবীরা। আড্ডাচ্ছলে নবীর ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার প্রসঙ্গও এসেছে। চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর ওয়ানডে থেকে অবসর নেওয়ার কথাটাই আবার বলেছেন আফগান অলরাউন্ডার। শহীদ আফ্রিদি বললেন,‘না, না। অবসর নিও না।’ তামিমের প্রশ্ন নবীকে, ‘টি-টোয়েন্টি তো খেলবেন?’ আফগান অলরাউন্ডারের উত্তর,‘শুধুই টি-টোয়েন্টি।’

ফরচুন বরিশালকে এবারও নেতৃত্ব দিচ্ছেন। সেই দলে খেলছেন শাহিন-নবীর মতো তারকা অলরাউন্ডাররা। ১৯ জানুয়ারি চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে চিটাগং ও ঢাকা। তবে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত শাহিনের খেলার অনুমতি রয়েছে।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button