চট্টগ্রাম

চাঁদপুরে বি’ব’স্ত্র করে ভিডিও ধারণ করে, মোটা অংকের অর্থ দাবি। সাথীকে গ্রে’ফতার করে পুলিশ।

মো: রাজন পাটওয়ারী চাঁদপুরে:

চাঁদপুর শামছুল হক গাজী নামে এক ব্যক্তিকে বিবস্ত্র করে অশ্লীল ছবি ও ভিডিও ধারণ করে পরিবারের কাছে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ চাওয়ায় ফারজানা আক্তার সাথী নামে অপহরণকারী এক নারী সদস্যকে গ্রেফতার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ।

সোমবার বিকেলে শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের একটি বাসা থেকে ডিবির এসআই মো. মিজানুর রহমান গ্রেফতার করে ডিবি অফিসে নিয়ে আসেন। পরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়।

ফারজানা আক্তার সাথী শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের মৃত সুমন জমাদারের স্ত্রী। গত ৫ ডিসেম্বর ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজীর ছেলে শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে শামিম সরকারকে প্রধান আসামি করে অজ্ঞাতনামা ৪ জন নারী পুরুষের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা হলেন জেলা গোয়েন্দা পুলিশের এসআই মো. মিজানুর রহমান।

মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুরের হাইমচর উপজেলা থেকে চিকিৎসার জন্য স্ত্রীকে নিয়ে ডায়াবেটিস হাসপাতালে আসেন ভুক্তভোগী শামছুল হক গাজী। পরে তিনি স্ত্রীকে হাসপাতালে রেখে জরুরি কাজে বাসস্ট্যান্ডের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য একটি ব্যাটারি চালিত অটোরিকশায় উঠেন। এ সময় অজ্ঞাতনামা দুই জন নারীও তার সঙ্গে উঠেন। পরে অজ্ঞাতনামা দুই নারী শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ভুক্তভোগীকে নামতে দেয়নি, জোরপূর্বক অটোরিকশা থেকে নামিয়ে তার শার্টের কলারে ধরে টেনেহেঁচড়ে শহরের মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলের ৬ তলার শামিমের বাসায় নিয়ে যায়। পরে আসামিরা ভুক্তভোগীকে বিবস্ত্র করে তাদের ব্যবহ্নত মোবাইল দিয়ে ছবি ও ভিডিও ধারণ করে। সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবে বলে ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন তারা। মানসন্মানের ভয়ে ভুক্তভোগী তার ভাইয়ের কাছে ১ লাখ টাকা পাঠাতে বলেন। পরে বিষয়টি চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রকিবকে অবগত করলে তাৎক্ষণিক জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ মাদরাসা রোডের জান্নাত মহলে অভিযান পরিচালনা করে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামিরা পালিয়ে যায়।

জেলা ডিবির এসআই মো. মিজানুর রহমান জানান, মামলা দায়েরের পর প্রধান আসামি ফ্লাটের মালিক শামিমকে গ্রেফতার করা হয়। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সহযোগী আসামি রুবি আক্তারকে ১৬ ডিসেম্বর গ্রেফতার করা হয়। সোমবার বিকেলে ফারজানা আক্তার সাথীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে অন্য আসামিদের গ্রেফতারের প্রক্রিয়া চলছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button