সাঁওতাল নারী নির্যাতন, সেই বিএনপি নেতা ঢাকায় গ্রেফতার
আলোচিত সাঁওতাল নারী ফিলুমিনা হাঁসদাকে নির্যাতন মামলার প্রধান আসামি বিএনপি নেতা রফিকুল ইসলামকে ঢাকায় গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার সকাল ৮টায় ঢাকার শাহবাগের প্রীতম হোটেল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
রফিকুল ইসলাম গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ছিলেন।
গাইবান্ধা পুলিশ সুপার নিশাত এ্যঞ্জেলা গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
গত শুক্রবার ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের হাতে নির্যাতনের শিকার হন ফিলুমিনা হাঁসদা। এ ঘটনায় মঙ্গলবার দেশের ৪৭ জন বিশিষ্ট নাগরিক এক বিবৃতিতে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।ঘটনার বর্ণনা দিয়ে ফিলুমিনা হাঁসদার ছেলে ব্রিটিশ সরেন বলেন, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে গ্রামের পাশে সাঁওতালদের পৈত্রিক জমি; যা বাঙালিরা দখল করে নিয়েছে, সেই জমিতে রাজাহার ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মাটি ভরাট করছিলেন। জায়গাটি আগে পতিত অবস্থায় ছিল। হঠাৎ করে চেয়ারম্যানকে সেই জমিতে মাটি ভরাট করতে দেখে গ্রামের কয়েকজন সাঁওতাল যুবক বাধা দেয়। তখন চেয়ারম্যানের সামনেই তার লোকজন নিকোলাস মুর্মুকে মারধর করে। এ সময় আমরা কিছু দূরে আলুখেতে কাজ করছিলাম। পরে মারধরের প্রতিবাদ করতে গেলে চেয়ারম্যান আমাকে লাঠি দিয়ে মারতে আসেন। এ সময় আমার মা চেয়ারম্যানের লাঠি ধরে ফেলেন। পরে চেয়ারম্যান তার কানে থাপ্পড় দেন। এতে মা মাটিতে পড়ে যান এবং তার কান দিয়ে রক্ত পড়তে থাকে। এছাড়া রাতে চেয়ারম্যানের লোকজন তাদের বাড়িতে আগুন দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
পরদিন ভিকটিমের ছেলে জুলিয়াস সরেন বাদী হয়ে রফিকুল ইসলাম, তার ভাইসহ, চার জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন।
এর আগে সাঁওতাল নারীকে নির্যাতনের দায়ে রফিকুল ইসলামকে সব পদ থেকে বহিষ্কার করে গাইবান্ধা জেলা বিএনপি।
গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি বুলবুল ইসলাম বলেন, প্রধান আসামিকে ঢাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে তাকে গাইবান্ধায় ফিরিয়ে আনা হবে।